মাশরাফিকেও খুঁজে পেলেন সাকিব
‘জয়ের বাইরে এ ম্যাচে আর কী ইতিবাচক দিক খুঁজে পেলেন?’
প্রথম ম্যাচটা হারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জন্য জয়টাই প্রত্যাশিত ফলাফল। পরপর দুই ম্যাচে সে প্রত্যাশা পূরণের পর দলটা যখন কাঙ্ক্ষিত সিরিজ জয়ের দিকে, জয়-টয় নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা না দেখিয়ে ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের কাছে ওই প্রশ্নটা তো থাকেই! তা সাকিব আল হাসান সেই অন্য ইতিবাচক দিকটার কথা বললেনও কাল। সেটা হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার নিজেকে ফিরে পাওয়া।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো বটেই, নিজেদের কন্ডিশনে যেকোনো দলের বিপক্ষেই বাংলাদেশের বোলিংয়ের মূল অস্ত্র স্পিন। তার পরও নতুন বলে বল করার একটা ব্যাপার থাকে। আর দলের জোরে বোলাররা ক্ষুরধার আগ্রাসী চেহারা নিয়ে আগে-পিছে না দাঁড়ালে স্পিন দিয়ে কতক্ষণ সামলানো যায়? বাংলাদেশ দলের এই পেস বোলারদের প্রসঙ্গে মাশরাফির আলোচনাটাই ওঠে সবার আগে। ইনজুরিতে তার মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগে যে পেসার যত ভালো বলই করুক, অপেক্ষা থাকে মাশরাফি কখন ফিরবেন। এটা যেন একটা বিশ্বাসই হয়ে দাঁড়িয়েছে, মাশরাফি থাকলে অন্য যেকোনো পেসারের চেয়ে তাঁর বোলিংটাই বেশি পোড়াবে প্রতিপক্ষকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে সেই মাশরাফিকে খুঁজে পাওয়া গেল কই? প্রথম ওয়ানডেতে ৬ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচে বল করলেন মাত্র ৩ ওভার, রান দিলেন ১৭, কোনো উইকেট নেই। কোচ, অধিনায়ক তার পরও ইনজুরি-ফেরত মাশরাফির ওপর আস্থা রাখলেন এই ভেবে, আর কয়টা ম্যাচ খেললেই হয়তো ফিরে আসবে তাঁর আসল রূপ। ‘কয়টা’ নয়, মাশরাফি আস্থার প্রতিদান দিলেন পরের ম্যাচেই। কেবল ১০-১-২০-১ বোলিং বিশ্লেষণেই পুরোপুরি বোঝা যাবে না মাশরাফির কালকের বোলিংটাকে। কন্ডিশনের সাহায্য থাকলে স্পিন-সহায়ক উইকেটেও যে বাংলাদেশের পেসাররা সাফল্য পেতে পারেন, সেটা শফিউল ইসলামের ৪ উইকেট যেমন দেখিয়েছে, জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভয় ধরানো মাশরাফির বোলিংও তার একটা প্রমাণ। ইনজুরির ঝুঁকি এড়াতে এই সিরিজে মাশরাফিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর পরিকল্পনাটি আপাতত হয়তো তুলেই রাখতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। মাশরাফি তো কেবল কলি ছড়ালেন, বাকি দুই ম্যাচে নিশ্চয়ই ফুল হয়ে ফুটবে তাঁর দুরন্ত গতি।
সাকিব সেই আশাতেই ছিলেন, আছেনও, ‘মাশরাফি ভাইয়ের ভালো বল করাটাই এ ম্যাচে সবচেয়ে পজিটিভ দিক। আগের ম্যাচের পরও বলেছিলাম, উনি কয়েকটা ম্যাচ খেললেই আগের অবস্থায় ফিরে আসবেন। আজকে (গতকাল) ওনার জন্য ভালো একটা দিন ছিল। যত বল করবেন, ততই উনি নিজেকে ফিরে পাবেন।’ মাশরাফির নিজেরও তা-ই মনে হচ্ছে, ‘এর চেয়েও ভালো বল করা সম্ভব আমার পক্ষে। খেলতে খেলতেই রিদম আসবে। প্রথম দুই ম্যাচে যেমন রিদম খুঁজে পাচ্ছিলাম না, লাইন লেংথ ঠিক থাকলেও সুইং নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। আজ (গতকাল) চার নম্বর ওভার থেকেই রিদম আর সুইংয়ে নিয়ন্ত্রণ এল।’
