স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' by রফিকুল হাসান
ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের অগি্নযুগের মহানায়ক বাঘা যতীন অর্থাৎ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দেশ-কালের ঊধর্ে্ব অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত এক ব্যক্তিত্ব। এ বিপ্লবী ভবিষ্যৎ বাঙালির জন্য যে ইতিহাস রচনা করে গেছেন, তা আমাদের অহংকারের একটি বড় জায়গা। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে নিজস্ব মূল্যবোধ তৈরিতে বাঘা যতীনরা সব কালের দেশপ্রেমের আলোকচ্ছটায় হীরকদ্যুতির মতো উজ্জ্বল। ভারতবর্ষের মানুষকে সর্বপ্রকারে মুক্ত করে রাষ্ট্র ও সমাজের সব হীন দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে অর্থনৈতিক শ্রেণীবৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন।
এ লক্ষ্যেই তিনি বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনকে একত্র করে 'যুগান্তর দল' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর আন্দোলনের কৌশল ও দূরদর্শিতার গুণে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করে। আর তিনি হয়ে ওঠেন সর্বভারতীয় নেতা। অগি্নযুগের এ নান্দীকারের জন্ম বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে, মাতুলালয়ে; ৮ ডিসেম্বর ১৮৭৯ সালে। পৈতৃক নিবাস ঝিনাইদহের সাধুহাটীর রিশখালী গ্রামে। সত্যসাধক উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁর বাবা। সে সময়ের সুপ্রশংসিত কবি শরৎশশী দেবী তাঁর মা। অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন বাঘা যতীন। অচেনা বৃদ্ধ মহিলার মাথা থেকে ধানের বোঝা নিজের মাথায় বহন করে যথাস্থানে পেঁৗছে দেওয়া, দুরন্ত পাগলা ঘোড়াকে বশীকরণের মাধ্যমে শিশুর জীবন রক্ষা, বাঙালি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটায় ব্রিটিশকে ঠাস ঠাস করে চড় মারা, শিলিগুড়ি স্টেশনে উচ্চপদস্থ ইংরেজ সামরিক কর্মচারীদের একাই পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া_এ রকম অসংখ্য ঘটনার নায়ক তিনি। এসব ঘটনা তাঁর জীবনে যুক্ত না হলেও তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসংগ্রামে অগি্নযুগের মহানায়ক হিসেবেই অভিহিত হতেন। ব্রিটিশবিরোধী নতুন এক বিপ্লবযাত্রা শুরু হয় তাঁর মাধ্যমে। বালেশ্বরের কাপ্তিপোদায় মাদারীপুরের চিত্তপ্রিয় মনোরঞ্জন ও নীরেন এবং কুষ্টিয়ার জ্যোতিষ_এই চার কিশোর যোদ্ধাকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার ব্রিটিশ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে যে মরণযুদ্ধ করেন, তা ছিল অভিনব এবং ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধ ছিল অপরিকল্পিত। পরিস্থিতি তাঁকে এ যুদ্ধে যতটা ঠেলে দিয়েছিল, তার চেয়ে বড় ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং তাই-ই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিনি জানতেন এতে মৃত্যু অনিবার্য। ইচ্ছে করলে পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারতেন তিনি। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে অনুরোধও করেছিলেন। তিনি তা গ্রাহ্য করেননি। এ যুদ্ধ যদি ব্যর্থ না হতো অথবা এ যুদ্ধ যদি পরিকল্পনামাফিক সংঘটিত হতো, তিনি জার্মানির সাহায্যে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে যেভাবে দেশ স্বাধীন করার প্রত্যয় ও প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিলেন, সেটি সম্ভব হলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা হতে পারত অন্যভাবে। কাপ্তিপোদার যুদ্ধে প্রায় ২৬ বছর পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭-১৯৪৫) বাঘা যতীনের বিপ্লবী কর্মসূচি হুবহু অনুসরণ করেছিলেন। দেশের রাজনীতি যখন ক্ষুদ্র স্বার্থে ঘুরপাক খায়, তখন বাঘা যতীনদের কুণ্ঠাহীন দেশপ্রেম থেকে শিক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। বাঘা যতীনরা কখনো ব্যক্তি বা ক্ষুদ্রস্বার্থকে গুরুত্ব দেননি। গভীর শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করি।
এ লক্ষ্যেই তিনি বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনকে একত্র করে 'যুগান্তর দল' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর আন্দোলনের কৌশল ও দূরদর্শিতার গুণে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করে। আর তিনি হয়ে ওঠেন সর্বভারতীয় নেতা। অগি্নযুগের এ নান্দীকারের জন্ম বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে, মাতুলালয়ে; ৮ ডিসেম্বর ১৮৭৯ সালে। পৈতৃক নিবাস ঝিনাইদহের সাধুহাটীর রিশখালী গ্রামে। সত্যসাধক উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁর বাবা। সে সময়ের সুপ্রশংসিত কবি শরৎশশী দেবী তাঁর মা। অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন বাঘা যতীন। অচেনা বৃদ্ধ মহিলার মাথা থেকে ধানের বোঝা নিজের মাথায় বহন করে যথাস্থানে পেঁৗছে দেওয়া, দুরন্ত পাগলা