লা মঁদের পাঠক ভোটে সেরা ব্যক্তিত্ব অ্যাসাঞ্জ
ফ্রান্সের প্রভাবশালী দৈনিক লা মঁদের পাঠকদের ভোটে বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব (ম্যান অব দ্য ইয়ার) নির্বাচিত হয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আজ শুক্রবার পত্রিকাটি সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্রের মাধ্যমে চলতি বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে অ্যাসাঞ্জের নাম ঘোষণা করবে।
লা মঁদে সেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচনের জন্য নিজেদের ওয়েবসাইটে ভোটের আয়োজন করে। এতে অ্যাসাঞ্জ ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হন। অ্যাসাঞ্জের পরের অবস্থানে আছেন চীনের ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মী এবং চলতি বছর শান্তিতে নোবেলজয়ী লিউ সিয়াওবো। তিনি ২২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। আর টাইম সাময়িকীর ২০১০ সালের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ পেয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
টাইম সাময়িকীর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও পাঠকের ভোটে শীর্ষ ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তবে তাঁকে বাদ দিয়ে জাকারবার্গকেই নির্বাচিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, উইকিলিকসের নথি প্রকাশে সহযোগী বিশ্বের অন্যতম পাঁচটি পত্রিকার একটি হলো লা মঁদে।
এ দিকে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, উইকিলিকসের কাছে ২০০৬ সালের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধ এবং জানুয়ারিতে দুবাইয়ে হামাস-নেতা মাহমুদ আল মাবহুহর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্পর্শকতার ও গোপন নথি রয়েছে। তাঁরা এগুলো প্রকাশ করবেন।
অ্যাসাঞ্জ বলেন, তাঁদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের মোট তিন হাজার ৭০০ নথি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের গোপন কোনো চুক্তি নেই। ইসরায়েলের সঙ্গেও আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো যোগাযোগ নেই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাসাঞ্জের সাক্ষাৎকার প্রচার করে আল জাজিরা।
২০০৬ সালে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে মাসব্যাপী যুদ্ধ চলে। এতে লেবাননের এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের পক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়, যার বেশির ভাগই ইসরায়েলি সেনা।
No comments