শিল্প-অর্থনীতি- বছর শেষে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ by ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

লতি বছর খ্রি. ২০১০ শেষ হতে স্বল্প কয়দিন বাকি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন হলো, তা নিয়ে বর্তমানে জনগণ মোটামুটিভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে। আসলে এদেশবাসীর গুটিকয়েক বাদে অধিকাংশ মানুষের চাহিদা খুব কম। তবু জনসংখ্যার আধিক্য এবং সামষ্টিক চাহিদা অনুযায়ী সামষ্টিক সরবরাহের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার অবশ্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে,
মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে; কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে। তারা বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এ ব্যাপারে উদ্যোগী রয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ সংকোচন করার প্রত্যয় নিয়ে এসএলআরসিআরআর ব্যাংকের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করেন এবং রেপো প্রথাও বেশ শস্নথ করেন। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর ব্যাংক ব্যবসায় মত্ত হয় এবং সর্বকালের রেকর্ড ১৮০% এ কল মানি মার্কেটের রেইটে উন্নীত করে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং কল মানি মার্কেট রেইটের হার কিছুটা হ্রাসে সচেষ্ট হোন। কিন্তু এর ফলে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার হয়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্জন ২০১০ সালে কম ছিল না। দোষী ব্যাংকসমূহের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান করার দরকার রয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে পুুঁজি বাজার গড়ে তোলার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়। তবু রাজস্ব নীতি এবং মুদ্রানীতি উভয়ের মধ্যে গরমিল থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানবর্গ কৃত্রিম সংকটের সূচনা করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে অনেক শেয়ারের ক্ষেত্রেই অতিমূল্যায়িত হয়ে আসছিল। মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন বেশ বৃদ্ধি পেলেও কেন এত বাড়ল এবং তা সঠিক করার দায়িত্ব এসইসির উপর বর্তায়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ব্যাংকসমূহ প্রচুর লাভ করে। আবার শেয়ার কোন ক্যাটাগরীর, কোম্পানীর ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট না দেখেই এবং প্রাইস আর্নের অনুপাত খেয়াল না করেই বেশ কিছু ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারী বেশ উদ্যোগী হন। এর ফলে তারা ভুগেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এসইসি-এর ভ্রান্ত নীতির কারণে মার্কেটে কেন শেয়ার অতিমূল্যায়িত হলো সেদিকে খেয়াল করা হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের শেয়ারসমূহ বাজারে আসছে না। কোন কোন কোম্পানি প্রডাকশানে না গিয়েও ডিভিডেন্ড দেন। এ বছর সরকারের প্রাপ্তিও কম নয়। জাতিসংঘ কর্তৃক মিলিনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের জন্য টার্গেটের চেয়ে বেশি জননেত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার গ্রহণ করেন। এটি দেশের জন্য গৌরবের বিষয়।
বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছেন। একই সাথে তারা সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করতে সচেষ্ট রয়েছেন। দ্রব্যমূল্য যাতে নিম্নমাত্রায় রাখা যায় সে জন্য সরকারের উদ্যোগের অভাব নেই। কিন্তু সরকারের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসিদেরও উচিত হবে দ্রব্যমূল্য যাতে ঊধর্্বগতি বজায় না থাকে সেজন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বস্তুত, সামষ্টিকভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে কাজ করতে হবে। এজন্য দরকার কেবল আইন নয় বরং মটিভেশান করা। ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রেই সুপার নর্মাল প্রফিট গ্রহণ করে থাকে। এই ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের গরীব শ্রেণীর প্রতি তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা অর্জনের বিষয় বাস্তবায়ন করা দরকার।
