বাগবোকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আইভরি কোস্টের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবোকে সরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিউম সরো। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদলীয় নেতা আলাসেন ওয়েতাহাকে জয়ী বলে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ। কিন্তু বাগবো প্রেসিডেন্টের পদ না ছাড়তে অনড়। সেনারা তাঁর পক্ষে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। বাগবোর এ সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বব্যাংক গত বুধবার সে দেশে ঋণ-সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।
আইভরি কোস্টে ১৬ ডিসেম্বরের পর ১৭৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
গত বুধবার ফ্রান্সেস আই-টেলি টিভি চ্যানেলে দেওয়া ভাষণে বাগবোকে সরিয়ে দিতে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়নসহ অন্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী গিউম সরো। তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে এ সমস্যার সমাধান এখন একটিই—তা হচ্ছে, বল প্রয়োগ করা।’
গিউম সরো বলেন, ‘লাইবেরিয়া ও অ্যাঙ্গোলার ভাড়াটে সেনাদের গুলিতে আইভরি কোস্টে এরই মধ্যে ২০০ লোক নিহত হয়েছে।’ এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তবে তাঁর এ দাবির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক উপপ্রধান কিয়াং হোয়া ক্যাং বলেন, গত ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সে দেশে ১৭৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন ও অপদস্থ করার ঘটনা ঘটেছে ৯০টি। ৪৭১ জনকে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে ক্যাং এসব তথ্য জানান।
ক্যাং আরও বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণকবর দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিবেশী দেশ লাইবেরিয়া থেকে ভাড়াটে সেনা নিয়োগ করা নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এসব ঘটনা দেশটিকে আবার গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আইভরি কোস্টের সেনারা ক্ষমতাসীন বাগবোর আসন রক্ষা করার ব্যাপারে এককাট্টা হয়েছে। গত বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় সেনা মুখপাত্র বাবরি গোহাউরো বলেন, ‘নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে প্রকৃত ভাই হিসেবে এককাট্টা থাকার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রেসিডেন্টের পাশে থাকার ব্যাপারে আমরা আবারও নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
এদিকে বিশ্বব্যাংক গত বুধবার আইভরি কোস্টের ঋণ-সহায়তা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক বলেন, এ ঋণ এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি মালির প্রেসিডেন্ট আমান্দু তুমানি তুরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আইভরি কোস্টে ১৬ ডিসেম্বরের পর ১৭৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
গত বুধবার ফ্রান্সেস আই-টেলি টিভি চ্যানেলে দেওয়া ভাষণে বাগবোকে সরিয়ে দিতে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়নসহ অন্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী গিউম সরো। তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে এ সমস্যার সমাধান এখন একটিই—তা হচ্ছে, বল প্রয়োগ করা।’
গিউম সরো বলেন, ‘লাইবেরিয়া ও অ্যাঙ্গোলার ভাড়াটে সেনাদের গুলিতে আইভরি কোস্টে এরই মধ্যে ২০০ লোক নিহত হয়েছে।’ এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তবে তাঁর এ দাবির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক উপপ্রধান কিয়াং হোয়া ক্যাং বলেন, গত ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সে দেশে ১৭৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন ও অপদস্থ করার ঘটনা ঘটেছে ৯০টি। ৪৭১ জনকে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে ক্যাং এসব তথ্য জানান।
ক্যাং আরও বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণকবর দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিবেশী দেশ লাইবেরিয়া থেকে ভাড়াটে সেনা নিয়োগ করা নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এসব ঘটনা দেশটিকে আবার গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আইভরি কোস্টের সেনারা ক্ষমতাসীন বাগবোর আসন রক্ষা করার ব্যাপারে এককাট্টা হয়েছে। গত বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় সেনা মুখপাত্র বাবরি গোহাউরো বলেন, ‘নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে প্রকৃত ভাই হিসেবে এককাট্টা থাকার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। প্রেসিডেন্টের পাশে থাকার ব্যাপারে আমরা আবারও নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
এদিকে বিশ্বব্যাংক গত বুধবার আইভরি কোস্টের ঋণ-সহায়তা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক বলেন, এ ঋণ এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি মালির প্রেসিডেন্ট আমান্দু তুমানি তুরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
No comments