যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান না ছাড়ার অনুরোধ জানায় ভারত
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। দেশটি থেকে মার্কিন সেনারা চলে গেলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে ভেবে নয়াদিল্লি ২০১০ সালে এই অনুরোধ জানায়। ফাঁস হওয়া মার্কিন কূটনৈতিক নথির বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়। হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের কাছ থেকে এই নথিবিষয়ক তথ্য তারা পেয়েছে বলে দাবি করে।
২০০৯ সালে মার্কিন মিলিটারি একাডেমিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের শুরুতে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগান সেনাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের শুরুতে মার্কিন সিনেটর ক্লেয়ার ম্যাকক্যাসকিল ভারত সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শিবশঙ্কর বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে জঙ্গি দমনে যা করণীয়, ইসলামাবাদ তা করবে না।
এই উদ্বেগ থেকে ভারত আফগানিস্তানের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি আফগানিস্তান সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এ সময় তিনি আফগানিস্তানে ভারতের উন্নয়ন-সহায়তা ১৩০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার করার কথা ঘোষণা করেন। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগকেও সমর্থন করেন মনমোহন সিং।
উইকিলিকসের ফাঁস করা ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির মার্কিন তারবার্তায় ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি জে রোয়েমার বলেন, শিবশঙ্কর মেনন তাঁকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে জোট বাহিনী জয়ী হবে, অধিকাংশ ভারতীয় পর্যবেক্ষক এটা বিশ্বাস করে। ওই তারবার্তায় আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্য জোট বাহিনীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে তারা ওই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। কারণ, এর আগে আফগানিস্তানে তারা তিনটি যুদ্ধে হেরেছে।
শিবশঙ্কর মেনন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ভারতে বৃত্তি পাওয়ার জন্য আফগানিস্তানের ১৩ হাজার নাগরিক পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু তাঁরা কেউ উত্তীর্ণ হননি। এ থেকে বোঝা যায়, এমন একটি সুযোগ পেতে আফগান জনগণ কত মরিয়া। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে সাফল্য অর্জন করতে এলে ‘সামরিক অভিযানের চেয়ে বেশি কিছু করতে হবে।’
শিবশঙ্কর মেননকে আশ্বস্ত করে মার্কিন সিনেটর ম্যাকক্যাসকিল বলেন, ২০১১ সাল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করা হলেও আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
২০০৯ সালে মার্কিন মিলিটারি একাডেমিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১১ সালের শুরুতে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগান সেনাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের শুরুতে মার্কিন সিনেটর ক্লেয়ার ম্যাকক্যাসকিল ভারত সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শিবশঙ্কর বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে জঙ্গি দমনে যা করণীয়, ইসলামাবাদ তা করবে না।
এই উদ্বেগ থেকে ভারত আফগানিস্তানের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি আফগানিস্তান সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এ সময় তিনি আফগানিস্তানে ভারতের উন্নয়ন-সহায়তা ১৩০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার করার কথা ঘোষণা করেন। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগকেও সমর্থন করেন মনমোহন সিং।
উইকিলিকসের ফাঁস করা ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির মার্কিন তারবার্তায় ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি জে রোয়েমার বলেন, শিবশঙ্কর মেনন তাঁকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে জোট বাহিনী জয়ী হবে, অধিকাংশ ভারতীয় পর্যবেক্ষক এটা বিশ্বাস করে। ওই তারবার্তায় আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্য জোট বাহিনীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে তারা ওই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। কারণ, এর আগে আফগানিস্তানে তারা তিনটি যুদ্ধে হেরেছে।
শিবশঙ্কর মেনন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ভারতে বৃত্তি পাওয়ার জন্য আফগানিস্তানের ১৩ হাজার নাগরিক পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু তাঁরা কেউ উত্তীর্ণ হননি। এ থেকে বোঝা যায়, এমন একটি সুযোগ পেতে আফগান জনগণ কত মরিয়া। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে সাফল্য অর্জন করতে এলে ‘সামরিক অভিযানের চেয়ে বেশি কিছু করতে হবে।’
শিবশঙ্কর মেননকে আশ্বস্ত করে মার্কিন সিনেটর ম্যাকক্যাসকিল বলেন, ২০১১ সাল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করা হলেও আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
No comments