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা কেটে উঠায়, বিশ্ব বাজার আবার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। পাট এবং পাটজাত দ্রব্য; চামড়া এবং চামড়াজাত দ্রব্য ও পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, কোন কোন শ্রমিক নেতা-নেত্রী পোশাক শিল্প নিয়ে অশুভ পাঁয়তারা করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার যদি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণের মাধ্যমে গ্রেফতার করে থাকেন তবে তা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। কোনদিন শ্রম না দিয়েই একমাত্র এদেশে শ্রমিক নেতা-নেত্রী হওয়া যায়। জাহাজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন- যা এদেশের জন্য একটি মঙ্গলজনক ঘটনা। এবং এ পর্যন্ত বিদেশে মোট তিনটি জাহাজ আমরা রপ্তানি করতে পেরেছি। আশা করা যায় আরো বেশকিছু সংখ্যক জাহাজ রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তার কোন বিকল্প নেই। ঢাকা মহানগরীকে যানজট মুক্ত করতে হলে প্রাইভেটকারে পাঁচ জন তোলার প্রস্তাব কিংবা একদিন জোড় সংখ্যক গাড়ির নাম্বার এবং অন্যদিন বেজোড় সংখ্যক গাড়ির নাম্বার ব্যবহূত হবে- এটি আসলে সঠিক কোন সিদ্ধান্ত নয়। বরং ভিআইপি রোডে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ট্যাক্স বসানো যেতে পারে এবং রিকশা চালানো তুলে দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি যে সমস্ত পরিবারে একাধিক গাড়ি আছে তার ক্ষেত্রে একের অধিক গাড়ির লাইসেন্স বাতিল করার ব্যবস্থা করতে পারে।
জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য তিনি সাধুবাদযোগ্য। সবাইকে আইন মেনে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের চেয়েও দেশ বড়। আর প্রতিষ্ঠানের যদি মূল লক্ষ্য হয় জনকল্যাণ তবে কর দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রয়োজন মনে করলে সরকার থেকে ভতর্ুকি নিতে পারেন। এখন সময় এসেছে, প্রতিটি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থার ফান্ডিং যথাযথ ব্যয় হয় কিনা এবং এক খাত থেকে অন্য ক্ষেত্রে সরানো হয় কিনা_ সেদিকে লক্ষ্য রাখা। এদেশে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, প্রাক্তন গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক তার গ্রন্থে দেখান যে মাইক্রোক্রেডিটের নামে সুদের হার অত্যধিক আদায় করা হয়। ঋণ পরিশোধের জন্যে অনেক ক্ষেত্রে অমানবিক ব্যবহার করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটারী এজেন্সীস সব সময়েই উদাসীন ভূমিকা পালন করেছে এবং তাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের জবাবদিহি চারদলীয় জোটের সময়ে ব্যবস্থা করা হয়নি- যা এখনো চলছে। আশা করা যায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটারী এজেন্সীসের ক্ষেত্রে জরমযঃ চবৎংড়হ রহ ঃযব জরমযঃ চষধপব করা হবে।
বর্তমান সরকার গেস্নাবাল ওয়ার্মিং নিয়ে বেশ সোচ্চার। চলতি বছরে কানকুন সম্মেলনে তারা তাদের বক্তব্য যথাযথভাবে উপস্থাপন করেন। দেশে গ্রীন বিজনেস চালুর উদ্যোগ চলতি বছরে গ্রহণ করা হয় যদিও তা খুব ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ক্রেতা সাধারণকেও উৎসাহী হতে হবে।
বর্তমান সরকার শিল্পনীতিমালার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। এই শিল্পনীতিমালায় জনকল্যাণের বিষয়টি যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে দীর্ঘকাল ধরে কাজ না করার যে কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চালু হয়েছে রাতারাতি তা থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়।
বেসরকারী খাত উদ্যোগী হলেও তাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে অদক্ষতা, অস্বচ্ছতা এবং দুনর্ীতির শ্বেতহস্তী যা গত এক দশক ধরে বিরাজ করছিল, তা এখনো বহাল রয়েছে।
কৃষি খাতের উন্নতির জন্যে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে অবশ্য কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার সাধন করা দরকার। ফার্ম এবং নন-ফার্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে গ্রামীণ এলাকায় এগিয়ে আসতে হবে।
দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার কোন বিকল্প নেই। যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থাই কেবল দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সহায়ক ব্যবস্থা নিতে পারে। এক্ষেত্রে সামাজিক কল্যাণ এবং জনসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে মানব পুঁজি গঠনের প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। তবে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে শ্রম বাজারে বাংলাদেশীদের প্রেরণের জন্য আরো কঠোর নিয়ম-নীতিমালা এবং তার বাস্তবায়ন করা দরকার। এক্ষেত্রে বিদেশী শ্রমবাজারের চাহিদা অনুসারে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের পুনর্গঠন এবং বিদেশে অনুপ্রবেশে সুযোগের ব্যবস্থা করা দরকার। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশী এ্যাম্বেসীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
দেখা যায় যে, গত ছয় মাসে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে আমদানি বিকল্পায়ন শিল্প স্থাপন এবং রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা দরকার। এজন্যে আমদানি বিকল্প শিল্পায়ন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কাজ করতে হবে।
