সেই স্টেইনেই বিপন্ন ভারত
যে ভয়টা ভারত পাচ্ছিল সেটাই হলো। সকালে বৃষ্টি। এরপর মাথার ওপর মেঘ রেখে টস করতে নেমে ধোনির হেরে যাওয়া। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের প্রথম দিনের পুনরাবৃত্তি কাল ডারবানের প্রথম দিনেও হলো অনেক দিক দিয়ে। ১৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ভারত।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম বলেই গৌতম গম্ভীরকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ডেল স্টেইন। শেষ পর্যন্ত একাদশ থেকে ছিটকে পড়ায় গম্ভীর অবশ্য ছিলেন না। তবে কাঁপিয়ে দেওয়ার কাজটি স্টেইন করে গেলেন বীরেন্দর শেবাগের আঙুল প্রায় থেঁতলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
মুরালি বিজয়কে নিয়ে শেবাগ অবশ্য সুস্থির শুরুই এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু ৪৩ রানের ওপেনিং জুটির পর ভারতীয় উইকেটের মৃদু বর্ষণ শুরু হয়ে গেল। স্টেইন আবারও দেখা দিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে। শেবাগ, বিজয়, রাহুল দ্রাবিড়—তিনজনকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন স্টেইন। এর মাঝখানে লনওয়াবো তোতসোবে ফেরালেন শচীন টেন্ডুলকারকে। ১১৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারাল ভারত।
স্টেইনই মূল নায়ক। পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনারকে। ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি ভিভিএস লক্ষ্মণও তাঁর শিকার। তবে তোতসোবেরও কৃতিত্বও কম নয়।
ভারতের মূল প্রতিরোধ আসতে পারত যে দুজনের কাছ থেকে, লক্ষ্মণ আর টেন্ডুলকার, দুজনই তাঁর ‘শিকার’। টেন্ডুলকার হতাশ করেছেন দলের দারুণ প্রয়োজনের সময় ব্যর্থ হয়ে। ৫০তম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দও অনেকখানি ফিকে হয়ে গেছে নির্ঘাত।
স্কোরকার্ড বলছে, লক্ষ্মণের উইকেটটি স্টেইনের। কিন্তু মিডঅনে নিচু হয়ে আসা ক্যাচটি যেভাবে লুফে নিয়েছেন, স্টেইন নিজেই মানবেন, মূল কৃতিত্ব তোতসোবেরই। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ক্যাচটাই স্মরণীয় হয়ে থাকল এই তরুণের। অথচ এ টেস্টে বাদও পড়তে পারতেন। সুরেশ রায়নার বদলে সুযোগ পাওয়া চেতেশ্বর পূজারাও তাঁর শিকার। স্টেইনের উইকেট ৪টি, বাকি দুটি তোতসোবের।
ভারতের আট ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। তার পরও এই দশা হওয়ার কারণ বোঝা যাবে এখান থেকে। সর্বোচ্চ স্কোর লক্ষ্মণের রান যে ৩৮। ভারতের শেষ ভরসা এখন অধিনায়ক ধোনি আর হরভজন। দুই অঙ্ক ছোঁয়াটাইকে এঁরা যথেষ্ট মনে না করলেই স্বস্তি ভাবে ভারত। ওয়েবসাইট।
পার্থক্য
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেবাগের ব্যাটিং-গড় ৫৪.৩৪, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গড় ২৭.১৬!
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম বলেই গৌতম গম্ভীরকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ডেল স্টেইন। শেষ পর্যন্ত একাদশ থেকে ছিটকে পড়ায় গম্ভীর অবশ্য ছিলেন না। তবে কাঁপিয়ে দেওয়ার কাজটি স্টেইন করে গেলেন বীরেন্দর শেবাগের আঙুল প্রায় থেঁতলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
মুরালি বিজয়কে নিয়ে শেবাগ অবশ্য সুস্থির শুরুই এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু ৪৩ রানের ওপেনিং জুটির পর ভারতীয় উইকেটের মৃদু বর্ষণ শুরু হয়ে গেল। স্টেইন আবারও দেখা দিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে। শেবাগ, বিজয়, রাহুল দ্রাবিড়—তিনজনকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন স্টেইন। এর মাঝখানে লনওয়াবো তোতসোবে ফেরালেন শচীন টেন্ডুলকারকে। ১১৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারাল ভারত।
স্টেইনই মূল নায়ক। পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনারকে। ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি ভিভিএস লক্ষ্মণও তাঁর শিকার। তবে তোতসোবেরও কৃতিত্বও কম নয়।
ভারতের মূল প্রতিরোধ আসতে পারত যে দুজনের কাছ থেকে, লক্ষ্মণ আর টেন্ডুলকার, দুজনই তাঁর ‘শিকার’। টেন্ডুলকার হতাশ করেছেন দলের দারুণ প্রয়োজনের সময় ব্যর্থ হয়ে। ৫০তম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দও অনেকখানি ফিকে হয়ে গেছে নির্ঘাত।
স্কোরকার্ড বলছে, লক্ষ্মণের উইকেটটি স্টেইনের। কিন্তু মিডঅনে নিচু হয়ে আসা ক্যাচটি যেভাবে লুফে নিয়েছেন, স্টেইন নিজেই মানবেন, মূল কৃতিত্ব তোতসোবেরই। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ক্যাচটাই স্মরণীয় হয়ে থাকল এই তরুণের। অথচ এ টেস্টে বাদও পড়তে পারতেন। সুরেশ রায়নার বদলে সুযোগ পাওয়া চেতেশ্বর পূজারাও তাঁর শিকার। স্টেইনের উইকেট ৪টি, বাকি দুটি তোতসোবের।
ভারতের আট ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। তার পরও এই দশা হওয়ার কারণ বোঝা যাবে এখান থেকে। সর্বোচ্চ স্কোর লক্ষ্মণের রান যে ৩৮। ভারতের শেষ ভরসা এখন অধিনায়ক ধোনি আর হরভজন। দুই অঙ্ক ছোঁয়াটাইকে এঁরা যথেষ্ট মনে না করলেই স্বস্তি ভাবে ভারত। ওয়েবসাইট।
পার্থক্য
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেবাগের ব্যাটিং-গড় ৫৪.৩৪, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গড় ২৭.১৬!
No comments