জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষ - ছাত্রলীগের জন্যও আইন নিজস্ব গতিতে চলতে হবে
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরেক দফা হানাহানির ঘটনা ঘটল এবং এর হোতা সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। গত দুই বছরে এই ক্যাম্পাসেই তারা বেশ কয়েকবার হিংসাত্মক তৎপরতা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনোটারই তদন্ত বা বিচার হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহিরাগত নয়, খাতাপত্রে নাম খোদাই করা ছাত্ররা যখন এসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তখন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিকার। শিক্ষকেরা উচ্চবাচ্য করেন না মান-সম্মান খোয়ানোর ভয়ে। সে কারণে ছাদ থেকে কাউকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাকেও মামুলি ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর হয়ে পড়েছে যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব সময়ই আতঙ্কে কাটান।
প্রশ্ন হলো, ক্যাম্পাসে এই সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো যারা ঘটায়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার বা দল কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সাময়িক বহিষ্কার বা কমিটি বিলুপ্ত করা কোনো শাস্তি নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন প্রমাণ নেই। কেউ আচানক ধরা পড়লেও প্রভাবশালীদের হুকুমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে ফৌজদারি আইন থাকবে, মন্ত্রী-নেতারা আইন নিজস্ব গতিতে চলবে বলে প্রচার চালাবেন, অথচ ক্যাম্পাসে হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—এটি চলতে পারে না।
আইনের শাসনের কথা বলেই কিন্তু সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকে। অথচ অভিযুক্ত শাসক দলের কেউ হলে এর বিপরীত আচরণই লক্ষ করা যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অনেক সময় নিরীহ মানুষের ওপর হাত তোলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করতেও তাঁদের বাধে না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের কেউকেটারা মহা অন্যায় করলেও কিছু বলেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই স্ববিরোধিতার কারণে পাবলিক বিদ্যাপীঠগুলোতে সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অলিখিত দায়মুক্তি ভোগ করে চলেছেন। ইদানীং পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও দায়মুক্তির স্বাদ নিচ্ছেন, কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য তাঁদেরও জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কেননা তাঁরা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট। এ কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে কাউকে শাস্তি ভোগ করতে হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা রক্ষায় কমিটি আছে। এগুলো নিষ্ক্রিয় অথবা সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠনটির ভয়ে তটস্থ। ক্ষেত্রবিশেষে দুই পক্ষের অশুভ আঁতাতও থাকার অভিযোগ অসত্য নয়।
২১ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষ প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে। এই গুরুতর অপরাধের জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি, কেবল কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এরই নাম আইনের শাসনের সঙ্গে নিষ্ঠুর মশকরা। শাসক দল যদি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কালিমামোচন কিংবা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখাও। আইন নিজস্ব গতিতে চলার কাজটি সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠন দিয়েই শুরু হোক।
প্রশ্ন হলো, ক্যাম্পাসে এই সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো যারা ঘটায়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার বা দল কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সাময়িক বহিষ্কার বা কমিটি বিলুপ্ত করা কোনো শাস্তি নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন প্রমাণ নেই। কেউ আচানক ধরা পড়লেও প্রভাবশালীদের হুকুমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে ফৌজদারি আইন থাকবে, মন্ত্রী-নেতারা আইন নিজস্ব গতিতে চলবে বলে প্রচার চালাবেন, অথচ ক্যাম্পাসে হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—এটি চলতে পারে না।
আইনের শাসনের কথা বলেই কিন্তু সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকে। অথচ অভিযুক্ত শাসক দলের কেউ হলে এর বিপরীত আচরণই লক্ষ করা যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অনেক সময় নিরীহ মানুষের ওপর হাত তোলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করতেও তাঁদের বাধে না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের কেউকেটারা মহা অন্যায় করলেও কিছু বলেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই স্ববিরোধিতার কারণে পাবলিক বিদ্যাপীঠগুলোতে সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অলিখিত দায়মুক্তি ভোগ করে চলেছেন। ইদানীং পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও দায়মুক্তির স্বাদ নিচ্ছেন, কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য তাঁদেরও জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কেননা তাঁরা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট। এ কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে কাউকে শাস্তি ভোগ করতে হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা রক্ষায় কমিটি আছে। এগুলো নিষ্ক্রিয় অথবা সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠনটির ভয়ে তটস্থ। ক্ষেত্রবিশেষে দুই পক্ষের অশুভ আঁতাতও থাকার অভিযোগ অসত্য নয়।
২১ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষ প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে। এই গুরুতর অপরাধের জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি, কেবল কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এরই নাম আইনের শাসনের সঙ্গে নিষ্ঠুর মশকরা। শাসক দল যদি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কালিমামোচন কিংবা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখাও। আইন নিজস্ব গতিতে চলার কাজটি সরকারসমর্থক ছাত্রসংগঠন দিয়েই শুরু হোক।
No comments