বোলারদের জন্য উইকেট পাওয়াটাই সবচেয়ে বড় প্রণোদনা। ভালো বল করেও মাশরাফি কাল তা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছিলেন প্রায়। টাটেন্ডা টাইবুকে সুইংয়ে বিভ্রান্ত করে আরাধ্য সেই উইকেট পেলেন নিজের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে। তবে ওয়ানডেতে উইকেট পাওয়ার চেয়ে রান কম দেওয়াটাই মাশরাফির দর্শন, ‘ওয়ানডেতে রান চেক দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। রান কম দিলে ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকে, তখন অন্য কেউ এসে হলেও উইকেট পাবে। উইকেটের জন্য তাই বল করিনি। জানতাম, রান না দিলে উইকেট আসবে। আর কম রান দিলে বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে।’
মাশরাফির মতো মুশফিকুর রহিমের ৬৩ রানের ইনিংসটাকেও ইতিবাচক দিক ধরতে পারেন সাকিব। গত মার্চে ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পর ১৪ ম্যাচে একটিও ফিফটি পাননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। জয় দিয়ে সিরিজে এগিয়ে যাওয়া, পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও উন্নতি কিংবা মাশরাফি-মুশফিকুরের ফেরা—ফ্লাডলাইট কেলেঙ্কারির পর কালকের এই প্রাপ্তিগুলো কিছুটা হলেও সুখের পরশ বোলাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
চাঁদের কলঙ্কের মতো কিছু ভুলত্রুটি-অতৃপ্তি তার পরও লুকিয়ে থাকে সাফল্যের রন্ধ্রে। ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে না পারা বা পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে আরও কিছু রানের আক্ষেপ সে রকম অতৃপ্তির উদাহরণ।
প্রথম ম্যাচটা হারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জন্য জয়টাই প্রত্যাশিত ফলাফল। পরপর দুই ম্যাচে সে প্রত্যাশা পূরণের পর দলটা যখন কাঙ্ক্ষিত সিরিজ জয়ের দিকে, জয়-টয় নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা না দেখিয়ে ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের কাছে ওই প্রশ্নটা তো থাকেই! তা সাকিব আল হাসান সেই অন্য ইতিবাচক দিকটার কথা বললেনও কাল। সেটা হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার নিজেকে ফিরে পাওয়া।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো বটেই, নিজেদের কন্ডিশনে যেকোনো দলের বিপক্ষেই বাংলাদেশের বোলিংয়ের মূল অস্ত্র স্পিন। তার পরও নতুন বলে বল করার একটা ব্যাপার থাকে। আর দলের জোরে বোলাররা ক্ষুরধার আগ্রাসী চেহারা নিয়ে আগে-পিছে না দাঁড়ালে স্পিন দিয়ে কতক্ষণ সামলানো যায়? বাংলাদেশ দলের এই পেস বোলারদের প্রসঙ্গে মাশরাফির আলোচনাটাই ওঠে সবার আগে। ইনজুরিতে তার মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগে যে পেসার যত ভালো বলই করুক, অপেক্ষা থাকে মাশরাফি কখন ফিরবেন। এটা যেন একটা বিশ্বাসই হয়ে দাঁড়িয়েছে, মাশরাফি থাকলে অন্য যেকোনো পেসারের চেয়ে তাঁর বোলিংটাই বেশি পোড়াবে প্রতিপক্ষকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে সেই মাশরাফিকে খুঁজে পাওয়া গেল কই? প্রথম ওয়ানডেতে ৬ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচে বল করলেন মাত্র ৩ ওভার, রান দিলেন ১৭, কোনো উইকেট নেই। কোচ, অধিনায়ক