গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতেই হবে
এবার লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোটের (জি-৮) নেতারা। ফ্রান্সের দুভিলে দুই দিনব্যাপী জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে গত শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের নেতারা এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাঁকে (গাদ্দাফি) সরে যেতেই হবে।’ পশ্চিমা দেশগুলোর এই আহ্বানের সঙ্গে এবার লিবিয়ার মিত্র দেশ রাশিয়াও যোগ দিয়েছে। এর ফলে লিবিয়ায় নর্থ আটলান্টিক অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) হামলা আরও বেগবান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজধানী ত্রিপোলিতে টানা পাঁচ রাত হামলার পর ন্যাটো বাহিনী গতকাল শনিবার দিনের বেলাও হামলা চালিয়েছে।
জি-৮ নেতাদের ওই যৌথ বিবৃতে বলা হয়, গাদ্দাফি ও লিবিয়া সরকার সে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার বৈধতা হারিয়েছেন গাদ্দাফি। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক লিবিয়ায় তাঁর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। গাদ্দাফিকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।
রাশিয়াও এই যৌথ বিবৃতিতে একমত পোষণ করেছে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়। একই সঙ্গে গাদ্দাফির সরে যাওয়ার রাস্তা প্রস্তুত করার মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়েছে মস্কো। তবে লিবিয়া অভিযানে ন্যাটোর ভূমিকার সমালোচনা করেছে মস্কো।
সাংবাদিকদের মেদভেদেভ বলেন, গাদ্দাফির সরে দাঁড়ানো উচিত। তিনি আরও বলেন, গাদ্দাফি যদি লিবিয়া ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা হবে—এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তবে তাঁর বিদায় নেওয়ার ধরন সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ত্রিপোলির বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে বাব আল-আজিজিয়ায় গাদ্দাফির কম্পাউন্ডের অদূরে সেনা ব্যারাকে ন্যাটো হামলা চালায়। হামলার পর শহর থেকে আকাশে সাদা ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনের খবরের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদার নিকটবর্তী এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতিসহ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
লিবিয়ার চলমান সংকট নিরসনে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছেন গাদ্দাফি। সে দেশের বিরোধী পক্ষও এ ব্যাপারে ছাড় দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়া এর আগে লিবিয়ায় ন্যাটোর হামলার তীব্র সমালোচনা করেছিল। এবার রাশিয়া মধ্যস্থাকারীর ভূমিকা নিলেও লিবিয়ার পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে আরব লিগের মহাসচিব আমর মুসা বলেন, গাদ্দাফিকে যতোটুকু জানি, আমি মনে করি না যে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।
রাশিয়ার এ প্রস্তাব আরও আগে আসা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন লিবিয়ার বিদ্রোহী পক্ষের মুখপাত্র আবদেল হাফিদ গোগা।
জি-৮ নেতাদের সঙ্গে গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানোয় বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, লিবিয়ায় ন্যাটোর হামলা আরও গতি পাবে।
এদিকে গাদ্দাফির স্ত্রী সোফি ন্যাটোর বিমান হামলায় ছেলে সাইফ আল-আরব নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। গত শুক্রবার সিএনএনকে টেলিফোনে এ কথা বলেন তিনি। সোফিয়া বলেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম না। কিন্তু আমি যদি তার সঙ্গে সেখানে মরতে পারতাম খুব ভালো হতো।’ এক প্রশ্নের জবাবে সোফিয়া বলেন, ‘আমার সন্তানেরা বেসামরিক নাগরিক। তাদেরও লক্ষ্য করেছে ন্যাটো।’
গাদ্দাফির স্ত্রী বলেন, ‘ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করেছে। আমাদের মর্যাদা নষ্ট করার চেষ্টা করছে ন্যাটো বাহিনী।
এদিকে রাজধানী ত্রিপোলিতে টানা পাঁচ রাত হামলার পর ন্যাটো বাহিনী গতকাল শনিবার দিনের বেলাও হামলা চালিয়েছে।
জি-৮ নেতাদের ওই যৌথ বিবৃতে বলা হয়, গাদ্দাফি ও লিবিয়া সরকার সে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার বৈধতা হারিয়েছেন গাদ্দাফি। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক লিবিয়ায় তাঁর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। গাদ্দাফিকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।
রাশিয়াও এই যৌথ বিবৃতিতে একমত পোষণ করেছে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়। একই সঙ্গে গাদ্দাফির সরে যাওয়ার রাস্তা প্রস্তুত করার মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়েছে মস্কো। তবে লিবিয়া অভিযানে ন্যাটোর ভূমিকার সমালোচনা করেছে মস্কো।
সাংবাদিকদের মেদভেদেভ বলেন, গাদ্দাফির সরে দাঁড়ানো উচিত। তিনি আরও বলেন, গাদ্দাফি যদি লিবিয়া ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা হবে—এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তবে তাঁর বিদায় নেওয়ার ধরন সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ত্রিপোলির বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে বাব আল-আজিজিয়ায় গাদ্দাফির কম্পাউন্ডের অদূরে সেনা ব্যারাকে ন্যাটো হামলা চালায়। হামলার পর শহর থেকে আকাশে সাদা ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনের খবরের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদার নিকটবর্তী এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতিসহ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
লিবিয়ার চলমান সংকট নিরসনে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছেন গাদ্দাফি। সে দেশের বিরোধী পক্ষও এ ব্যাপারে ছাড় দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়া এর আগে লিবিয়ায় ন্যাটোর হামলার তীব্র সমালোচনা করেছিল। এবার রাশিয়া মধ্যস্থাকারীর ভূমিকা নিলেও লিবিয়ার পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে আরব লিগের মহাসচিব আমর মুসা বলেন, গাদ্দাফিকে যতোটুকু জানি, আমি মনে করি না যে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।
রাশিয়ার এ প্রস্তাব আরও আগে আসা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন লিবিয়ার বিদ্রোহী পক্ষের মুখপাত্র আবদেল হাফিদ গোগা।
জি-৮ নেতাদের সঙ্গে গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানোয় বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, লিবিয়ায় ন্যাটোর হামলা আরও গতি পাবে।
এদিকে গাদ্দাফির স্ত্রী সোফি ন্যাটোর বিমান হামলায় ছেলে সাইফ আল-আরব নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। গত শুক্রবার সিএনএনকে টেলিফোনে এ কথা বলেন তিনি। সোফিয়া বলেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম না। কিন্তু আমি যদি তার সঙ্গে সেখানে মরতে পারতাম খুব ভালো হতো।’ এক প্রশ্নের জবাবে সোফিয়া বলেন, ‘আমার সন্তানেরা বেসামরিক নাগরিক। তাদেরও লক্ষ্য করেছে ন্যাটো।’
গাদ্দাফির স্ত্রী বলেন, ‘ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করেছে। আমাদের মর্যাদা নষ্ট করার চেষ্টা করছে ন্যাটো বাহিনী।
No comments