অ্যাসাঞ্জকে যে কারণে গ্রেপ্তার করতে চায় সুইডেন
উইকিলিকস ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করতে চায় সুইডেন কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার সে দেশের তদন্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আবার জারি করা হয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে দুজন নারী বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগও রয়েছে। তবে সেগুলোর কোনোটিই গুরুতর অপরাধ নয়। মূলত ওই অভিযোগগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অ্যাসাঞ্জকে পেতে চাইছেন সুইডেনের কর্মকর্তারা। কিন্তু এ জন্য আন্তর্জাতিক বা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা জানান, সেপ্টেম্বরে সুইডেনের প্রথম যে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগগুলোর তদন্ত করেছিলেন, তিনি পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় মামলাটির কার্যক্রম থামিয়ে দেন। পরে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে ওই মামলা আবার চালু করেন। অবশ্য অ্যাসাঞ্জের দাবি তিনি কোনো অপরাধ করেননি। গত গ্রীষ্মে অ্যাসাঞ্জ সুইডেন ত্যাগ করেন। ওই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। কিন্তু নভেম্বরে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ধারণা করা হয়, তিনি যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে আছেন।
যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার দরকার ছিল না। কারণ অ্যাসাঞ্জ বিদেশে সুইডেনের যেকোনো দূতাবাসে অথবা অনলাইনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে রাজি।
বেশ কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ জানান, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে, সুইডেনের তদন্ত কর্মকর্তারা তার তদন্ত ভুলভাবে শুরু করেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে ব্রিটেনের সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়, তা কার্যকর করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি। কারণ ওই পরোয়ানায় শুধু ধর্ষণের অপরাধে কারাদণ্ডের মেয়াদের কথা উল্লেখ করা আছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সব অপরাধে কত বছর কারাদণ্ড হতে পারে, তা জানতে চেয়েছে।
অ্যাসাঞ্জের সুইডিশ আইনজীবী বোয়োর্ন হার্টিং বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এটা খুবই অপেশাদারসুলভ কাজ। আপনি যদি অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খেয়াল করেন, তাহলে বুঝবেন তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাটা অত্যন্ত কঠোর সিদ্ধান্ত। কেন এই তড়িঘড়ি? সম্ভবত বাইরের কোনো চাপের কারণে এটি করা হয়েছে। কোনো কর্তৃপক্ষ হয়তো অ্যাসাঞ্জকে ধরতে চায় সুইডেনে এবং তাঁকে সেখান থেকে নিজেদের কর্তৃত্বে নিতে চায়।’
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে সুইডেনের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, সুইডেনের আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে কোনো স্থানে আসামিকে জেরা করা যায় না। তাই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা অ্যাসাঞ্জ প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, তিনি আততায়ীর হামলার আশঙ্কায় আছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সহিংস প্রকৃতির নয়। গত সপ্তাহে আড়াই লাখ মার্কিন গোপন কূটনৈতিক নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওয়েবসাইটটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে হামলা চালানো হয়েছে।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে দুজন নারী বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগও রয়েছে। তবে সেগুলোর কোনোটিই গুরুতর অপরাধ নয়। মূলত ওই অভিযোগগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অ্যাসাঞ্জকে পেতে চাইছেন সুইডেনের কর্মকর্তারা। কিন্তু এ জন্য আন্তর্জাতিক বা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা জানান, সেপ্টেম্বরে সুইডেনের প্রথম যে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগগুলোর তদন্ত করেছিলেন, তিনি পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় মামলাটির কার্যক্রম থামিয়ে দেন। পরে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে ওই মামলা আবার চালু করেন। অবশ্য অ্যাসাঞ্জের দাবি তিনি কোনো অপরাধ করেননি। গত গ্রীষ্মে অ্যাসাঞ্জ সুইডেন ত্যাগ করেন। ওই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। কিন্তু নভেম্বরে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ধারণা করা হয়, তিনি যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে আছেন।
যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার দরকার ছিল না। কারণ অ্যাসাঞ্জ বিদেশে সুইডেনের যেকোনো দূতাবাসে অথবা অনলাইনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে রাজি।
বেশ কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ জানান, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে, সুইডেনের তদন্ত কর্মকর্তারা তার তদন্ত ভুলভাবে শুরু করেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে ব্রিটেনের সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়, তা কার্যকর করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি। কারণ ওই পরোয়ানায় শুধু ধর্ষণের অপরাধে কারাদণ্ডের মেয়াদের কথা উল্লেখ করা আছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সব অপরাধে কত বছর কারাদণ্ড হতে পারে, তা জানতে চেয়েছে।
অ্যাসাঞ্জের সুইডিশ আইনজীবী বোয়োর্ন হার্টিং বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এটা খুবই অপেশাদারসুলভ কাজ। আপনি যদি অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খেয়াল করেন, তাহলে বুঝবেন তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাটা অত্যন্ত কঠোর সিদ্ধান্ত। কেন এই তড়িঘড়ি? সম্ভবত বাইরের কোনো চাপের কারণে এটি করা হয়েছে। কোনো কর্তৃপক্ষ হয়তো অ্যাসাঞ্জকে ধরতে চায় সুইডেনে এবং তাঁকে সেখান থেকে নিজেদের কর্তৃত্বে নিতে চায়।’
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে সুইডেনের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, সুইডেনের আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে কোনো স্থানে আসামিকে জেরা করা যায় না। তাই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা অ্যাসাঞ্জ প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, তিনি আততায়ীর হামলার আশঙ্কায় আছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সহিংস প্রকৃতির নয়। গত সপ্তাহে আড়াই লাখ মার্কিন গোপন কূটনৈতিক নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওয়েবসাইটটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে হামলা চালানো হয়েছে।
No comments