শেষ হলো ২৪ বছরের অপেক্ষা
ইংল্যান্ডের ২৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ড শেষবারের মতো টেস্ট জিতেছিল ১৯৮৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ইংল্যান্ডের আজকের দলের সদস্য স্টুয়ার্ট ব্রডের বয়স তখন মাত্র ছয় মাস। আর স্টিভেন ফিনের তো তখন জন্মই হয়নি। অ্যাডিলেড টেস্টের শেষ দিন অফ স্পিনার গ্রায়েম সওয়ান যখন পিটার সিডলকে আউট করলেন, ঠিক সেই সময় বিরাট এক জগদ্দল পাথরের ভার যেন নেমে গেল ইংল্যান্ডের বুক থেকে। এ অসাধারণ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস মনে করেন, পুরো দলের ক্ষুরধার পারফরম্যান্সই এ জয়ের নেপথ্যে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সের পরেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে ঘুরে দাঁড়ানোই ইঙ্গিত দিয়েছিল পরিবর্তিত ইংলিশ দলের। সেই টেস্টে অ্যালিস্টার কুকের অসাধারণ ব্যাটিং একটি সম্ভাব্য পরাজয়ের হাত থেকে দলকে রক্ষা করার পরেই গোটা ইংল্যান্ডই এখন অন্য গ্রহের এক দল। অ্যাডিলেড টেস্টের পুরো পাঁচ দিন সেটাই হাতে-নাতে প্রমাণ করেছেন স্ট্রাউস, পিটারসেন, কুক, সওয়ান আর ব্রডরা। যার সম্মিলিত ফলাফল অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়া। অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের এ মিশনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্স আর বোলিং সাফল্যের জয়গান ঘুরে ফিরেই চলে আসছে ইংলিশ অধিনায়কের কণ্ঠে।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস মনে করেন, এই অ্যাডিলেডেই চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুঃখজনক পরাজয়ের স্মৃতি এবারের বিজয়ে অনেকটা প্রভাবকের কাজ করেছে। স্ট্রাউস বলেন, ‘চার বছর আগে এক দুঃসহ পরাজয়ের শিকার হতে হয়েছিল ইংল্যান্ড দলকে। এবার তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল আমাদের। আমরা সব সময় ভেবেছি প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের পরেও অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ফিরে আসতে পারে। আমরা সম্মিলিতভাবে চমৎকার পারফরম্যান্স দিয়ে সেই সম্ভাবনার পথগুলোকেই বন্ধ করে দিয়েছি।’
স্ট্রাউসের মতে, প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের রান উৎসব অ্যাডিলেডে জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। বোলাররা সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অসাধারণ বোলিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে হার মানতে বাধ্য করেছে। স্ট্রাউস বলেন, ‘গোটা দুই দিন ধরে একই জায়গায় বল করে যাওয়ার ব্যাপারটি মুখে বলা যত সহজ, কাজে পরিণত করা ঠিক ততটাই কঠিন। ক্রিস ব্রড, গ্রায়েম সওয়ানেরা সেই কাজটিই করেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। সওয়ান সব সময় অসি ব্যাটসম্যানদের ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল। ব্যাটসম্যানরা যখন রান করতে পারে না, তখন সে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় থাকে, ভুলটা সেই সময়ই করে বসে সে। অ্যাডিলেডে ঠিক এ ব্যাপারটিই ঘটিয়েছে আমাদের বোলাররা।’
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস পুরো দলের প্রশংসা করতে গিয়ে আলাদাভাবে কেভিন পিটারসেনকে বাহবা দিতে ভোলেননি। পিটারসেনের অসাধারণ পারফরম্যান্স যে এ অসাধারণ জয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ, তা স্মরণ করেছেন কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই। তিনি বলেছেন, ‘পিটারসেন অনেক দিন ধরেই রানে ছিল না। তবে অ্যাশেজ সিরিজের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোতে সে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ভালো লাগছে, সে তাঁর ধ্রুপদী ছন্দে ফিরেছে। পিটারসেন ফর্মে থাকলে কী হতে পারে, তা দেখেছে অ্যাডিলেডের দর্শকেরা।’
অস্ট্রেলিয়াতে ২৪ বছর পর টেস্ট জয়ের এ অনন্য মুহূর্ত আনন্দে-উৎসবেই কাটাতে চায় ইংলিশ খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক স্ট্রাউসেরও পূর্ণ সায় রয়েছে তাতে। বলেছেন, ‘আজ সত্যিই অন্য রকম একটি দিন। অনেক দিনের পরিশ্রমের পর এমন একটি মুহূর্ত এসেছে আমাদের সামনে। এ রাতটি আনন্দ করেই কাটাতে চাই আমরা।’
সত্যিই এ আনন্দ উদযাপন ইংলিশদেরই মানায়!
ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সের পরেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে ঘুরে দাঁড়ানোই ইঙ্গিত দিয়েছিল পরিবর্তিত ইংলিশ দলের। সেই টেস্টে অ্যালিস্টার কুকের অসাধারণ ব্যাটিং একটি সম্ভাব্য পরাজয়ের হাত থেকে দলকে রক্ষা করার পরেই গোটা ইংল্যান্ডই এখন অন্য গ্রহের এক দল। অ্যাডিলেড টেস্টের পুরো পাঁচ দিন সেটাই হাতে-নাতে প্রমাণ করেছেন স্ট্রাউস, পিটারসেন, কুক, সওয়ান আর ব্রডরা। যার সম্মিলিত ফলাফল অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়া। অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের এ মিশনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্স আর বোলিং সাফল্যের জয়গান ঘুরে ফিরেই চলে আসছে ইংলিশ অধিনায়কের কণ্ঠে।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস মনে করেন, এই অ্যাডিলেডেই চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুঃখজনক পরাজয়ের স্মৃতি এবারের বিজয়ে অনেকটা প্রভাবকের কাজ করেছে। স্ট্রাউস বলেন, ‘চার বছর আগে এক দুঃসহ পরাজয়ের শিকার হতে হয়েছিল ইংল্যান্ড দলকে। এবার তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল আমাদের। আমরা সব সময় ভেবেছি প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের পরেও অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ফিরে আসতে পারে। আমরা সম্মিলিতভাবে চমৎকার পারফরম্যান্স দিয়ে সেই সম্ভাবনার পথগুলোকেই বন্ধ করে দিয়েছি।’
স্ট্রাউসের মতে, প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের রান উৎসব অ্যাডিলেডে জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। বোলাররা সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অসাধারণ বোলিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে হার মানতে বাধ্য করেছে। স্ট্রাউস বলেন, ‘গোটা দুই দিন ধরে একই জায়গায় বল করে যাওয়ার ব্যাপারটি মুখে বলা যত সহজ, কাজে পরিণত করা ঠিক ততটাই কঠিন। ক্রিস ব্রড, গ্রায়েম সওয়ানেরা সেই কাজটিই করেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। সওয়ান সব সময় অসি ব্যাটসম্যানদের ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল। ব্যাটসম্যানরা যখন রান করতে পারে না, তখন সে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় থাকে, ভুলটা সেই সময়ই করে বসে সে। অ্যাডিলেডে ঠিক এ ব্যাপারটিই ঘটিয়েছে আমাদের বোলাররা।’
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস পুরো দলের প্রশংসা করতে গিয়ে আলাদাভাবে কেভিন পিটারসেনকে বাহবা দিতে ভোলেননি। পিটারসেনের অসাধারণ পারফরম্যান্স যে এ অসাধারণ জয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ, তা স্মরণ করেছেন কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই। তিনি বলেছেন, ‘পিটারসেন অনেক দিন ধরেই রানে ছিল না। তবে অ্যাশেজ সিরিজের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোতে সে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ভালো লাগছে, সে তাঁর ধ্রুপদী ছন্দে ফিরেছে। পিটারসেন ফর্মে থাকলে কী হতে পারে, তা দেখেছে অ্যাডিলেডের দর্শকেরা।’
অস্ট্রেলিয়াতে ২৪ বছর পর টেস্ট জয়ের এ অনন্য মুহূর্ত আনন্দে-উৎসবেই কাটাতে চায় ইংলিশ খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক স্ট্রাউসেরও পূর্ণ সায় রয়েছে তাতে। বলেছেন, ‘আজ সত্যিই অন্য রকম একটি দিন। অনেক দিনের পরিশ্রমের পর এমন একটি মুহূর্ত এসেছে আমাদের সামনে। এ রাতটি আনন্দ করেই কাটাতে চাই আমরা।’
সত্যিই এ আনন্দ উদযাপন ইংলিশদেরই মানায়!
No comments