ঘোড়াকে বশীকরণের মাধ্যমে শিশুর জীবন রক্ষা, বাঙালি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটায় ব্রিটিশকে ঠাস ঠাস করে চড় মারা, শিলিগুড়ি স্টেশনে উচ্চপদস্থ ইংরেজ সামরিক কর্মচারীদের একাই পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া_এ রকম অসংখ্য ঘটনার নায়ক তিনি। এসব ঘটনা তাঁর জীবনে যুক্ত না হলেও তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসংগ্রামে অগি্নযুগের মহানায়ক হিসেবেই অভিহিত হতেন। ব্রিটিশবিরোধী নতুন এক বিপ্লবযাত্রা শুরু হয় তাঁর মাধ্যমে। বালেশ্বরের কাপ্তিপোদায় মাদারীপুরের চিত্তপ্রিয় মনোরঞ্জন ও নীরেন এবং কুষ্টিয়ার জ্যোতিষ_এই চার কিশোর যোদ্ধাকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার ব্রিটিশ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে যে মরণযুদ্ধ করেন, তা ছিল অভিনব এবং ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধ ছিল অপরিকল্পিত। পরিস্থিতি তাঁকে এ যুদ্ধে যতটা ঠেলে দিয়েছিল, তার চেয়ে বড় ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং তাই-ই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিনি জানতেন এতে মৃত্যু অনিবার্য। ইচ্ছে করলে পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারতেন তিনি। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে অনুরোধও করেছিলেন। তিনি তা গ্রাহ্য করেননি। এ যুদ্ধ যদি ব্যর্থ না হতো অথবা এ যুদ্ধ যদি পরিকল্পনামাফিক সংঘটিত হতো, তিনি জার্মানির সাহায্যে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে যেভাবে দেশ স্বাধীন করার প্রত্যয় ও প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিলেন, সেটি সম্ভব হলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা হতে পারত অন্যভাবে। কাপ্তিপোদার যুদ্ধে প্রায় ২৬ বছর পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭-১৯৪৫) বাঘা যতীনের বিপ্লবী কর্মসূচি হুবহু অনুসরণ করেছিলেন। দেশের রাজনীতি যখন ক্ষুদ্র স্বার্থে ঘুরপাক খায়, তখন বাঘা যতীনদের কুণ্ঠাহীন দেশপ্রেম থেকে শিক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। বাঘা যতীনরা কখনো ব্যক্তি বা ক্ষুদ্রস্বার্থকে গুরুত্ব দেননি। গভীর শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করি।
============================
খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস' আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!' রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে' স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী' আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি' গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’ আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে... শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে খবর, প্রথম আলোর- দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার' প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে? আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক' আলোচনা- 'হিমালয়ের কোলে এক টুকরো দক্ষিণ এশিয়া' স্মরণ- 'মানুষের জন্য যিনি জেগে থাকতেন' রাজনৈতিক আলোচনা- 'আবার আসিব ফিরে!' আলোচনা- 'রাজকীয় সম্মেলন' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'অসারের তর্জন-গর্জন' আলোচনা- 'একজন নোবেল বিজয়ী, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ' স্মৃতি ও গল্প- সেই আমি এই আমি
দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যর
লেখকঃ রফিকুল হাসান
এই অলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস' আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!' রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে' স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী' আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি' গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’ আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে... শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে খবর, প্রথম আলোর- দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার' প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে? আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক' আলোচনা- 'হিমালয়ের কোলে এক টুকরো দক্ষিণ এশিয়া' স্মরণ- 'মানুষের জন্য যিনি জেগে থাকতেন' রাজনৈতিক আলোচনা- 'আবার আসিব ফিরে!' আলোচনা- 'রাজকীয় সম্মেলন' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'অসারের তর্জন-গর্জন' আলোচনা- 'একজন নোবেল বিজয়ী, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ' স্মৃতি ও গল্প- সেই আমি এই আমি
দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যর
লেখকঃ রফিকুল হাসান
এই অলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments