ভরসা দিচ্ছে জুনিয়ররা
ফ্রান্সে ২৩ মে শুরু হয়েছে আর্চারির ইউরোপিয়ান গ্রাঁ প্রিঁ। আর বাংলাদেশে বিকেএসপির নিরিবিলি ছায়াঢাকা পরিবেশে কাল শুরু হলো তৃতীয় এশিয়ান গ্রাঁ প্রিঁ।
এর আগে গ্রাঁ প্রিঁ টুর্নামেন্ট হতো বছরে পাঁচটি। বর্তমানে সেটি কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে। ব্যাংকক ও লাওসে এরই মধ্যে দুটি গ্রাঁ প্রিঁ হয়ে গেছে। তৃতীয়টির আয়োজক বাংলাদেশ। এই আয়োজনের মধ্যে চলছে এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপও। কাল অবশ্য কোনোটিরই মূল ইভেন্ট ছিল না। তবে মূল লড়াইয়ে নামার আগে র্যাঙ্কিং বাছাইয়ের জন্য লড়তে হয়েছে ১৩ দেশের প্রায় দেড় শতাধিক তীরন্দাজকে। বাছাইয়ে রিকার্ভ বো ইভেন্টে ইমদাদুল হক মিলন, সজীব শেখ, সুজন রহমান ও ঐশ্বর্য রহমানদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের জুনিয়র দল র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। ১৯৩৫ পয়েন্ট স্কোর তাদের। ১৯৪০ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম ভারত। ছেলেদের রিকার্ভ বোয়ে অবশ্য সেরা দশে নেই বাংলাদেশের কেউ। প্রথম ভারতের অতনু দাস। ১৫তম বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ সাহা। রিকার্ভে মেয়েদের ইভেন্টে প্রথম গত সাফ গেমসে সোনাজয়ী ঝাড়খন্ডের মেয়ে রিমিলি বুরিউলি। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো স্কোর করেছেন মাথুই প্রু মারমা। হয়েছেন পঞ্চম। মেয়েদের রিকার্ভ জুনিয়রে বাংলাদেশের মেয়েরা একদমই ভালো করতে পারেননি। এখানেও ভারতীয়দের আধিপত্য। মেনাও নারজারি হয়েছেন প্রথম। সবচেয়ে ভালো করা বাংলাদেশের ফারজানা অষ্টম!
বাছাই পর্বের জন্য সারা দিনে ৭০ মিটার দূরত্বে তীর ছোড়া হয়। ৭২টি তীরের প্রতিটিতে ১০ পয়েন্ট করে। মোট ৭২০ পয়েন্টের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর যিনি করেন, তাঁকে প্রথম ধরে বাছাই করা হয়। এভাবে সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের এবং পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় স্থানের সঙ্গে নিচের দিকের পরের প্রতিযোগী মুখোমুখি হন। এভাবেই হয় এলিমিনেশন রাউন্ড। এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও পদকের জন্য লড়াই করেন তীরন্দাজেরা।
কাল জুনিয়রে দ্বিতীয় হওয়ার পর কোচ নিশীথ দাস আশাবাদী, এবার ভালো কিছু হবে। তবে সেটা সোনা হবে কি না, বলতে পারলেন না। যদিও ইমদাদুল হক জানালেন, ‘এই ফলাফল অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’ ভারতের কোচ এম বি গুরুংয়ের কথা, ‘এবার লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি। চীনা তাইপে, মালয়েশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশও যথেষ্ট শক্তিশালী দল। কাউকে খাটো করে দেখা যাবে না।’
আর্চারিতে প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছে পাকিস্তান। নিজেরা ভালো মানের তীর ও ধনুক না নিয়ে এলেও বিকেএসপিতে বাংলাদেশের ফেডারেশন থেকে ভালোই সহযোগিতা পাচ্ছে। ২০১০ সালে আর্চারি শুরু করা পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দুর্বল দল।
এশিয়ান গ্রাঁ প্রিঁ হলেও এতে ফিটার (আর্চারির সর্বোচ্চ সংস্থা) অনুমোদিত যেকোনো দেশ অংশ নিতে পারে। সেই সুযোগটা নিয়েছে ইউরোপের দেশ জর্জিয়া। এসেছে আরেক শক্তিশালী সাবেক সোভিয়েত বলয়ের কাজাখস্তান। সে দেশের তরুণ আর্চার আরতিয়ম, এরকেবুলান, ইভান, সুলতান ও সাগাদাতদের খেলা কাল দুপুরে না থাকায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে লাগলেন। কাজাখস্তানের জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন আরতিয়ম বিকেএসপির পরিবেশ দেখে মুগ্ধ, ‘খুবই ভালো লাগছে।’
