শ্রেষ্ঠত্বের পথে মেসির আরেক পা
চেহারাটা এখনো বালকসুলভ। আদর করে অনেকেই ডাকে ‘ছোট্ট জাদুকর’ বলে। লিওনেল মেসির এই বালকসুলভ চেহারা পুরুষসুলভ হবে কবে? তবে পরশু রাতে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হওয়ার পথে আরেক পা এগিয়ে গেছেন ২৩ বছর বয়সী বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা।
মেসি মানে জাদু, মেসিকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। ওয়েম্বলি ফাইনালের আগে মেসি সম্পর্কে এমনটাই বলেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মেসির সাবেক গুরুর কথাই সত্যি হয়েছে। পার্ক-ভিদিচ-ফার্ডিনান্ড—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কেউ মেসিকে আটকে রাখতে পারেননি। তাঁর জাদুতে বার্সেলোনা চতুর্থবারের মতো পরল ইউরোপ-সেরার মুকুট।
নিজের মার্কারকে ছিটকে ফেলেছেন বারবার। অনেকটা নিচে নেমে মাঝমাঠজুড়ে করেছেন বিচরণ। আর বার্সার বেশির ভাগ আক্রমণেরই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে মোহিত করে রেখেছেন ম্যানইউর ডিফেন্ডারদের। কখনো কখনো ম্যানইউর রক্ষণ ছিঁড়ে বল নিয়ে গেছেন, কোনো নৃত্যশিল্পীর ধ্রুপদি নাচের মতো।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রুড ফন নিস্টলরয়ের সর্বোচ্চ ১২ গোলের রেকর্ড ছোঁয়া গোলটিও মেসি করেছেন এভাবে। মাঝমাঠের মাঝামাঝি জায়গায় বল পেয়ে দৌড় লাগান গোলের দিকে। দুজনকে কাটিয়ে সামনে পান নেমানিয়া ভিদিচকে। তাঁর পাশ দিয়ে ২০ মিটার দূর থেকে বলটি মারেন আচমকা। হতবিহ্বল এডউইন ফন ডার সার! ডেভিড ভিয়ার করা দলের শেষ গোলটিও মেসিরই বানিয়ে দেওয়া। সব মিলিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মেসিই। তবে মেসি দলীয় অর্জনটাকেই দেখছেন বড় করে, ‘ম্যাচসেরা হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা ভালো খেলেছি, শিরোপা জিতেছি; এটাই বেশি আনন্দের।’
এ পর্যন্ত অনেকেই বলেছেন, মেসি সেরাদের একজন। ম্যাচের আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, মেসি গ্রেট খেলোয়াড়দের একজন এবং তাঁর সঙ্গে যে তুলনা হচ্ছে, সেটা ঠিকই আছে। পরশু মেসির জাদুকরি খেলার পর বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা মেসিকে সন্দেহাতীতভাবে সেরা ঘোষণা করে দিয়েছেন, ‘আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় মেসি এবং সম্ভবত পরে আরও যত খেলোয়াড় ভবিষ্যতে দেখব, তাদের মধ্যেও মেসিই আমার সেরা থাকবে। মেসি অদ্বিতীয়।’
‘অদ্বিতীয়’ মেসির কাল হয়তো একটা অতৃপ্তি ঘুচে গেছে। স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে না পারার ওই অতৃপ্তি নিশ্চয়ই ইংল্যান্ডের মাঠে প্রথম গোল পাওয়ার আনন্দে ঘুচে গেছে। এই গোলে তাঁর এ মৌসুমের গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩-তে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সমান। গোলসংখ্যায় রোনালদো সমান হতে পারেন, কিন্তু জাভির কাছে মেসির সমান কেউ নন, ‘সে-ই এক নম্বর। সে-ই যেকোনো দলের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দেয়। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মেসি।’
প্রায় সবার চোখে এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় কি পারবেন নিজেকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নিয়ে যেতে? বিশেষজ্ঞদের মতে আরও একটা ধাপ এগিয়ে গেছেন পরশুর গোলে। শেষ ধাপটা তাহলে কী? বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ জিততে পারলেই হয়তো মেসিকে পাওয়া যাবে ‘ফুটবলসম্রাট’ পেলে আর ‘ফুটবল-ঈশ্বর’ ম্যারাডোনার নামের পাশে।
