ভারত-কষ্টিপাথরে নিজেদের যাচাই
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কাল একটু বেশিই ভিড় জমেছিল। বিজয় দিবসের ছুটির কারণে পর্যটন নগরে এমনিতেই আনন্দ ভ্রমণের ধুম পড়েছে। সাগর দর্শনের আগে পর্যটকেরা একবার করে ঘুরে যাচ্ছেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বালু দিয়ে গড়া স্মৃতিসৌধ দেখতে। বাঙালির বিজয়ের দিনে সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিল বাংলাদেশ মহিলা দল। সাবিনা, অম্রা চিংদের দেখতে তাই এমন ভিড়।
দর্শকদের এমন ভিড় থাকার কথা আজ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও। জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে স্থানীয় জেলা স্টেডিয়ামে আসবে কক্সবাজারবাসী। সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় দুই দলের জন্যই এক রকম আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ আজ। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ বড় এক পরীক্ষার নামও। কাগজে-কলমে অনেক এগিয়ে ভারত। সেটিই স্বাভাবিক, ভারতে মহিলা ফুটবলের যাত্রা শুরু প্রায় তিন দশক আগে। আর বাংলাদেশের এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা। মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০০৪ সালে, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে। ভারত খেলেছিল সেই ১৯৮১ সালে হংকংয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
অভিজ্ঞতায় তো পিছিয়ে আছেই বাংলাদেশের মেয়েরা; পিছিয়ে উচ্চতা, শারীরিক গঠন, ফিটনেস, স্ট্যামিনা এবং গতিতেও। এত কিছুর পরও বাংলাদেশ লড়াই করবে বলে মনে করছেন খোদ ভারতের কোচ মোহাম্মদ শহীদ জব্বার, ‘সত্যি বলতে কি, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে আগের চেয়ে।’ ভারতের বিপক্ষে হারানোর কিছু নেই এমনটা ভাবতেই পারেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী। তবে সেই ভাবনা নয়, বরং ভারতকে রুখে দেওয়ার চ্যালেঞ্জটাই নিচ্ছেন তিনি, ‘ভারত শক্তিশালী দল সন্দেহ নেই। তাই বলে আমরা মাঠে নামার আগেই হেরে যাব না। অবশ্যই লড়ব। আমার প্রথম লক্ষ্যই থাকবে জয়।’
কাল স্থানীয় বিডিআর মাঠে ঘণ্টা খানেকের অনুশীলন সেরে মেয়েদের নিয়ে এসেছিলেন পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ দেখাতে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কথাবার্তায় তাঁদের নির্ভারই মনে হলো। ভুটানের বিপক্ষে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা অম্রা চিং বললেন, ‘ভারতকে ভয় পাচ্ছি না। প্রতিপক্ষ কে, সেটা বড় নয়, আমি আমার স্বাভাবিক খেলাই খেলব।’ প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সাবিনার সঙ্গে স্ট্রাইকিংয়ে জুটি বেঁধেছেন অম্রা। গত দুই ম্যাচে দুজনের মধ্যে সমঝোতায় ঘাটতি চোখে পড়েছে। তবে আজ সেই সমস্যাও থাকবে না বলে আশাবাদী খাগড়াছড়ির তরুণী, ‘ওর সঙ্গে প্রথম খেলছি বলে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামী ম্যাচ থেকে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
গত দুই ম্যাচে ২৫ গোল পেয়েছে ভারত। অথচ কাল অনুশীলনে কোচ শহীদ জব্বারের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল না তিনি খুব সন্তুষ্ট। বিডিআর মাঠে অনুশীলন শুরুর আগে এক দফা ক্লাস নিলেন ছাত্রীদের। আলাদাভাবে প্রত্যেকের সমস্যা নিয়ে কথা বললেন। বাংলাদেশকে এতটুকু খাটো করে দেখছেন না ওডিশার মাঝবয়সী ভদ্রলোক। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মর্যাদার প্রশ্নও তো রয়েছে মাথার ওপর!
দর্শকদের এমন ভিড় থাকার কথা আজ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও। জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে স্থানীয় জেলা স্টেডিয়ামে আসবে কক্সবাজারবাসী। সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় দুই দলের জন্যই এক রকম আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ আজ। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ বড় এক পরীক্ষার নামও। কাগজে-কলমে অনেক এগিয়ে ভারত। সেটিই স্বাভাবিক, ভারতে মহিলা ফুটবলের যাত্রা শুরু প্রায় তিন দশক আগে। আর বাংলাদেশের এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা। মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০০৪ সালে, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে। ভারত খেলেছিল সেই ১৯৮১ সালে হংকংয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
অভিজ্ঞতায় তো পিছিয়ে আছেই বাংলাদেশের মেয়েরা; পিছিয়ে উচ্চতা, শারীরিক গঠন, ফিটনেস, স্ট্যামিনা এবং গতিতেও। এত কিছুর পরও বাংলাদেশ লড়াই করবে বলে মনে করছেন খোদ ভারতের কোচ মোহাম্মদ শহীদ জব্বার, ‘সত্যি বলতে কি, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে আগের চেয়ে।’ ভারতের বিপক্ষে হারানোর কিছু নেই এমনটা ভাবতেই পারেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী। তবে সেই ভাবনা নয়, বরং ভারতকে রুখে দেওয়ার চ্যালেঞ্জটাই নিচ্ছেন তিনি, ‘ভারত শক্তিশালী দল সন্দেহ নেই। তাই বলে আমরা মাঠে নামার আগেই হেরে যাব না। অবশ্যই লড়ব। আমার প্রথম লক্ষ্যই থাকবে জয়।’
কাল স্থানীয় বিডিআর মাঠে ঘণ্টা খানেকের অনুশীলন সেরে মেয়েদের নিয়ে এসেছিলেন পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ দেখাতে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কথাবার্তায় তাঁদের নির্ভারই মনে হলো। ভুটানের বিপক্ষে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা অম্রা চিং বললেন, ‘ভারতকে ভয় পাচ্ছি না। প্রতিপক্ষ কে, সেটা বড় নয়, আমি আমার স্বাভাবিক খেলাই খেলব।’ প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সাবিনার সঙ্গে স্ট্রাইকিংয়ে জুটি বেঁধেছেন অম্রা। গত দুই ম্যাচে দুজনের মধ্যে সমঝোতায় ঘাটতি চোখে পড়েছে। তবে আজ সেই সমস্যাও থাকবে না বলে আশাবাদী খাগড়াছড়ির তরুণী, ‘ওর সঙ্গে প্রথম খেলছি বলে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামী ম্যাচ থেকে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
গত দুই ম্যাচে ২৫ গোল পেয়েছে ভারত। অথচ কাল অনুশীলনে কোচ শহীদ জব্বারের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল না তিনি খুব সন্তুষ্ট। বিডিআর মাঠে অনুশীলন শুরুর আগে এক দফা ক্লাস নিলেন ছাত্রীদের। আলাদাভাবে প্রত্যেকের সমস্যা নিয়ে কথা বললেন। বাংলাদেশকে এতটুকু খাটো করে দেখছেন না ওডিশার মাঝবয়সী ভদ্রলোক। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মর্যাদার প্রশ্নও তো রয়েছে মাথার ওপর!
No comments