এর আগে গ্রাঁ প্রিঁ টুর্নামেন্ট হতো বছরে পাঁচটি। বর্তমানে সেটি কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে। ব্যাংকক ও লাওসে এরই মধ্যে দুটি গ্রাঁ প্রিঁ হয়ে গেছে। তৃতীয়টির আয়োজক বাংলাদেশ। এই আয়োজনের মধ্যে চলছে এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপও। কাল অবশ্য কোনোটিরই মূল ইভেন্ট ছিল না। তবে মূল লড়াইয়ে নামার আগে র্যাঙ্কিং বাছাইয়ের জন্য লড়তে হয়েছে ১৩ দেশের প্রায় দেড় শতাধিক তীরন্দাজকে। বাছাইয়ে রিকার্ভ বো ইভেন্টে ইমদাদুল হক মিলন, সজীব শেখ, সুজন রহমান ও ঐশ্বর্য রহমানদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের জুনিয়র দল র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। ১৯৩৫ পয়েন্ট স্কোর তাদের। ১৯৪০ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম ভারত। ছেলেদের রিকার্ভ বোয়ে অবশ্য সেরা দশে নেই বাংলাদেশের কেউ। প্রথম ভারতের অতনু দাস। ১৫তম বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ সাহা। রিকার্ভে মেয়েদের ইভেন্টে প্রথম গত সাফ গেমসে সোনাজয়ী ঝাড়খন্ডের মেয়ে রিমিলি বুরিউলি। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো স্কোর করেছেন মাথুই প্রু মারমা। হয়েছেন পঞ্চম। মেয়েদের রিকার্ভ জুনিয়রে বাংলাদেশের মেয়েরা একদমই ভালো করতে পারেননি। এখানেও ভারতীয়দের আধিপত্য। মেনাও নারজারি হয়েছেন প্রথম। সবচেয়ে ভালো করা বাংলাদেশের ফারজানা অষ্টম!
বাছাই পর্বের জন্য সারা দিনে ৭০ মিটার দূরত্বে তীর ছোড়া হয়। ৭২টি তীরের প্রতিটিতে ১০ পয়েন্ট করে। মোট ৭২০ পয়েন্টের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর যিনি করেন, তাঁকে প্রথম ধরে বাছাই করা হয়। এভাবে সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের এবং পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় স্থানের সঙ্গে নিচের দিকের পরের প্রতিযোগী মুখোমুখি হন। এভাবেই হয় এলিমিনেশন রাউন্ড। এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও পদকের জন্য লড়াই করেন তীরন্দাজেরা।
কাল জুনিয়রে দ্বিতীয় হওয়ার পর কোচ নিশীথ দাস আশাবাদী, এবার ভালো কিছু হবে। তবে সেটা সোনা হবে কি না, বলতে পারলেন না। যদিও ইমদাদুল হক জানালেন, ‘এই ফলাফল অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’ ভারতের কোচ এম বি গুরুংয়ের কথা, ‘এবার লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি। চীনা তাইপে, মালয়েশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশও যথেষ্ট শক্তিশালী দল। কাউকে খাটো করে দেখা যাবে না।’
আর্চারিতে প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছে পাকিস্তান। নিজেরা ভালো মানের তীর ও ধনুক না নিয়ে এলেও বিকেএসপিতে বাংলাদেশের ফেডারেশন থেকে ভালোই সহযোগিতা পাচ্ছে। ২০১০ সালে আর্চারি শুরু করা পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দুর্বল দল।
এশিয়ান গ্রাঁ প্রিঁ হলেও এতে ফিটার (আর্চারির সর্বোচ্চ সংস্থা) অনুমোদিত যেকোনো দেশ অংশ নিতে পারে। সেই সুযোগটা নিয়েছে ইউরোপের দেশ জর্জিয়া। এসেছে আরেক শক্তিশালী সাবেক সোভিয়েত বলয়ের কাজাখস্তান। সে দেশের তরুণ আর্চার আরতিয়ম, এরকেবুলান, ইভান, সুলতান ও সাগাদাতদের খেলা কাল দুপুরে না থাকায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে লাগলেন। কাজাখস্তানের জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন আরতিয়ম বিকেএসপির পরিবেশ দেখে মুগ্ধ, ‘খুবই ভালো লাগছে।’
No comments