বিসিএস পরীক্ষায় অনিয়ম
সরকারি প্রশাসনে নিয়োগ পরীক্ষা তথা বিসিএস পরীক্ষার গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছু নেই। চাকরিপ্রার্থীরা এই পরীক্ষাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে, সরকারি কর্মকমিশন তথা পিএসসির দিক থেকে বিষয়টিকে হেলাফেলাভাবেই দেখা হয়। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া থেকে শুরু করে বহু অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনৈতিক ঘটনা ঘটে। যে কারণে অযোগ্যরাও সরকারি চাকরি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন। আশার কথা যে স্বয়ং পিএসসি এখন পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও চ্যালেঞ্জিং করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। তারা পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা তথা হল ও আসনবিন্যাস আরও সুচারু করার ব্যাপারে সুপারিশও করেছে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যে পরীক্ষা জীবন-মরণ, সরকারের কাছে সেই পরীক্ষা হলো নবীন কর্মকর্তা নিয়োগের কর্তব্য। পরীক্ষা ও মূল্যায়নপদ্ধতি যত নিশ্ছিদ্র ও নিরপেক্ষ করা যায়, ততই রাষ্ট্রের জন্য একজন যোগ্য কর্মকর্তা পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু বিগত এক দশকের অভিজ্ঞতা বলে, উপর্যুপরি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে নিয়োগপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর বাইরে আলোচিত হয়েছে পরীক্ষার হলে আসনবিন্যাস, নজরদারি এবং নকল ঠেকানোয় গাফিলতির বিষয়টি। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া সরকারি কর্মকমিশন প্রতিবেদনে (২০১০) এসব অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে। বাস্তবতই, সুষ্ঠু পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে হলে প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তার পাশাপাশি পরীক্ষার হলের পরিবেশ রক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে কেউ যাতে নকল করতে না পারেন, কেউ যাতে আসনবিন্যাসকে প্রভাবিত করতে না পারেন, কারও পক্ষেই যাতে প্রতারণার মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া সম্ভব না হয়; তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব নিশ্চিত করার পরেই বলা যাবে যে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে এবং তুলনামূলক যোগ্যরাই সরকারের প্রশাসনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রশাসনের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও সুবিধাবাদিতাও কমানো সম্ভব।
কিন্তু এর জন্য যথাযথ ও অলঙ্ঘনীয় আইনি পরিকাঠামো নেই। অর্থাত্, পরীক্ষাপদ্ধতি সুষ্ঠু করার আইনি বাধ্যবাধকতার অভাব রয়েছে। এই লক্ষ্যে পিএসসি একটি নীতিমালাসহ ১১ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হলে ও কেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানো, যথাসম্ভব পিএসসির নিজস্ব হলে পরীক্ষা নেওয়া, পরীক্ষা পরিদর্শকদের দায়বদ্ধ করা ও হলে মুঠোফোন নিষিদ্ধ করা। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরষের ভেতরের ভূত দূর করা। যাঁরা পরীক্ষা তদারকি করবেন, যাঁরা খাতা দেখবেন, তাঁদের বাছাই-প্রক্রিয়াও ত্রুটিহীন করতে হবে। তাঁরা যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকেন বা সেসব উপেক্ষা করেন, তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যাবতীয় রাজনৈতিক ও পেশিশক্তির চাপ থেকেও তাঁদের সুরক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নত করার স্বার্থে প্রয়োজনে যেসব দেশ এসব ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে, সেসব দেশের অভিজ্ঞতাও যাচাই করা যায়।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যে পরীক্ষা জীবন-মরণ, সরকারের কাছে সেই পরীক্ষা হলো নবীন কর্মকর্তা নিয়োগের কর্তব্য। পরীক্ষা ও মূল্যায়নপদ্ধতি যত নিশ্ছিদ্র ও নিরপেক্ষ করা যায়, ততই রাষ্ট্রের জন্য একজন যোগ্য কর্মকর্তা পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু বিগত এক দশকের অভিজ্ঞতা বলে, উপর্যুপরি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে নিয়োগপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর বাইরে আলোচিত হয়েছে পরীক্ষার হলে আসনবিন্যাস, নজরদারি এবং নকল ঠেকানোয় গাফিলতির বিষয়টি। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া সরকারি কর্মকমিশন প্রতিবেদনে (২০১০) এসব অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে। বাস্তবতই, সুষ্ঠু পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে হলে প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তার পাশাপাশি পরীক্ষার হলের পরিবেশ রক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে কেউ যাতে নকল করতে না পারেন, কেউ যাতে আসনবিন্যাসকে প্রভাবিত করতে না পারেন, কারও পক্ষেই যাতে প্রতারণার মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া সম্ভব না হয়; তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব নিশ্চিত করার পরেই বলা যাবে যে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে এবং তুলনামূলক যোগ্যরাই সরকারের প্রশাসনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রশাসনের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও সুবিধাবাদিতাও কমানো সম্ভব।
কিন্তু এর জন্য যথাযথ ও অলঙ্ঘনীয় আইনি পরিকাঠামো নেই। অর্থাত্, পরীক্ষাপদ্ধতি সুষ্ঠু করার আইনি বাধ্যবাধকতার অভাব রয়েছে। এই লক্ষ্যে পিএসসি একটি নীতিমালাসহ ১১ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হলে ও কেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানো, যথাসম্ভব পিএসসির নিজস্ব হলে পরীক্ষা নেওয়া, পরীক্ষা পরিদর্শকদের দায়বদ্ধ করা ও হলে মুঠোফোন নিষিদ্ধ করা। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরষের ভেতরের ভূত দূর করা। যাঁরা পরীক্ষা তদারকি করবেন, যাঁরা খাতা দেখবেন, তাঁদের বাছাই-প্রক্রিয়াও ত্রুটিহীন করতে হবে। তাঁরা যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকেন বা সেসব উপেক্ষা করেন, তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যাবতীয় রাজনৈতিক ও পেশিশক্তির চাপ থেকেও তাঁদের সুরক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নত করার স্বার্থে প্রয়োজনে যেসব দেশ এসব ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে, সেসব দেশের অভিজ্ঞতাও যাচাই করা যায়।
No comments