ধর্ষণের শিকার বলেদাবি করলেন ২৫৯ নারী
লিবিয়ায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ যুদ্ধোত্তর মানসিক আঘাতে স্নায়ুরোগে ভুগছে। চার হাজার শিশু ভুগছে মানসিক সমস্যায়, আর ২৫৯ জন নারী সে দেশের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যুদ্ধের কারণেবিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেওয়া লোকদের মধ্যেজরিপ চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
লিবিয়ার বন্দরনগর বেনগাজিতে লন্ডনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু মনস্তাত্ত্বিক সেহাম সেরগেওয়া বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘আজ থেকে প্রায় দুই মাস আগের ঘটনা। ধর্ষণের শিকার এক নারী এলেন চিকিৎসা নিতে। এরপর আরও দুজন। তাঁদের সবাই ছিলেন সন্তানের মা। আমাকে জানালেন, তাঁরা কীভাবে গাদ্দাফির অনুগত মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার হন।’
সেরগেওয়া বলেন, এরপর তিনি লিবিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে পালিয়ে এসে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ওঠা ৭০ হাজার শরণার্থীর মধ্যে তাঁদের তৈরি প্রশ্নাবলি বিতরণ করেন। যুদ্ধের ফলে শিশুরা কতটা ভীতসন্ত্রস্ত, তা জানতেই মূলত ওই প্রশ্নাবলি তৈরি করা হয়। সেখানে ধর্ষণসংক্রান্তও প্রশ্ন রাখা হয়। এর মধ্যে ৫৯ হাজার উত্তর পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, ১০ হাজার মানুষ স্নায়ুরোগে ভুগছে। চার হাজার শিশু ভুগছে মানসিক সমস্যায়। ২৫৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। নারীরা বলেছেন, তাঁরা গাদ্দাফির মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের ঘটনায় কেউ কেউ সংক্ষেপে উত্তর দিয়েছেন, কেউ কেউ বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
বেনগাজি শহরে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, নারীদের ধর্ষণের শিকারের খবর তাঁরা শুনেছেন। তবে ধর্ষণের শিকার কোনো নারী তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেননি। আবজাবিয়া শহরের একজন চিকিৎসক বলেন, গত মার্চেতিনি ধর্ষণের শিকার অন্তত তিনজন নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
এ মাসের গোড়ার দিকে হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি লুইস মোরেনো-ক্যাম্পো বলেন, ‘গাদ্দাফি বাহিনী সে দেশে নারীদের গ্রেপ্তার ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে এমন অনেক প্রমাণ মিলেছে।
লিবিয়ার বন্দরনগর বেনগাজিতে লন্ডনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু মনস্তাত্ত্বিক সেহাম সেরগেওয়া বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘আজ থেকে প্রায় দুই মাস আগের ঘটনা। ধর্ষণের শিকার এক নারী এলেন চিকিৎসা নিতে। এরপর আরও দুজন। তাঁদের সবাই ছিলেন সন্তানের মা। আমাকে জানালেন, তাঁরা কীভাবে গাদ্দাফির অনুগত মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার হন।’
সেরগেওয়া বলেন, এরপর তিনি লিবিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে পালিয়ে এসে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ওঠা ৭০ হাজার শরণার্থীর মধ্যে তাঁদের তৈরি প্রশ্নাবলি বিতরণ করেন। যুদ্ধের ফলে শিশুরা কতটা ভীতসন্ত্রস্ত, তা জানতেই মূলত ওই প্রশ্নাবলি তৈরি করা হয়। সেখানে ধর্ষণসংক্রান্তও প্রশ্ন রাখা হয়। এর মধ্যে ৫৯ হাজার উত্তর পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, ১০ হাজার মানুষ স্নায়ুরোগে ভুগছে। চার হাজার শিশু ভুগছে মানসিক সমস্যায়। ২৫৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। নারীরা বলেছেন, তাঁরা গাদ্দাফির মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের ঘটনায় কেউ কেউ সংক্ষেপে উত্তর দিয়েছেন, কেউ কেউ বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
বেনগাজি শহরে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, নারীদের ধর্ষণের শিকারের খবর তাঁরা শুনেছেন। তবে ধর্ষণের শিকার কোনো নারী তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেননি। আবজাবিয়া শহরের একজন চিকিৎসক বলেন, গত মার্চেতিনি ধর্ষণের শিকার অন্তত তিনজন নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
এ মাসের গোড়ার দিকে হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি লুইস মোরেনো-ক্যাম্পো বলেন, ‘গাদ্দাফি বাহিনী সে দেশে নারীদের গ্রেপ্তার ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে এমন অনেক প্রমাণ মিলেছে।
No comments