আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে
‘আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নতি করছে। তবে সেখানে তাদের আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আফগান যুদ্ধের কৗশল নিয়ে হোয়াইট হাউসের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবান অগ্রগতি দমানো সম্ভব হয়েছে। দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এই অর্জন ততটা টেকসই নয়। তালেবান ও তার সহযোগীরা যেকোনো সময় আবারও এসব এলাকা দখল করে নিতে পারে।’ এতে আরও বলা হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পাকিস্তানে আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা দারুণ চাপে রয়েছে। ২০০১ সালের পর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেকায়দায় রয়েছে তারা।
পর্যালোচনা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১১ সালের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে। একই সঙ্গে আফগান বাহিনীর ওপর দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। তবে এ জন্য অনেক কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হবে। এতে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও পাকিস্তানকে চরমপন্থীদের ‘নিরাপদ স্বর্গ’ থেকে বের করে আনতেও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
হোয়াইট হাউসের পর্যালোচনায় পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথাও বলা হয়। পাকিস্তানের আফগান সীমান্তের কাছে থেকে বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পর পাকিস্তানে প্রবেশ করে জঙ্গিরা। তাই জঙ্গিদের দমনে দুই দেশের সীমান্তে তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকা থেকে জঙ্গি হামলা বন্ধ করতে না পারলে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর সাফল্য কঠিন হয়ে পড়বে।
আফগানিস্তানে চলতি বছর বেসামরিক-সামরিক হতাহতের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছর দেশটিতে সাত শ বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০০১ সালের পর এক বছরে এটাই বিদেশি সেনা নিহত হওয়ার রেকর্ড। আফগান সাধারণ জনগণও অনেক ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। এসব ঘটনা তালেবান গোষ্ঠীর তৎপরতা বাড়ার বিষয়টিই প্রমাণ করে।
সাউথ এশিয়া অ্যাট দ্য সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস-বিষয়ক বিশ্লেষক ক্যারোলিন ওয়েডহ্যামস বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সাফল্য পাওয়া গেছে। তবে সেই অর্থে স্থায়ী কোনো উন্নতি হয়নি।’
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটোর অধীনে দেড় লোখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে এক লাখই মার্কিন সেনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবান অগ্রগতি দমানো সম্ভব হয়েছে। দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এই অর্জন ততটা টেকসই নয়। তালেবান ও তার সহযোগীরা যেকোনো সময় আবারও এসব এলাকা দখল করে নিতে পারে।’ এতে আরও বলা হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পাকিস্তানে আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা দারুণ চাপে রয়েছে। ২০০১ সালের পর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেকায়দায় রয়েছে তারা।
পর্যালোচনা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১১ সালের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে। একই সঙ্গে আফগান বাহিনীর ওপর দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। তবে এ জন্য অনেক কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হবে। এতে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও পাকিস্তানকে চরমপন্থীদের ‘নিরাপদ স্বর্গ’ থেকে বের করে আনতেও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
হোয়াইট হাউসের পর্যালোচনায় পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথাও বলা হয়। পাকিস্তানের আফগান সীমান্তের কাছে থেকে বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পর পাকিস্তানে প্রবেশ করে জঙ্গিরা। তাই জঙ্গিদের দমনে দুই দেশের সীমান্তে তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকা থেকে জঙ্গি হামলা বন্ধ করতে না পারলে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর সাফল্য কঠিন হয়ে পড়বে।
আফগানিস্তানে চলতি বছর বেসামরিক-সামরিক হতাহতের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছর দেশটিতে সাত শ বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০০১ সালের পর এক বছরে এটাই বিদেশি সেনা নিহত হওয়ার রেকর্ড। আফগান সাধারণ জনগণও অনেক ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। এসব ঘটনা তালেবান গোষ্ঠীর তৎপরতা বাড়ার বিষয়টিই প্রমাণ করে।
সাউথ এশিয়া অ্যাট দ্য সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস-বিষয়ক বিশ্লেষক ক্যারোলিন ওয়েডহ্যামস বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সাফল্য পাওয়া গেছে। তবে সেই অর্থে স্থায়ী কোনো উন্নতি হয়নি।’
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটোর অধীনে দেড় লোখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে এক লাখই মার্কিন সেনা।
No comments