কিউইরা তবু যেন আনন্দভুবনে
বিশালাকৃতির কিছু ফোম রাখা আছে। বেশ কয়েকজন সেগুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছেন। কয়েকজন আবার সেই ফোমগুলোকে পেছন থেকে ঠেলা দিচ্ছেন। দুজন আবার জুডো-কারাতে অনুশীলনে ব্যস্ত। কয়েকজন জগিং করছেন দুই হাত দুই পাশে মেলে ওড়ার ভঙ্গিতে। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের দেখে কাল মনে হচ্ছিল যেন খাঁচা থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া এক ঝাঁক পাখি।
ব্যাপারটা সে রকমই। আসলে তাঁদের ছোট্ট খাঁচা থেকে এনে একটু বড় খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগের দিন তাঁরা ছিলেন এক প্রকার হোটেল রুমে বন্দী। সেখান থেকে কাল মিরপুর সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের একটু বড় পরিসরে। এতেই যেন কিউই ক্রিকেটারদের আনন্দগুলো ডানা মেলে দিল। হইহুল্লোড়, হাসি-ঠাট্টা-তামাশায় ভরপুর দলটাকে দেখে কে বলবে সিরিজে পিছিয়ে থাকা দল? ‘বিশ্বকাপের আদর্শ প্রস্তুতি’ বলে অনেক ঢাকঢোল পেটানো সিরিজে তারা মাঠেই নামতে পারছে না, মেজাজটা তাদের বিগড়ে থাকারই কথা!
রহস্য ভেদ হলো ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কথায়। সাবেক সহ-অধিনায়ক জানালেন এই দলটার চরিত্রই নাকি এ রকম, ‘আমরা সব সময়ই এমন হইহুল্লোড় করি, সব সময়ই আমরা হাসি-ঠাট্টায় মেতে থাকি। নিউজিল্যান্ডের যতগুলো দলে আমি খেলেছি, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর দল।’ আসল কাজটা কিন্তু হাসি-তামাশার আড়ালে চাপা পড়ে যায়নি। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ইনডোর স্টেডিয়ামে যথেষ্টই ঘাম ঝরিয়েছে তারা। কালকের সূচিতে ছিল শুধুই ফিটনেস ট্রেনিং। কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচ তাই মাঠেই আসেননি। দুই দিন পর কাল সূয্যিমামার দেখা পাওয়া গেলেও শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড পুরোপুরি শুকায়নি। বাধ্য হয়ে তাই যেতে হয়েছে ইনডোরে।
কিউইদের কিন্তু এতে খুব একটা বেজার মনে হলো না। বরং বাংলাদেশের আতিথেয়তায় ম্যাককালাম মুগ্ধ, ‘সত্যি বলছি, আমাদের খুব ভালো যত্ন নেওয়া হচ্ছে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে, খুব বেশি খেলার সুযোগ আমরা পাইনি। কিন্তু বৃষ্টি নিয়ে কারও কিছু করার নেই। ট্রেনিং সুবিধা ভালো, মাঠ ভালো, দারুণ একটা হোটেলে আমরা আছি, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। সবাই বাংলাদেশ সফরটা খুব উপভোগ করছে।’ কিন্তু বাংলাদেশ সফরের ১১ দিন হয়ে গেলেও ম্যাচ খেলতে পেরেছে একটা মাত্র, সেটাও বৃষ্টির থাবায় ছোট হয়ে আসা, কিউইরা কি সত্যিই হতাশ নন? ম্যাককালামের কণ্ঠে ভেট্টোরি-টেলরদের সেই পুরোনো কথাই, ‘ম্যাচ খেলতে না পারাটা খুবই হতাশার। তবে আবহাওয়ার ওপর কারও কোনো হাত নেই, এটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করারও কোনো মানে হয় না। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমরা যেন প্রস্তুত থাকি এবং সুযোগ আসলে সেটা কাজে লাগাতে পারি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও তিনটি খেলা আমরা পাচ্ছি। পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার সুযোগ আমাদের আছে।’
বৃষ্টির কল্যাণে পাওয়া বাড়তি সময়টুকুকে কিন্তু হেলাফেলায় কাটাননি ম্যাককালামরা। অপ্রত্যাশিত অবসরটুকুুকে কাজে লাগিয়েছেন ভবিষ্যতের পুঁজি গড়তে, ‘জিমে প্রচুর সময় কাটাচ্ছি, এই সফর দিয়ে লম্বা আন্তর্জাতিক মৌসুমের সূচনা হচ্ছে, যেখানে বিশ্বকাপটাও আছে। তা ছাড়া একসঙ্গে প্রচুর সময় কাটাচ্ছি আমরা। খাওয়া, আড্ডা দেওয়া, কার্ড খেলা, কম্পিউটার গেমস খেলা, টিভি দেখা—সবই আমরা একসঙ্গে করার চেষ্টা করছি। দলের বন্ধনটা এতে আরও দৃঢ় হবে।’
সিরিজ জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে এখন জিততে হবে টানা তিন ম্যাচ। তবে তারা এখন এগোতে চায় ম্যাচ বাই ম্যাচ, আগে সমতা ফেরানো, তারপর এগিয়ে যাওয়া। একটা ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশ যেন উড়তে না থাকে, ইঙ্গিতে সেই সতর্কবার্তাও দিয়ে গেলেন, ‘একটা ম্যাচ দিয়ে আপনি কিছুই বিবেচনা করতে পারেন না। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ও এক ম্যাচে ব্যর্থ হতে পারে।’
সাকিবরা শুনছেন তো!
