তিরস্কার আর ভর্ৎসনায় সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়
প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের মুহূর্তে কারারক্ষীরা সাদ্দাম হোসেনকে ভর্ৎসনা করেছেন। সাদ্দামের উদ্দেশে তাঁরা ‘নরকে যাও’ বলে মন্তব্য করেন।
ওয়েবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসে প্রকাশিত গোপন মার্কিন তারবার্তা থেকে এ কথা জানা গেছে। এতে দেখা গেছে, ফাঁসি কার্যকরের সময় বাইরের লোকজনের উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের দৃশ্য মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন।
মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা ফাঁসি কার্যকরের এসব দৃশ্য পরে ইন্টারনেটে ছাড়া হয়। সেখানে দেখা যায়, সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকরের আগে ও কার্যকরের মুহূর্তে তাঁকে তিরস্কার করছেন উপস্থিত লোকজন।
উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি বার্তায় দেখা যায়, এ অবস্থায় ইরাকে নিযুক্ত তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমেই খলিলজাদ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সাদ্দাম হোসেনের নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর সমর্থকেরা ফাঁসির সময়কার এই বাজে পরিবেশকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করতে পারেন।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁর ফাঁসি কার্যকরের দৃশ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ পায়।
উইকিলিকসে প্রকাশিত একটি বার্তা অনুযায়ী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত খলিলজাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইরাকের ডেপুটি কৌঁসুলি মনকিথ আল-ফারুন বলেন, সাদ্দামকে পাহারা দিয়ে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় একজন কারারক্ষী তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘নরকে যাও’।
কৌঁসুলি ফারুন আরও বলেন, ফাঁসি কার্যকরের স্থানে মুঠোফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত অনেক কর্মকর্তা মুঠোফোনের ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণ করেন। তিনি বলেন, ফাঁসির আগে সাদ্দাম হোসেন নামাজ পড়েন। এ সময় সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি বলেন, ‘মুকতাদা, মুকতাদা, মুকতাদা’। এমনকি সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকরের অন্তিম মুহূর্তেও ফাঁসি কার্যকরের দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের কয়েকজন ‘মুকতাদা, মুকতাদা, মুকতাদা’ বলে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, সাদ্দাম হোসেনের শাসনের পতনের পর শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদর ইরাকের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।
নাম প্রকাশ না করে গোপন একটি বার্তার বক্তাকে বরাত দিয়ে উইকিলিকস জানায়, সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়। শেষ পর্যন্ত সেখানে ২০ থেকে ৩০ জন কর্মকর্তা হাজির হন। অথচ আইন অনুযায়ী শুধু একজন কৌঁসুলি, একজন বিচারক, একজন ধর্মীয় নেতা ও কারা পরিচালকের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
ওয়েবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসে প্রকাশিত গোপন মার্কিন তারবার্তা থেকে এ কথা জানা গেছে। এতে দেখা গেছে, ফাঁসি কার্যকরের সময় বাইরের লোকজনের উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের দৃশ্য মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন।
মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা ফাঁসি কার্যকরের এসব দৃশ্য পরে ইন্টারনেটে ছাড়া হয়। সেখানে দেখা যায়, সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকরের আগে ও কার্যকরের মুহূর্তে তাঁকে তিরস্কার করছেন উপস্থিত লোকজন।
উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি বার্তায় দেখা যায়, এ অবস্থায় ইরাকে নিযুক্ত তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমেই খলিলজাদ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সাদ্দাম হোসেনের নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর সমর্থকেরা ফাঁসির সময়কার এই বাজে পরিবেশকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করতে পারেন।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁর ফাঁসি কার্যকরের দৃশ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ পায়।
উইকিলিকসে প্রকাশিত একটি বার্তা অনুযায়ী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত খলিলজাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইরাকের ডেপুটি কৌঁসুলি মনকিথ আল-ফারুন বলেন, সাদ্দামকে পাহারা দিয়ে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় একজন কারারক্ষী তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘নরকে যাও’।
কৌঁসুলি ফারুন আরও বলেন, ফাঁসি কার্যকরের স্থানে মুঠোফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত অনেক কর্মকর্তা মুঠোফোনের ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণ করেন। তিনি বলেন, ফাঁসির আগে সাদ্দাম হোসেন নামাজ পড়েন। এ সময় সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি বলেন, ‘মুকতাদা, মুকতাদা, মুকতাদা’। এমনকি সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকরের অন্তিম মুহূর্তেও ফাঁসি কার্যকরের দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের কয়েকজন ‘মুকতাদা, মুকতাদা, মুকতাদা’ বলে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, সাদ্দাম হোসেনের শাসনের পতনের পর শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদর ইরাকের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।
নাম প্রকাশ না করে গোপন একটি বার্তার বক্তাকে বরাত দিয়ে উইকিলিকস জানায়, সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়। শেষ পর্যন্ত সেখানে ২০ থেকে ৩০ জন কর্মকর্তা হাজির হন। অথচ আইন অনুযায়ী শুধু একজন কৌঁসুলি, একজন বিচারক, একজন ধর্মীয় নেতা ও কারা পরিচালকের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
No comments