দায়িত্ব পালনে আন্তরিক নন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাঁর দায়িত্ব পালনে আন্তরিক নন। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্নের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। পরিচয় গোপন করা সাংবাদিকদের কাছে ক্যামেরন ও অসবর্ন সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের চারজন মন্ত্রী। তাঁরা জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবহনমন্ত্রী নরম্যান বেকার, পার্লামেন্টের উপনেতা ডেভিড হিথ, কেয়ার সার্ভিস মন্ত্রী পল বার্সটো এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অ্যান্ড্রু স্টানেল সম্প্রতি ছদ্মবেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গোপন টেপে ধারণ করা তাঁদের কথোপকথন হস্তগত হওয়ার দাবি করেছে ডেইলি টেলিগ্রাফ।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অ্যান্ড্রু স্টানেল প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের আন্তরিকতা নিয়ে সরাসরি সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘পরিচালক হিসেবে তিনি (ক্যামেরন) নিঃসন্দেহে দক্ষ। তিনি টোরিদের কায়দায় তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি আন্তরিক কি না—এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।’
পল বার্সটো সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে তাঁকে সহজে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না আপনারা ডেভিড ক্যামেরনকে বিশ্বাস করুন।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পার্লামেন্টের উপনেতা ডেভিড হিথ সাংবাদিকদের বলেন, অর্থমন্ত্রী অসবর্ন একজন ধনকুবের। সাধারণ মানুষের কষ্টের জীবনযাপন সম্পর্কে তাঁর বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।
ডিভিড হিথের বক্তব্যকে সমর্থন করে পরিবহনমন্ত্রী নরম্যান বেকার বলেন, তিনি অসবর্নকে খুব একটা পছন্দ করেন না। তবে তিনি বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির অনেক নেতা আছেন, যাঁরা সত্যিকার অর্থে ভালো ও বিশ্বাসযোগ্য।
লিবারেল পার্টির সাবেক নেতা লর্ড ডেভিড বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি মনে করেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা-কর্মীরা এই ভেবে আনন্দ পাবেন যে সরকারে থাকা তাঁদের দলীয় সহকর্মীরা জোটের বৃহৎ অংশের সঙ্গে ভালোভাবেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
স্কটল্যান্ড-বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল মুর, পেনশন মন্ত্রী স্টিভ ওয়েব ও বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড ডেভি ইতিমধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির তীব্র সমালোচনা করেছেন। শরিক দলের নেতাদের সমালোচনার শিকার হয়ে কনজারভেটিভ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ উভয়ই দৃশ্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল দুটি পরস্পরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করায় প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বর্তমান সরকারকে ‘কপট মিত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবহনমন্ত্রী নরম্যান বেকার, পার্লামেন্টের উপনেতা ডেভিড হিথ, কেয়ার সার্ভিস মন্ত্রী পল বার্সটো এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অ্যান্ড্রু স্টানেল সম্প্রতি ছদ্মবেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গোপন টেপে ধারণ করা তাঁদের কথোপকথন হস্তগত হওয়ার দাবি করেছে ডেইলি টেলিগ্রাফ।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অ্যান্ড্রু স্টানেল প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের আন্তরিকতা নিয়ে সরাসরি সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘পরিচালক হিসেবে তিনি (ক্যামেরন) নিঃসন্দেহে দক্ষ। তিনি টোরিদের কায়দায় তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি আন্তরিক কি না—এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।’
পল বার্সটো সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে তাঁকে সহজে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না আপনারা ডেভিড ক্যামেরনকে বিশ্বাস করুন।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পার্লামেন্টের উপনেতা ডেভিড হিথ সাংবাদিকদের বলেন, অর্থমন্ত্রী অসবর্ন একজন ধনকুবের। সাধারণ মানুষের কষ্টের জীবনযাপন সম্পর্কে তাঁর বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।
ডিভিড হিথের বক্তব্যকে সমর্থন করে পরিবহনমন্ত্রী নরম্যান বেকার বলেন, তিনি অসবর্নকে খুব একটা পছন্দ করেন না। তবে তিনি বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির অনেক নেতা আছেন, যাঁরা সত্যিকার অর্থে ভালো ও বিশ্বাসযোগ্য।
লিবারেল পার্টির সাবেক নেতা লর্ড ডেভিড বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি মনে করেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা-কর্মীরা এই ভেবে আনন্দ পাবেন যে সরকারে থাকা তাঁদের দলীয় সহকর্মীরা জোটের বৃহৎ অংশের সঙ্গে ভালোভাবেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
স্কটল্যান্ড-বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল মুর, পেনশন মন্ত্রী স্টিভ ওয়েব ও বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড ডেভি ইতিমধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির তীব্র সমালোচনা করেছেন। শরিক দলের নেতাদের সমালোচনার শিকার হয়ে কনজারভেটিভ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ উভয়ই দৃশ্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল দুটি পরস্পরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করায় প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বর্তমান সরকারকে ‘কপট মিত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
No comments