বক্সিং ডেতে নকআউট অস্ট্রেলিয়া
ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার প্রত্যাশামতো রেকর্ড দর্শক হয়নি। ৮৪৩৪৫ দর্শক নিয়ে তবু টইটম্বুরই ছিল মেলবোর্নের গ্যালারি। চা-বিরতির পর দেখা গেল গ্যালারি অর্ধেক ফাঁকা। দিনের খেলার শেষ দিকে স্বাগতিক দেশের দর্শকের চেয়ে মনে হলো বার্মি আর্মির সংখ্যাই বেশি! কয়েক দিন ধরে চলে আসা কথার লড়াই, চাপ, উত্তেজনা—সব মিলিয়ে বক্সিং ডে টেস্টটার নাম দেওয়া যেতে পারে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। সেই লড়াইয়ে নিজেদের দলকে প্রথম রাউন্ডেই এভাবে নকআউট হতে দেখে দর্শক গ্যালারিতে থাকবেই বা কেন!
অস্ট্রেলিয়া ৯৮, অ্যালিস্টার কুক অপরাজিত ৮০—এটুকুই বলে দিচ্ছে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের চিত্র। অপরাজিত ৬৪ রানে কুকের সঙ্গী অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। এখনই ইংল্যান্ডের লিড ৫৯ রানের, হাতে আছে ১০ উইকেট আর ৪ দিন। মেলবোর্নের প্রথম দিনেই অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রেখে দেওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ইংলিশরা। কোনো ‘ক্রিসমাস মিরাকল’-ই এখন কেবল বাঁচাতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে।
প্রভাত যে সব সময় দিনের পূর্বাভাস দেয় না, তার প্রমাণও যেন হয়ে গেল কাল। ইনিংসের দ্বিতীয় আর ক্রিস ট্রেমলেটের প্রথম ওভারেই ১০ রান নিয়েছিলেন ফিল হিউজ, প্রথম সাত বলে দুবার জীবন পেয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। এই ওয়াটসনকে আউট করেই ভাগ্য নিজেদের দিকে ফেরাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। ট্রেমলেটের লাফিয়ে ওঠা বলে গালিতে ধরা পড়েন আগের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নায়ক ওয়াটসন।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার পুরো ইনিংসেই দেখা গেছে এই ছবি। একটা তথ্যই প্রমাণ দেয় ইনিংসজুড়ে ইংলিশদের প্রায় নিখুঁত বোলিং আর অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যাটিং-দৈন্য। সব ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে! ৬টি ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটরক্ষক ম্যাট প্রিয়র, গালিতে দুটি কেভিন পিটারসেন আর স্লিপে একটি করে গ্রায়েম সোয়ান ও স্ট্রাউস।
প্রথম ওভারে ট্রেমলেটকে দুটো কাভার ড্রাইভে চার মেরে হিউজ ও অ্যান্ডারসনকে দুটো পুলে পন্টিং ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দারুণ কিছু করার। কিন্তু দুজনই আউট হয়েছেন বাজেভাবে। অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ অ্যাশেজে এই মেলবোর্নেই ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু ছয়ে নেমে ১৫৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে বাঁচিয়েছিলেন অ্যান্ডু্র সাইমন্ডস। কাল সাইমন্ডস হতে পারেননি কেউ, মি. ক্রিকেট মাইক হাসিও পারেননি দলের মুখে হাসি ফোটাতে। অবশ্য ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্লার্কের সঙ্গে হাাসির ২১ রানের জুটিটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ!
শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা ৪০ রানে, দলকে ৭৭ রানে রেখেই ফিরে গেছেন তিনজন। দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার ‘সেরা পারফর্মার’ মাইকেল ক্লার্ক মাথা পেতে নিলেন নিজেদের ব্যর্থতা, ‘আমাদের শট নির্বাচন মোটেও ভালো ছিল না, সবাই উইকেটের পেছনে আউট হয়েছি। সবাই বাজে শট খেলেছি। রোদ ওঠার পর উইকেট অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।’ তথ্যসূত্র: স্টার ক্রিকেট।
সহজ হয়ে আসার ফায়দা নিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। যে উইকেটে ইচ্ছেমতো সুইং করিয়েছে ইংলিশ বোলাররা, সেখানে লাইন-লেন্থই খুঁজে পাচ্ছিল না অস্ট্রেলিয়ার অল-পেস অ্যাটাক। কুক-স্ট্রাউস তাই রান তুলেছেন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে তিন করে। আর ইঙ্গিত দিয়েছেন সামনে কী অপেক্ষা করছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
টস জিতে ফিল্ডিং
২০০১ সালে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন স্টিভ ওয়াহ, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর কালই প্রথম মেলবোর্নে টস জিতে ফিল্ডিং নিলেন কোনো অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়া ৯৮, অ্যালিস্টার কুক অপরাজিত ৮০—এটুকুই বলে দিচ্ছে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের চিত্র। অপরাজিত ৬৪ রানে কুকের সঙ্গী অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। এখনই ইংল্যান্ডের লিড ৫৯ রানের, হাতে আছে ১০ উইকেট আর ৪ দিন। মেলবোর্নের প্রথম দিনেই অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রেখে দেওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ইংলিশরা। কোনো ‘ক্রিসমাস মিরাকল’-ই এখন কেবল বাঁচাতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে।
প্রভাত যে সব সময় দিনের পূর্বাভাস দেয় না, তার প্রমাণও যেন হয়ে গেল কাল। ইনিংসের দ্বিতীয় আর ক্রিস ট্রেমলেটের প্রথম ওভারেই ১০ রান নিয়েছিলেন ফিল হিউজ, প্রথম সাত বলে দুবার জীবন পেয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। এই ওয়াটসনকে আউট করেই ভাগ্য নিজেদের দিকে ফেরাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। ট্রেমলেটের লাফিয়ে ওঠা বলে গালিতে ধরা পড়েন আগের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নায়ক ওয়াটসন।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার পুরো ইনিংসেই দেখা গেছে এই ছবি। একটা তথ্যই প্রমাণ দেয় ইনিংসজুড়ে ইংলিশদের প্রায় নিখুঁত বোলিং আর অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যাটিং-দৈন্য। সব ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে! ৬টি ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটরক্ষক ম্যাট প্রিয়র, গালিতে দুটি কেভিন পিটারসেন আর স্লিপে একটি করে গ্রায়েম সোয়ান ও স্ট্রাউস।
প্রথম ওভারে ট্রেমলেটকে দুটো কাভার ড্রাইভে চার মেরে হিউজ ও অ্যান্ডারসনকে দুটো পুলে পন্টিং ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দারুণ কিছু করার। কিন্তু দুজনই আউট হয়েছেন বাজেভাবে। অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ অ্যাশেজে এই মেলবোর্নেই ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু ছয়ে নেমে ১৫৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে বাঁচিয়েছিলেন অ্যান্ডু্র সাইমন্ডস। কাল সাইমন্ডস হতে পারেননি কেউ, মি. ক্রিকেট মাইক হাসিও পারেননি দলের মুখে হাসি ফোটাতে। অবশ্য ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্লার্কের সঙ্গে হাাসির ২১ রানের জুটিটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ!
শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা ৪০ রানে, দলকে ৭৭ রানে রেখেই ফিরে গেছেন তিনজন। দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার ‘সেরা পারফর্মার’ মাইকেল ক্লার্ক মাথা পেতে নিলেন নিজেদের ব্যর্থতা, ‘আমাদের শট নির্বাচন মোটেও ভালো ছিল না, সবাই উইকেটের পেছনে আউট হয়েছি। সবাই বাজে শট খেলেছি। রোদ ওঠার পর উইকেট অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।’ তথ্যসূত্র: স্টার ক্রিকেট।
সহজ হয়ে আসার ফায়দা নিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। যে উইকেটে ইচ্ছেমতো সুইং করিয়েছে ইংলিশ বোলাররা, সেখানে লাইন-লেন্থই খুঁজে পাচ্ছিল না অস্ট্রেলিয়ার অল-পেস অ্যাটাক। কুক-স্ট্রাউস তাই রান তুলেছেন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে তিন করে। আর ইঙ্গিত দিয়েছেন সামনে কী অপেক্ষা করছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
টস জিতে ফিল্ডিং
২০০১ সালে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন স্টিভ ওয়াহ, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর কালই প্রথম মেলবোর্নে টস জিতে ফিল্ডিং নিলেন কোনো অধিনায়ক।
No comments