ইংল্যান্ড উড়ছেই
দারুণ প্রত্যাবর্তন হলো মিচেল জনসনের! পার্থ টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া দলের বাকি ১০ জনকে ছাপিয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল এই বাঁহাতি পেসারই। থুড়ি, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান!
জনসন অস্ট্রেলিয়ার সেরা পারফরমারই বটে। তবে সেটি বল হাতে নয়, ব্যাট হাতে। রিকি পন্টিংয়ের দলের করুণ অবস্থাও বুঝিয়ে দিচ্ছে এটি। ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরও যে মাইক হাসি বলছেন, ‘যদি দিনের শুরুতে এই স্কোরের কথা বলা হতো, আমরা খুশিই হতাম’, এটাও কি নয়?
‘দিনের শুরু’ বলতে নিশ্চয়ই ১৬.১ ওভার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের কথা বুঝিয়েছেন হাসি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ৩৬। হিউজ, পন্টিং, ক্লার্ক ও ওয়াটসন ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। ২৮তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ৬৯। সেখান থেকে ২৬৮ তো আসলেই অনেক।
সেটি সম্ভব হয়েছে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে। হাসির ব্যাট হেসেছে আবারও (৬১)। বাদ পড়ার শঙ্কা মাথায় নিয়ে সিরিজ শুরু করে টানা চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি। ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ রানের জুটিতে হাসিকে সঙ্গ দিয়েছেন ব্র্যাড হাডিন (৫৩)। তবে ৮ নম্বরে নেমে ৬২ রানের ইনিংসে এই দুজনকে ছাড়িয়ে গেছেন জনসন।
ওয়াকার উইকেট নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল বলে টস শুরুর ঠিক আগে একাদশ চূড়ান্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। নির্বাচকদের অদ্ভুত পছন্দ বাঁহাতি স্পিনার মাইকেল বিয়ারের অভিষেক হয়নি শেষ পর্যন্ত। চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে ওয়াটসনের মিডিয়াম পেস ও স্টিভ স্মিথের লেগ স্পিন। এই বোলিং আক্রমণ কেমন করে, সেটির পরীক্ষা হবে আজ। কাল দিনশেষে ১২ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন দুই ইংলিশ ওপেনার। দ্বিতীয় দিনের নাম তাই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বনাম অস্ট্রেলিয়ার বোলিং।
সিরিজে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বোলিং নখদন্তহীন হয়ে আছে আর ইংল্যান্ডের বোলিং ক্রমেই ধারালো হচ্ছে। ইংল্যান্ড যা করছে, সেটিতেই কাজ হচ্ছে। চোট পেয়ে দেশে ফিরে যাওয়া স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় যেমন সোয়া তিন বছর পর নামিয়ে দেওয়া হলো ক্রিস ট্রেমলেটকে। সেই ট্রেমলেটও কাঁপিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের প্রথম ওভারেই হিউজের ফেরাটাকে নিরানন্দ করে দিলেন, চতুর্থ ওভারে ফেরালেন ক্লার্ককে। পরে স্মিথকেও ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৫ উইকেটের ৩টিই তাঁর।
সন্তানের মুখ দেখতে অ্যাডিলেড টেস্টের পর ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করা অ্যান্ডারসনের মধ্যেও তো জেট-ল্যাগের কোনো ছাপ দেখা গেল না। তাঁরও ৩ উইকেট, যার মধ্যে পন্টিংও আছেন। কোনো রান করার আগেই ট্রেমলেটের বল পন্টিংয়ের ব্যাটের কানায় লেগে উড়ে গিয়েছিল তৃতীয় স্লিপ ও গালির মাঝখান দিয়ে। কিন্তু সেই ভাগ্যের ছোঁয়া কাজে লাগেনি। আরও দুটি চার মারার পর তৃতীয় স্লিপে কলিংউডের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে। অস্ট্রেলিয়ার দুঃসময়েও সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন পন্টিং, বিপরীত অর্থে এই যা! তথ্যসূত্র: স্টার ক্রিকেট।
জনসন অস্ট্রেলিয়ার সেরা পারফরমারই বটে। তবে সেটি বল হাতে নয়, ব্যাট হাতে। রিকি পন্টিংয়ের দলের করুণ অবস্থাও বুঝিয়ে দিচ্ছে এটি। ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরও যে মাইক হাসি বলছেন, ‘যদি দিনের শুরুতে এই স্কোরের কথা বলা হতো, আমরা খুশিই হতাম’, এটাও কি নয়?
