‘ড্রাগ নিয়েছিল আর্জেন্টিনা দল’
মনে হচ্ছে, সাপের লেজেই পা দিয়েছেন হুলিও গ্রন্ডোনা। আগের দিনই ডিয়েগো ম্যারাডোনা ফণা তুলেছিলেন। এবার মারলেন মোক্ষম ছোবল। গুরুতর অভিযোগ তুলে বললেন, ১৯৯৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার আগে নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছিল আর্জেন্টিনা দল এবং ফিফার প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থার (এএফএ) প্রধান গ্রন্ডোনাও ছিলেন এই পরিকল্পনার অংশ।
১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আর্জেন্টিনাকে প্লে-অফ খেলতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। প্রথম ম্যাচটি ১-১ ড্র হওয়ার পর বুয়েনস এইরেসের ফিরতি লেগে অ্যালেক্স টবিনের আত্মঘাতী গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বও নিশ্চিত হয়। ম্যারাডোনা জানালেন, ওই ম্যাচের আগেই কফির মাধ্যমে ডোপ দেওয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের। ওয়েবসাইট।
‘অস্ট্রেলিয়ার ওই ম্যাচের আগে ডোপ টেস্ট হলো না কেন, যেখানে বাকি সব ম্যাচেই হয়েছিল? ওরা ১০টি ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করেছিল। কেবল সেই ম্যাচেই তা করা হলো না, যে ম্যাচটির ওপর নির্ভর করছিল আর্জেন্টিনা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি যাবে না। এভাবেই প্রতারণা করা হয়েছে। গ্রন্ডোনা এর সবই জানতেন’—‘দ্য ফুটবল শো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরশু এই বিস্ফোরক মন্তব্যই করেছেন ম্যারাডোনা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপেই ডোপ টেস্টে ধরা পড়েন আর্জেন্টিনার এই সাবেক তারকা।
ওই ম্যাচের আগে কী হয়েছিল সেটাই বলেছেন ম্যারাডোনা, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচের আগে কফিতে এমন কিছু মেশানো হয়েছিল, আমরা যেন বেশি শক্তি পাই। এর ফলে ওই ম্যাচে আমরা অনেক বেশি দৌড়াতে পেরেছিলাম।’
ম্যারাডোনার কথার আগল খুলে দিয়েছেন আসলে গ্রন্ডোনাই। বিশ্বকাপের পর থেকেই দুজনের সম্পর্ক খারাপ। প্রায়ই দুই পক্ষের তিক্ত বাগ্যুদ্ধ খবরের শিরোনাম হয়ে আসে। সম্প্রতি গ্রন্ডোনা ম্যারাডোনার ড্রাগ-আসক্ত অতীতের দিকে ইঙ্গিত করে খোঁচা দিয়েছিলেন। জবাবে আল ওয়াসল ক্লাবে কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া ম্যারাডোনা গ্রন্ডোনার পুরো পরিবারকে আদালতে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এখন তো দাবি করছেন, যে ড্রাগ নিয়ে ম্যারাডোনাকে খোঁচা দিয়েছেন, গ্রন্ডোনা নিজেও সেই ড্রাগের পরোক্ষ আশ্রয় নিয়েছিলেন দলকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দিতে।
কেন এত দিন পর এসব বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ম্যারাডোনা, ‘ডাক্তাররা আমাদের যা দিয়েছিল, আমরা সেটাই নিয়েছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য আমাদের কমলার জুস খেতে বললে সেটাও খেতাম। এখন আমি এসব কথা বলছি কারণ, গ্রন্ডোনা ড্রাগ নিয়ে এমনভাবে কথা বলেন, যেন তিনি ফুটবলে ড্রাগের ব্যবহার আর আমার অসুস্থতা বিষয়ে কিছুই জানেন না।’
১৯৭৯ সাল থেকে এএফএর প্রধানের পদে আসীন গ্রন্ডোনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণাও দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল-ঈশ্বর। সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, আর যেন সমর্থন দেওয়া না হয় ৭৯ বছর বয়সী গ্রন্ডোনাকে, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে (ক্রিশ্চিনা কির্চনার) বলছি, যেন তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। আমি বলছি, পরিবর্তন দরকার। যেসব নোংরামি গ্রন্ডোনা করেছেন, তাঁর বয়স এবং তাঁর সময় পার হয়ে যাওয়া—এসব বিবেচনা করার পরও যদি তাঁকে সমর্থন দিতেই থাকেন, সেটা হবে ভুল।’