ব্যাপারটা সে রকমই। আসলে তাঁদের ছোট্ট খাঁচা থেকে এনে একটু বড় খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগের দিন তাঁরা ছিলেন এক প্রকার হোটেল রুমে বন্দী। সেখান থেকে কাল মিরপুর সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের একটু বড় পরিসরে। এতেই যেন কিউই ক্রিকেটারদের আনন্দগুলো ডানা মেলে দিল। হইহুল্লোড়, হাসি-ঠাট্টা-তামাশায় ভরপুর দলটাকে দেখে কে বলবে সিরিজে পিছিয়ে থাকা দল? ‘বিশ্বকাপের আদর্শ প্রস্তুতি’ বলে অনেক ঢাকঢোল পেটানো সিরিজে তারা মাঠেই নামতে পারছে না, মেজাজটা তাদের বিগড়ে থাকারই কথা!
রহস্য ভেদ হলো ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কথায়। সাবেক সহ-অধিনায়ক জানালেন এই দলটার চরিত্রই নাকি এ রকম, ‘আমরা সব সময়ই এমন হইহুল্লোড় করি, সব সময়ই আমরা হাসি-ঠাট্টায় মেতে থাকি। নিউজিল্যান্ডের যতগুলো দলে আমি খেলেছি, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর দল।’ আসল কাজটা কিন্তু হাসি-তামাশার আড়ালে চাপা পড়ে যায়নি। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ইনডোর স্টেডিয়ামে যথেষ্টই ঘাম ঝরিয়েছে তারা। কালকের সূচিতে ছিল শুধুই ফিটনেস ট্রেনিং। কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচ তাই মাঠেই আসেননি। দুই দিন পর কাল সূয্যিমামার দেখা পাওয়া গেলেও শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড পুরোপুরি শুকায়নি। বাধ্য হয়ে তাই যেতে হয়েছে ইনডোরে।
কিউইদের কিন্তু এতে খুব একটা বেজার মনে হলো না। বরং বাংলাদেশের আতিথেয়তায় ম্যাককালাম মুগ্ধ, ‘সত্যি বলছি, আমাদের খুব ভালো যত্ন নেওয়া হচ্ছে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে, খুব বেশি খেলার সুযোগ আমরা পাইনি। কিন্তু বৃষ্টি নিয়ে কারও কিছু করার নেই। ট্রেনিং সুবিধা ভালো, মাঠ ভালো, দারুণ একটা হোটেলে আমরা আছি, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। সবাই বাংলাদেশ সফরটা খুব উপভোগ করছে।’ কিন্তু বাংলাদেশ সফরের ১১ দিন হয়ে গেলেও ম্যাচ খেলতে পেরেছে একটা মাত্র, সেটাও বৃষ্টির থাবায় ছোট হয়ে আসা, কিউইরা কি সত্যিই হতাশ নন? ম্যাককালামের কণ্ঠে ভেট্টোরি-টেলরদের সেই পুরোনো কথাই, ‘ম্যাচ খেলতে না পারাটা খুবই হতাশার। তবে আবহাওয়ার ওপর কারও কোনো হাত নেই, এটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করারও কোনো মানে হয় না। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমরা যেন প্রস্তুত থাকি এবং সুযোগ আসলে সেটা কাজে লাগাতে পারি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও তিনটি খেলা আমরা পাচ্ছি। পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার সুযোগ আমাদের আছে।’
বৃষ্টির কল্যাণে পাওয়া বাড়তি সময়টুকুকে কিন্তু হেলাফেলায় কাটাননি ম্যাককালামরা। অপ্রত্যাশিত অবসরটুকুুকে কাজে লাগিয়েছেন ভবিষ্যতের পুঁজি গড়তে, ‘জিমে প্রচুর সময় কাটাচ্ছি, এই সফর দিয়ে লম্বা আন্তর্জাতিক মৌসুমের সূচনা হচ্ছে, যেখানে বিশ্বকাপটাও আছে। তা ছাড়া একসঙ্গে প্রচুর সময় কাটাচ্ছি আমরা। খাওয়া, আড্ডা দেওয়া, কার্ড খেলা, কম্পিউটার গেমস খেলা, টিভি দেখা—সবই আমরা একসঙ্গে করার চেষ্টা করছি। দলের বন্ধনটা এতে আরও দৃঢ় হবে।’
সিরিজ জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে এখন জিততে হবে টানা তিন ম্যাচ। তবে তারা এখন এগোতে চায় ম্যাচ বাই ম্যাচ, আগে সমতা ফেরানো, তারপর এগিয়ে যাওয়া। একটা ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশ যেন উড়তে না থাকে, ইঙ্গিতে সেই সতর্কবার্তাও দিয়ে গেলেন, ‘একটা ম্যাচ দিয়ে আপনি কিছুই বিবেচনা করতে পারেন না। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ও এক ম্যাচে ব্যর্থ হতে পারে।’
সাকিবরা শুনছেন তো!
No comments