‘দিনের শুরু’ বলতে নিশ্চয়ই ১৬.১ ওভার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের কথা বুঝিয়েছেন হাসি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ৩৬। হিউজ, পন্টিং, ক্লার্ক ও ওয়াটসন ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। ২৮তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ৬৯। সেখান থেকে ২৬৮ তো আসলেই অনেক।
সেটি সম্ভব হয়েছে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে। হাসির ব্যাট হেসেছে আবারও (৬১)। বাদ পড়ার শঙ্কা মাথায় নিয়ে সিরিজ শুরু করে টানা চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি। ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ রানের জুটিতে হাসিকে সঙ্গ দিয়েছেন ব্র্যাড হাডিন (৫৩)। তবে ৮ নম্বরে নেমে ৬২ রানের ইনিংসে এই দুজনকে ছাড়িয়ে গেছেন জনসন।
ওয়াকার উইকেট নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল বলে টস শুরুর ঠিক আগে একাদশ চূড়ান্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। নির্বাচকদের অদ্ভুত পছন্দ বাঁহাতি স্পিনার মাইকেল বিয়ারের অভিষেক হয়নি শেষ পর্যন্ত। চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে ওয়াটসনের মিডিয়াম পেস ও স্টিভ স্মিথের লেগ স্পিন। এই বোলিং আক্রমণ কেমন করে, সেটির পরীক্ষা হবে আজ। কাল দিনশেষে ১২ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন দুই ইংলিশ ওপেনার। দ্বিতীয় দিনের নাম তাই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বনাম অস্ট্রেলিয়ার বোলিং।
সিরিজে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বোলিং নখদন্তহীন হয়ে আছে আর ইংল্যান্ডের বোলিং ক্রমেই ধারালো হচ্ছে। ইংল্যান্ড যা করছে, সেটিতেই কাজ হচ্ছে। চোট পেয়ে দেশে ফিরে যাওয়া স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় যেমন সোয়া তিন বছর পর নামিয়ে দেওয়া হলো ক্রিস ট্রেমলেটকে। সেই ট্রেমলেটও কাঁপিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের প্রথম ওভারেই হিউজের ফেরাটাকে নিরানন্দ করে দিলেন, চতুর্থ ওভারে ফেরালেন ক্লার্ককে। পরে স্মিথকেও ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৫ উইকেটের ৩টিই তাঁর।
সন্তানের মুখ দেখতে অ্যাডিলেড টেস্টের পর ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করা অ্যান্ডারসনের মধ্যেও তো জেট-ল্যাগের কোনো ছাপ দেখা গেল না। তাঁরও ৩ উইকেট, যার মধ্যে পন্টিংও আছেন। কোনো রান করার আগেই ট্রেমলেটের বল পন্টিংয়ের ব্যাটের কানায় লেগে উড়ে গিয়েছিল তৃতীয় স্লিপ ও গালির মাঝখান দিয়ে। কিন্তু সেই ভাগ্যের ছোঁয়া কাজে লাগেনি। আরও দুটি চার মারার পর তৃতীয় স্লিপে কলিংউডের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে। অস্ট্রেলিয়ার দুঃসময়েও সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন পন্টিং, বিপরীত অর্থে এই যা! তথ্যসূত্র: স্টার ক্রিকেট।
No comments