চলতি বছরে সরকারের সাফল্য অর্থনীতি ক্ষেত্রে কম নয়। মাইক্রো এবং ম্যাক্রো উভয়ক্ষেত্রেই সূচকসমূহ ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।
তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে হলে ম্যাক্রো ইকোনমিকে আরো গতিময়তা আনতে হবে। জিডিপি'র প্রবৃদ্ধির হার রাজস্ব অর্থ বছরে ২০১০-১১তে ৭% এবং বর্তমান সরকার যদি ২০১১-১২ তে ৮% এ উন্নীত করতে চায় তবে তারা সে কাঠামোগত সংস্কার সাধন তৈরি করতে চাচ্ছেন, তার সফল বাস্তবায়ন দরকার। বর্তমান বছরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম রাষ্ট্র। এক্ষেত্রে রপ্তানির আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রাখা দরকার। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ভারসাম্যপূর্ণ রাখার জন্য রিয়েল এফেকটিভ এক্সচেঞ্জ রেইট-কে যথাযথভাবে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। টাকার মান নিম্নমুখী রাখায় আগামীক্ষেত্রে দেশের ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এটি গত ৪/৫ বছর ধরে চলে আসছে। এ অব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশকে সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত করতে যে প্রয়াস নেয়া হয়েছে তা যেন সার্থক হয় সেজন্য জাতীয় স্বার্থ বিরোধী হরতাল-ধর্মঘট বন্ধ করা দরকার। সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র পরিচালনার বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের দেশকে সুন্দর করতে হলে, অর্থনৈতিক মুক্তি সাধন করতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার একান্ত প্রয়োজন। সমতা ও সহমর্মিতা নিয়ে সাপটা এবং বিমসটেকের কার্যক্রম ২০১০-এ তেমন উদ্যোগী ছিল না। এটার দায়-দায়িত্ব এ অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রগুলোর উপর নির্ভর করে। আর তাই বর্তমান সরকার নতুন বছরে ভারত-চীন-রাশিয়া-জাপানের পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রসমূহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে সকল প্রয়াসের মূল্য লক্ষ্য এবং এজন্য কলা-কৌশল নয় বরং বাস্তবায়ন করতে হবে পরিকল্পনাসমূহ।
===============================
দুই কোরিয়ার একত্রিকরণ কি সম্ভব  গ্যাসের ওপর বিপজ্জনক বসবাস  উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ  সময়ের দাবি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি  জনসংখ্যা বনাম জনশক্তি  ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হওয়া উচিত নয়  একটি পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচিত্র  পাটশিল্প ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা  ড. ইউনূসকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে  সুশিক্ষার পথে এখনও বাধা অনেক  ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ ও মর্যাদাহানির পরিণাম কখনই শুভ হয় না ঘুষ ও লুটপাট উভয়ের বিরুদ্ধে একই সাথে লড়তে হবে  সুনীতি ও সুশাসন  আমি কেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে  শ্রমিক অসন্তোষ বর্তমান প্রেক্ষিত  জীবন ব্যাকরণঃ দর্জির মুক্তিযুদ্ধ  তথ্যের অধিকার ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  শালীন ও সংযত কথাবার্তা কি শুধু একতরফা হতে হবে?  একটি অসমাপ্ত গল্প  মুসলিম বিশ্বে সেক্যুলারিজমের বর্তমান ও ভবিষ্যত  চীন দেশের কথা  হিকমতে হুজ্জতেদের কথা  মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে বিশ্বসভায়  ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো  বধ্যভূমিতে গেয়ে গেল যাঁরা জীবনের জয়গান  ভিক্ষাবৃত্তির মুখোশ  লন্ডন ভ্রমণ এবং সুখ-দুঃখের দু'টি কথা  শিক্ষার মানোন্নয়নে চাই যথার্থ মনিটরিং  পান্থজনঃ কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী  বাঙালির বৌদ্ধিক ঐতিহ্য  ৭২-এর সংবিধানের আলোকে কি রূপকল্প বদল করা উচিত নয়?  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ :নতুন যুগের বার্তাবাহক  প্রশাসনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি  পরিবেশ সুরক্ষায় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা  রাত যায় দিন আসে  শিক্ষা ছাড়া অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব  ভালবাসা নিভিয়ে দেয় হিংসার আগুন  মহান মুক্তিযুদ্ধঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি  রহস্যের পর্দা সরিয়ে দ্যুতিময় এমিলি ডিকিনসন  বেগম রোকেয়াঃ নারী জাগরণের বিস্ময়কর প্রতিভা  শিক্ষারমান ও সমকালীন প্রেক্ষাপট



দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
প্রফেসর, ব্যবসায় প্রশাসন ও অর্থনীতি বিভাগ, অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.