নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যা
সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের হাতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ বলে প্রতীয়মান হয়। সংবাদপত্রে সহিংসতার যে ছবি ছাপা হয়েছে, টেলিভিশনে যে চিত্র দেখানো হয়েছে, তাতে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও উদ্বিগ্ন। এমন ঘটনা রাজনীতির জন্য কলঙ্কের ও সরকারের জন্য লজ্জার বিষয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ঘটনাটি জনমনে যে অভিঘাত সৃষ্টি করেছে, তার প্রতি সাড়া দিয়ে সেই ব্যবস্থা দ্রুত ও কঠোরভাবেই নেওয়া প্রয়োজন। নইলে এ ঘটনার দায় থেকে সরকার, ক্ষমতাসীন দল মুক্ত হতে পারবে না।
নাটোরের বনপাড়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় একজন নেতাকে স্বাগত জানাতে বিএনপি মিছিল বের করলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা তাতে হামলা চালান। এতে ব্যবহূত হয় আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসহ ধারালো হাতিয়ার। অভিযোগ রয়েছে, তাণ্ডবে বিএনপির ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হলেও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখানেই শেষ নয়, দুষ্কৃতকারীরা দায়িত্বরত চার সাংবাদিকের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হতেও দ্বিধা করেনি। তাঁদের দুজনের মাথা ফেটে গেছে এবং একজনের পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, অন্যজনও গুরুতর আহত। এ ঘটনার জেরে নাটোরের রাজনীতি উত্তপ্ত তো হলোই, জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রতিক্রিয়া পড়বে স্বাভাবিকভাবেই। নাটোরে হরতাল ঘোষিত হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বিএনপিও কর্মসূচি নিয়েছে।
নিহত সানাউল্লাহ নূর কেবল বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতিই ছিলেন না, ছিলেন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। তাই এ ঘটনা কেবল বিরোধী দলের ওপরই আক্রমণ নয়, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলেও বিবেচিত হবে। অতীতে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে এ ধরনের ঘটনা জনগণকে সন্ত্রস্ত করেছিল এবং বিপন্ন করেছিল আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের অস্তিত্বকে। তারই পুনরাবৃত্তি কোনোভাবে কাম্য নয়।
জনগণের চোখের সামনে একজন জনপ্রতিনিধির ওপর এ ধরনের হামলা ও পরিণতিতে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি একটি সুস্থ সমাজে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের স্থান রাজনীতিতে হওয়ার কথা নয়। রাজনীতিতে এ ধরনের নিষ্ঠুরতা চলতে পারে না। ক্ষতিটা সরকারেরই বেশি, তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বও তার ওপর বর্তায়। কাদের প্রশ্রয়ে এসব ঘটছে, তা খুঁজে বের করা জরুরি।
সারা দেশেই সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড লক্ষ করা গেছে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এসব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থই হচ্ছেন না, মাঝেমধ্যে অসহিষ্ণু প্রতিক্রিয়াও দেখাচ্ছেন, যা থেকে দলীয় কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। অসহিষ্ণু ও বৈরী রাজনীতির শিকার হলেন বনপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর। আওয়ামী লীগের নিষ্ঠাবান কর্মী-সমর্থকদেরও এ ঘটনায় কলঙ্কিত করা হলো। এই দায় তাঁরা কেন নেবেন? কেন সরকারই বা এই অনাচার সইবে? এ ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গৃহীত কর্মসূচিও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে আশা করি। সরকারের উচিত নাটোরের নৃশংস ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সহিংস কর্মকাণ্ড থেকেও নিবৃত্ত করতে হবে। অপরাধ করে দলীয় নেতা-কর্মীরা পার পেয়ে গেলে অপরাধ বাড়তেই থাকবে। সেই অবস্থা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য নয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তিই পারে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে।
নাটোরের বনপাড়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় একজন নেতাকে স্বাগত জানাতে বিএনপি মিছিল বের করলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা তাতে হামলা চালান। এতে ব্যবহূত হয় আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসহ ধারালো হাতিয়ার। অভিযোগ রয়েছে, তাণ্ডবে বিএনপির ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হলেও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখানেই শেষ নয়, দুষ্কৃতকারীরা দায়িত্বরত চার সাংবাদিকের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হতেও দ্বিধা করেনি। তাঁদের দুজনের মাথা ফেটে গেছে এবং একজনের পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, অন্যজনও গুরুতর আহত। এ ঘটনার জেরে নাটোরের রাজনীতি উত্তপ্ত তো হলোই, জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রতিক্রিয়া পড়বে স্বাভাবিকভাবেই। নাটোরে হরতাল ঘোষিত হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বিএনপিও কর্মসূচি নিয়েছে।
নিহত সানাউল্লাহ নূর কেবল বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতিই ছিলেন না, ছিলেন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। তাই এ ঘটনা কেবল বিরোধী দলের ওপরই আক্রমণ নয়, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলেও বিবেচিত হবে। অতীতে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে এ ধরনের ঘটনা জনগণকে সন্ত্রস্ত করেছিল এবং বিপন্ন করেছিল আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের অস্তিত্বকে। তারই পুনরাবৃত্তি কোনোভাবে কাম্য নয়।
জনগণের চোখের সামনে একজন জনপ্রতিনিধির ওপর এ ধরনের হামলা ও পরিণতিতে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি একটি সুস্থ সমাজে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের স্থান রাজনীতিতে হওয়ার কথা নয়। রাজনীতিতে এ ধরনের নিষ্ঠুরতা চলতে পারে না। ক্ষতিটা সরকারেরই বেশি, তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বও তার ওপর বর্তায়। কাদের প্রশ্রয়ে এসব ঘটছে, তা খুঁজে বের করা জরুরি।
সারা দেশেই সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড লক্ষ করা গেছে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এসব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থই হচ্ছেন না, মাঝেমধ্যে অসহিষ্ণু প্রতিক্রিয়াও দেখাচ্ছেন, যা থেকে দলীয় কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। অসহিষ্ণু ও বৈরী রাজনীতির শিকার হলেন বনপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর। আওয়ামী লীগের নিষ্ঠাবান কর্মী-সমর্থকদেরও এ ঘটনায় কলঙ্কিত করা হলো। এই দায় তাঁরা কেন নেবেন? কেন সরকারই বা এই অনাচার সইবে? এ ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গৃহীত কর্মসূচিও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে আশা করি। সরকারের উচিত নাটোরের নৃশংস ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সহিংস কর্মকাণ্ড থেকেও নিবৃত্ত করতে হবে। অপরাধ করে দলীয় নেতা-কর্মীরা পার পেয়ে গেলে অপরাধ বাড়তেই থাকবে। সেই অবস্থা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য নয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তিই পারে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে।
No comments