এ ব্যাপারে গ্রন্ডোনার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ম্যারাডোনার সাবেক সতীর্থরা দাবি করছেন, এই দাবি মোটেও সঠিক নয়।
১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আর্জেন্টিনাকে প্লে-অফ খেলতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। প্রথম ম্যাচটি ১-১ ড্র হওয়ার পর বুয়েনস এইরেসের ফিরতি লেগে অ্যালেক্স টবিনের আত্মঘাতী গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বও নিশ্চিত হয়। ম্যারাডোনা জানালেন, ওই ম্যাচের আগেই কফির মাধ্যমে ডোপ দেওয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের। ওয়েবসাইট।
‘অস্ট্রেলিয়ার ওই ম্যাচের আগে ডোপ টেস্ট হলো না কেন, যেখানে বাকি সব ম্যাচেই হয়েছিল? ওরা ১০টি ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করেছিল। কেবল সেই ম্যাচেই তা করা হলো না, যে ম্যাচটির ওপর নির্ভর করছিল আর্জেন্টিনা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি যাবে না। এভাবেই প্রতারণা করা হয়েছে। গ্রন্ডোনা এর সবই জানতেন’—‘দ্য ফুটবল শো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরশু এই বিস্ফোরক মন্তব্যই করেছেন ম্যারাডোনা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপেই ডোপ টেস্টে ধরা পড়েন আর্জেন্টিনার এই সাবেক তারকা।
ওই ম্যাচের আগে কী হয়েছিল সেটাই বলেছেন ম্যারাডোনা, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচের আগে কফিতে এমন কিছু মেশানো হয়েছিল, আমরা যেন বেশি শক্তি পাই। এর ফলে ওই ম্যাচে আমরা অনেক বেশি দৌড়াতে পেরেছিলাম।’
ম্যারাডোনার কথার আগল খুলে দিয়েছেন আসলে গ্রন্ডোনাই। বিশ্বকাপের পর থেকেই দুজনের সম্পর্ক খারাপ। প্রায়ই দুই পক্ষের তিক্ত বাগ্যুদ্ধ খবরের শিরোনাম হয়ে আসে। সম্প্রতি গ্রন্ডোনা ম্যারাডোনার ড্রাগ-আসক্ত অতীতের দিকে ইঙ্গিত করে খোঁচা দিয়েছিলেন। জবাবে আল ওয়াসল ক্লাবে কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া ম্যারাডোনা গ্রন্ডোনার পুরো পরিবারকে আদালতে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এখন তো দাবি করছেন, যে ড্রাগ নিয়ে ম্যারাডোনাকে খোঁচা দিয়েছেন, গ্রন্ডোনা নিজেও সেই ড্রাগের পরোক্ষ আশ্রয় নিয়েছিলেন দলকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দিতে।
কেন এত দিন পর এসব বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ম্যারাডোনা, ‘ডাক্তাররা আমাদের যা দিয়েছিল, আমরা সেটাই নিয়েছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য আমাদের কমলার জুস খেতে বললে সেটাও খেতাম। এখন আমি এসব কথা বলছি কারণ, গ্রন্ডোনা ড্রাগ নিয়ে এমনভাবে কথা বলেন, যেন তিনি ফুটবলে ড্রাগের ব্যবহার আর আমার অসুস্থতা বিষয়ে কিছুই জানেন না।’
১৯৭৯ সাল থেকে এএফএর প্রধানের পদে আসীন গ্রন্ডোনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণাও দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল-ঈশ্বর। সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, আর যেন সমর্থন দেওয়া না হয় ৭৯ বছর বয়সী গ্রন্ডোনাকে, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে (ক্রিশ্চিনা কির্চনার) বলছি, যেন তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। আমি বলছি, পরিবর্তন দরকার। যেসব নোংরামি গ্রন্ডোনা করেছেন, তাঁর বয়স এবং তাঁর সময় পার হয়ে যাওয়া—এসব বিবেচনা করার পরও যদি তাঁকে সমর্থন দিতেই থাকেন, সেটা হবে ভুল।’
এ ব্যাপারে গ্রন্ডোনার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ম্যারাডোনার সাবেক সতীর্থরা দাবি করছেন, এই দাবি মোটেও সঠিক নয়।
No comments