ভারতই পরল সেরার মুকুট
বিকেলের সোনা রোদে সোনালি রঙের ট্রফিটা ঝিলিক দিচ্ছিল। সেই আলো এসে পড়ছিল তাবাবি দেবীর মুখে। সোনালি প্রলেপ দেওয়া ছয় কেজির ধাতব ট্রফিটাকে পরম মমতায় ছুঁয়ে দেখলেন ভারতের অধিনায়ক। শুধু ট্রফি নয়, ইতিহাসই তো ছোঁয়া হয়ে গেল তাঁর। প্রথম সাফ মহিলা ফুটবলের ফাইনালে সাসমিতার একমাত্র গোলে নেপালকে হারাল ভারত। দক্ষিণ এশিয়া-সেরার মুকুটটা উঠল তাদের মাথায়। যে ইতিহাসের সাক্ষী হলো কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি উপচে পড়া হাজার ছয়েক দর্শক।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নেমেছিল কাল ভারত। তারা খেলেছে ৪-৪-২ ছকে, নেপাল ৫-৩-২-এ। অন্য ম্যাচের তুলনায় নেপালের মাঝমাঠ কাল ছিল বেশি এলোমেলো। আক্রমণের দুই অস্ত্র অনু লামা ও যমুনা গুরুংকে সেভাবে সমর্থন দিতে পারছিল না তাদের মাঝমাঠ। তার পরও লড়াইটা জমজমাটই হলো। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালকে বেশি ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন বালা-তাবাবিরা। ৬৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের দিকে এগিয়ে যেতেই তাবাবিকে ফেলে দেন চন্দ্রা ভান্ডারি। নেপালের সর্বনাশটা হয় তখনই। ফাউলের নির্দেশ দেন জাপানের রেফারি সাতো নামি। বক্সের কেবলই বাইরে থেকে চমৎকার ফ্রি-কিক নেন সাসমিতা। বাতাসে ভেসে বল ঢুকে যায় জালে (১-০)। আনন্দে দর্শকদের ওড়িশি নৃত্য দেখিয়ে দেন সাসমিতা। বাকি ২৩ মিনিট গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা করে গেছে নেপাল। কিন্তু অনু লামাদের সব রকমের কৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারত।
ভারতের প্রধান কোচ শহীদ জব্বারকে কাল সারাক্ষণ দেখা গেছে ডাগ আউটে বসে থাকতে। বাউন্ডারি লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে বাংলায় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন সহকারী কোচ প্রতিমা বিশ্বাস। তবে জিতেও শহীদ জব্বার দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন, ‘চ্যাম্পিয়ন হলেও মেয়েদের খেলায় আমি সন্তুষ্ট না। আরও বেশি গোল পাওয়া উচিত ছিল আমাদের। অনেক গোল মিস করেছি। প্রথমার্ধেই আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম।’ একই কথা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার সাসমিতারও। তবে এই অর্জনকে পুঁজি করে ভারতের নারী ফুটবলকে আরও ওপরে দেখতে চান ১৪ গোলের মালিক, ‘আমি স্বপ্ন দেখি আমরা একদিন বিশ্বকাপে খেলব।’
নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুর যেন আগেই হার মেনে নিয়েছিলেন, ‘ভারতীয় দল অভিজ্ঞতায়, স্কিলে, গতিতে অনেক এগিয়ে। ওদের সঙ্গে আমরা কীভাবে পারি?’ কাল সকালে অনুশীলনের সময় পড়ে গিয়ে বাঁহাতে আঘাত পান যমুনা। খেলার মধ্যে মাঠে পড়েছেন আবার, তাই খেলতে হয়েছে ব্যান্ডেজ বেঁধে। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন যমুনা। গত এসএ গেমসের হারের প্রতিশোধ নেওয়া হলো না বলে হতাশ অনু লামা। তবে টুর্নামেন্টে নেপালের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটা তাঁর হতাশায় একটু সান্ত্বনার প্রলেপ দিতে পারে। ভারতের সেরা হয়েছেন বালা দেবী। ফেয়ার প্লের ট্রফিটা উঠেছে নেপালের হাতে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নেমেছিল কাল ভারত। তারা খেলেছে ৪-৪-২ ছকে, নেপাল ৫-৩-২-এ। অন্য ম্যাচের তুলনায় নেপালের মাঝমাঠ কাল ছিল বেশি এলোমেলো। আক্রমণের দুই অস্ত্র অনু লামা ও যমুনা গুরুংকে সেভাবে সমর্থন দিতে পারছিল না তাদের মাঝমাঠ। তার পরও লড়াইটা জমজমাটই হলো। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালকে বেশি ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন বালা-তাবাবিরা। ৬৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের দিকে এগিয়ে যেতেই তাবাবিকে ফেলে দেন চন্দ্রা ভান্ডারি। নেপালের সর্বনাশটা হয় তখনই। ফাউলের নির্দেশ দেন জাপানের রেফারি সাতো নামি। বক্সের কেবলই বাইরে থেকে চমৎকার ফ্রি-কিক নেন সাসমিতা। বাতাসে ভেসে বল ঢুকে যায় জালে (১-০)। আনন্দে দর্শকদের ওড়িশি নৃত্য দেখিয়ে দেন সাসমিতা। বাকি ২৩ মিনিট গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা করে গেছে নেপাল। কিন্তু অনু লামাদের সব রকমের কৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারত।
ভারতের প্রধান কোচ শহীদ জব্বারকে কাল সারাক্ষণ দেখা গেছে ডাগ আউটে বসে থাকতে। বাউন্ডারি লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে বাংলায় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন সহকারী কোচ প্রতিমা বিশ্বাস। তবে জিতেও শহীদ জব্বার দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন, ‘চ্যাম্পিয়ন হলেও মেয়েদের খেলায় আমি সন্তুষ্ট না। আরও বেশি গোল পাওয়া উচিত ছিল আমাদের। অনেক গোল মিস করেছি। প্রথমার্ধেই আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম।’ একই কথা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার সাসমিতারও। তবে এই অর্জনকে পুঁজি করে ভারতের নারী ফুটবলকে আরও ওপরে দেখতে চান ১৪ গোলের মালিক, ‘আমি স্বপ্ন দেখি আমরা একদিন বিশ্বকাপে খেলব।’
নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুর যেন আগেই হার মেনে নিয়েছিলেন, ‘ভারতীয় দল অভিজ্ঞতায়, স্কিলে, গতিতে অনেক এগিয়ে। ওদের সঙ্গে আমরা কীভাবে পারি?’ কাল সকালে অনুশীলনের সময় পড়ে গিয়ে বাঁহাতে আঘাত পান যমুনা। খেলার মধ্যে মাঠে পড়েছেন আবার, তাই খেলতে হয়েছে ব্যান্ডেজ বেঁধে। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন যমুনা। গত এসএ গেমসের হারের প্রতিশোধ নেওয়া হলো না বলে হতাশ অনু লামা। তবে টুর্নামেন্টে নেপালের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটা তাঁর হতাশায় একটু সান্ত্বনার প্রলেপ দিতে পারে। ভারতের সেরা হয়েছেন বালা দেবী। ফেয়ার প্লের ট্রফিটা উঠেছে নেপালের হাতে।
No comments