তার পরও ইনজুরি-ফেরত মাশরাফির ওপর আস্থা রাখলেন এই ভেবে, আর কয়টা ম্যাচ খেললেই হয়তো ফিরে আসবে তাঁর আসল রূপ। ‘কয়টা’ নয়, মাশরাফি আস্থার প্রতিদান দিলেন পরের ম্যাচেই। কেবল ১০-১-২০-১ বোলিং বিশ্লেষণেই পুরোপুরি বোঝা যাবে না মাশরাফির কালকের বোলিংটাকে। কন্ডিশনের সাহায্য থাকলে স্পিন-সহায়ক উইকেটেও যে বাংলাদেশের পেসাররা সাফল্য পেতে পারেন, সেটা শফিউল ইসলামের ৪ উইকেট যেমন দেখিয়েছে, জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভয় ধরানো মাশরাফির বোলিংও তার একটা প্রমাণ। ইনজুরির ঝুঁকি এড়াতে এই সিরিজে মাশরাফিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর পরিকল্পনাটি আপাতত হয়তো তুলেই রাখতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। মাশরাফি তো কেবল কলি ছড়ালেন, বাকি দুই ম্যাচে নিশ্চয়ই ফুল হয়ে ফুটবে তাঁর দুরন্ত গতি।
সাকিব সেই আশাতেই ছিলেন, আছেনও, ‘মাশরাফি ভাইয়ের ভালো বল করাটাই এ ম্যাচে সবচেয়ে পজিটিভ দিক। আগের ম্যাচের পরও বলেছিলাম, উনি কয়েকটা ম্যাচ খেললেই আগের অবস্থায় ফিরে আসবেন। আজকে (গতকাল) ওনার জন্য ভালো একটা দিন ছিল। যত বল করবেন, ততই উনি নিজেকে ফিরে পাবেন।’ মাশরাফির নিজেরও তা-ই মনে হচ্ছে, ‘এর চেয়েও ভালো বল করা সম্ভব আমার পক্ষে। খেলতে খেলতেই রিদম আসবে। প্রথম দুই ম্যাচে যেমন রিদম খুঁজে পাচ্ছিলাম না, লাইন লেংথ ঠিক থাকলেও সুইং নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। আজ (গতকাল) চার নম্বর ওভার থেকেই রিদম আর সুইংয়ে নিয়ন্ত্রণ এল।’
বোলারদের জন্য উইকেট পাওয়াটাই সবচেয়ে বড় প্রণোদনা। ভালো বল করেও মাশরাফি কাল তা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছিলেন প্রায়। টাটেন্ডা টাইবুকে সুইংয়ে বিভ্রান্ত করে আরাধ্য সেই উইকেট পেলেন নিজের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে। তবে ওয়ানডেতে উইকেট পাওয়ার চেয়ে রান কম দেওয়াটাই মাশরাফির দর্শন, ‘ওয়ানডেতে রান চেক দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। রান কম দিলে ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকে, তখন অন্য কেউ এসে হলেও উইকেট পাবে। উইকেটের জন্য তাই বল করিনি। জানতাম, রান না দিলে উইকেট আসবে। আর কম রান দিলে বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে।’
মাশরাফির মতো মুশফিকুর রহিমের ৬৩ রানের ইনিংসটাকেও ইতিবাচক দিক ধরতে পারেন সাকিব। গত মার্চে ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পর ১৪ ম্যাচে একটিও ফিফটি পাননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। জয় দিয়ে সিরিজে এগিয়ে যাওয়া, পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও উন্নতি কিংবা মাশরাফি-মুশফিকুরের ফেরা—ফ্লাডলাইট কেলেঙ্কারির পর কালকের এই প্রাপ্তিগুলো কিছুটা হলেও সুখের পরশ বোলাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
চাঁদের কলঙ্কের মতো কিছু ভুলত্রুটি-অতৃপ্তি তার পরও লুকিয়ে থাকে সাফল্যের রন্ধ্রে। ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে না পারা বা পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে আরও কিছু রানের আক্ষেপ সে রকম অতৃপ্তির উদাহরণ।
No comments