মেসি মানে জাদু, মেসিকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। ওয়েম্বলি ফাইনালের আগে মেসি সম্পর্কে এমনটাই বলেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মেসির সাবেক গুরুর কথাই সত্যি হয়েছে। পার্ক-ভিদিচ-ফার্ডিনান্ড—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কেউ মেসিকে আটকে রাখতে পারেননি। তাঁর জাদুতে বার্সেলোনা চতুর্থবারের মতো পরল ইউরোপ-সেরার মুকুট।
নিজের মার্কারকে ছিটকে ফেলেছেন বারবার। অনেকটা নিচে নেমে মাঝমাঠজুড়ে করেছেন বিচরণ। আর বার্সার বেশির ভাগ আক্রমণেরই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে মোহিত করে রেখেছেন ম্যানইউর ডিফেন্ডারদের। কখনো কখনো ম্যানইউর রক্ষণ ছিঁড়ে বল নিয়ে গেছেন, কোনো নৃত্যশিল্পীর ধ্রুপদি নাচের মতো।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রুড ফন নিস্টলরয়ের সর্বোচ্চ ১২ গোলের রেকর্ড ছোঁয়া গোলটিও মেসি করেছেন এভাবে। মাঝমাঠের মাঝামাঝি জায়গায় বল পেয়ে দৌড় লাগান গোলের দিকে। দুজনকে কাটিয়ে সামনে পান নেমানিয়া ভিদিচকে। তাঁর পাশ দিয়ে ২০ মিটার দূর থেকে বলটি মারেন আচমকা। হতবিহ্বল এডউইন ফন ডার সার! ডেভিড ভিয়ার করা দলের শেষ গোলটিও মেসিরই বানিয়ে দেওয়া। সব মিলিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মেসিই। তবে মেসি দলীয় অর্জনটাকেই দেখছেন বড় করে, ‘ম্যাচসেরা হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা ভালো খেলেছি, শিরোপা জিতেছি; এটাই বেশি আনন্দের।’
এ পর্যন্ত অনেকেই বলেছেন, মেসি সেরাদের একজন। ম্যাচের আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, মেসি গ্রেট খেলোয়াড়দের একজন এবং তাঁর সঙ্গে যে তুলনা হচ্ছে, সেটা ঠিকই আছে। পরশু মেসির জাদুকরি খেলার পর বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা মেসিকে সন্দেহাতীতভাবে সেরা ঘোষণা করে দিয়েছেন, ‘আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় মেসি এবং সম্ভবত পরে আরও যত খেলোয়াড় ভবিষ্যতে দেখব, তাদের মধ্যেও মেসিই আমার সেরা থাকবে। মেসি অদ্বিতীয়।’
‘অদ্বিতীয়’ মেসির কাল হয়তো একটা অতৃপ্তি ঘুচে গেছে। স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে না পারার ওই অতৃপ্তি নিশ্চয়ই ইংল্যান্ডের মাঠে প্রথম গোল পাওয়ার আনন্দে ঘুচে গেছে। এই গোলে তাঁর এ মৌসুমের গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩-তে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সমান। গোলসংখ্যায় রোনালদো সমান হতে পারেন, কিন্তু জাভির কাছে মেসির সমান কেউ নন, ‘সে-ই এক নম্বর। সে-ই যেকোনো দলের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দেয়। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মেসি।’
প্রায় সবার চোখে এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় কি পারবেন নিজেকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নিয়ে যেতে? বিশেষজ্ঞদের মতে আরও একটা ধাপ এগিয়ে গেছেন পরশুর গোলে। শেষ ধাপটা তাহলে কী? বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ জিততে পারলেই হয়তো মেসিকে পাওয়া যাবে ‘ফুটবলসম্রাট’ পেলে আর ‘ফুটবল-ঈশ্বর’ ম্যারাডোনার নামের পাশে।
No comments