১৯ ম্যাচ পর নতুন সূচনা
একটা সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল সম্ভবত ওপেনিং জুটিতে। দলের এই জায়গাটাই ছিল সবচেয়ে পরিবর্তনশীল। কার সঙ্গে কার জুটিটা ভালো হয়, কার সঙ্গে কারটা খারাপ—সেটা বোঝাও ছিল কঠিন।
তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস দিনবদলের গান শোনালেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ৫ অক্টোবর চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে এ বছর বাংলাদেশ যে ১৯টি ওয়ানডে খেলেছে, তার সব কটিতেই ওপেনিং জুটিতে তামিম-ইমরুল। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এটা বিরল ঘটনা। নতুন বলের বিপক্ষে দারুণ সফল এই জুটি—মোট ২১ ম্যাচে (২০০৮ এর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দুই ম্যাচেও তাঁরাই ছিলেন ওপেনিং জুটিতে) একসঙ্গে ইনিংস শুরু করে এই জুটিতে এসেছে ৬৫৪ রান।
তামিমের ইনজুরি ছেদ না টানলে এই হিসাবটা আরও বড় হতে পারত। সেটা না হওয়ায় বাংলাদেশ দল ১৯ ম্যাচ পর দেখল ইমরুল কায়েস ও শাহরিয়ার নাফীসের আরেকটি ওপেনিং জুটি। শুধু ওপেনিং জুটিতে কেন, শাহরিয়ার-ইমরুল একসঙ্গে প্রথম ওয়ানডেই তো খেললেন গত ৫ অক্টোবর! শাহরিয়ারের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৫ সালের জুনে আর ইমরুলের ২০০৮-এর অক্টোবরে হলেও শাহরিয়ার মাঝে আইসিএলে চলে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে দুজনের একই ড্রেসিংরুমে থাকার সুযোগ হয়নি। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টটা দুজনই খেলেছেন। উইকেটে গিয়ে দেখা হয়নি তার পরও। দুই ইনিংসেই আগে আউট হয়ে যাওয়ায় তিন নম্বরে নামা শাহরিয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধা হয়নি ইমরুলের।
প্রথমবারের মতো তাঁদের জুটি হলো এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা প্রথম ওয়ানডেতে। তা ৩৪ রানের জুটিতে কেমন লাগল শাহরিয়ারের নতুন সঙ্গ? কাল ইনডোরে নেট প্র্যাকটিস করতে যাওয়ার পথে ইমরুল বললেন, ‘শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু উনি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। পরে মানিয়ে নিয়েছি। সমস্যা হয়নি।’ তামিমের সঙ্গে ইমরুলের বোঝাপড়াটা হয় দারুণ। ইমরুল এক প্রান্ত ধরে রাখেন তো অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন তামিম। শাহরিয়ার-ইমরুলের ক্ষেত্রে ‘গেম প্ল্যান’ ভিন্ন করে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টই। শাহরিয়ার জানান, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে খেলার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে তাঁদের, ‘আমরা সিচুয়েশন অনুযায়ী খেলব। মারার বলে মারব, ভালো বলকে সমীহ করব। যা করার দুজন একই রকম করব—এটাই বলা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।’
তামিমের সঙ্গে ২২ ম্যাচে ইনিংস শুরু করার অভিজ্ঞতা আছে শাহরিয়ারের। তবে ইমরুলের সঙ্গে প্রথম জুটি বাঁধার অভিজ্ঞতাটাও খারাপ নয় বললেন এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই ইমরুলের সঙ্গে প্রথম ওপেন করলাম। খারাপ লাগেনি। আগে একসঙ্গে না খেললেও সেন্টার উইকেটের প্র্যাকটিসে আমরা জুটি বেঁধে ব্যাটিং করেছি। বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে সেখানেই, নিজেদের মধ্যে ব্যাটিং নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে।’
ইমরুলকে নিয়ে নয়, ওই ম্যাচে বরং নিজেকে নিয়েই চাপে ছিলেন প্রায় আড়াই বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা শাহরিয়ার, ‘এত দিন পর খেলতে নেমেছি, টেনশনে তো থাকবই। তার পরও আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো খেলতে পারব। কিন্তু ভেট্টোরির খুব ভালো একটা বলে বোল্ড হয়ে গেলাম।’
আড়াই বছর পর ফিরে ৩৫ রানের ইনিংস খুব খারাপ নয়। তবে ঘুরেফিরে ‘তামিমের জায়গায় এসেছেন, তামিমের অভাব পূরণ করতে পারবেন তো’ জাতীয় প্রশ্ন শুনে একটু যেন বিব্রত শাহরিয়ার। সুযোগ পেয়ে কাল নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করে নিলেন তামিমের দেড় বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা এই ব্যাটসম্যান, ‘তামিম ইনজুরিতে, আমি সেই সুযোগে দলে এসেছি—ব্যাপারটা এটুকুই। আমি নতুন খেলোয়াড় নই। সবাই আমার সামর্থ্য জানে এবং সেজন্যই দলে এসেছি। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও আমাকে আমার খেলাই খেলতে বলা হয়েছে। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিয়ে দলে জায়গা ধরে রাখতে।’
মাঠের বাইরে থেকেও কি একটা লড়াই টের পাচ্ছেন তামিম ইকবাল?
তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস দিনবদলের গান শোনালেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ৫ অক্টোবর চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে এ বছর বাংলাদেশ যে ১৯টি ওয়ানডে খেলেছে, তার সব কটিতেই ওপেনিং জুটিতে তামিম-ইমরুল। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এটা বিরল ঘটনা। নতুন বলের বিপক্ষে দারুণ সফল এই জুটি—মোট ২১ ম্যাচে (২০০৮ এর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দুই ম্যাচেও তাঁরাই ছিলেন ওপেনিং জুটিতে) একসঙ্গে ইনিংস শুরু করে এই জুটিতে এসেছে ৬৫৪ রান।
তামিমের ইনজুরি ছেদ না টানলে এই হিসাবটা আরও বড় হতে পারত। সেটা না হওয়ায় বাংলাদেশ দল ১৯ ম্যাচ পর দেখল ইমরুল কায়েস ও শাহরিয়ার নাফীসের আরেকটি ওপেনিং জুটি। শুধু ওপেনিং জুটিতে কেন, শাহরিয়ার-ইমরুল একসঙ্গে প্রথম ওয়ানডেই তো খেললেন গত ৫ অক্টোবর! শাহরিয়ারের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৫ সালের জুনে আর ইমরুলের ২০০৮-এর অক্টোবরে হলেও শাহরিয়ার মাঝে আইসিএলে চলে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে দুজনের একই ড্রেসিংরুমে থাকার সুযোগ হয়নি। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টটা দুজনই খেলেছেন। উইকেটে গিয়ে দেখা হয়নি তার পরও। দুই ইনিংসেই আগে আউট হয়ে যাওয়ায় তিন নম্বরে নামা শাহরিয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধা হয়নি ইমরুলের।
প্রথমবারের মতো তাঁদের জুটি হলো এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা প্রথম ওয়ানডেতে। তা ৩৪ রানের জুটিতে কেমন লাগল শাহরিয়ারের নতুন সঙ্গ? কাল ইনডোরে নেট প্র্যাকটিস করতে যাওয়ার পথে ইমরুল বললেন, ‘শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু উনি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। পরে মানিয়ে নিয়েছি। সমস্যা হয়নি।’ তামিমের সঙ্গে ইমরুলের বোঝাপড়াটা হয় দারুণ। ইমরুল এক প্রান্ত ধরে রাখেন তো অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন তামিম। শাহরিয়ার-ইমরুলের ক্ষেত্রে ‘গেম প্ল্যান’ ভিন্ন করে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টই। শাহরিয়ার জানান, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে খেলার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে তাঁদের, ‘আমরা সিচুয়েশন অনুযায়ী খেলব। মারার বলে মারব, ভালো বলকে সমীহ করব। যা করার দুজন একই রকম করব—এটাই বলা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।’
তামিমের সঙ্গে ২২ ম্যাচে ইনিংস শুরু করার অভিজ্ঞতা আছে শাহরিয়ারের। তবে ইমরুলের সঙ্গে প্রথম জুটি বাঁধার অভিজ্ঞতাটাও খারাপ নয় বললেন এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই ইমরুলের সঙ্গে প্রথম ওপেন করলাম। খারাপ লাগেনি। আগে একসঙ্গে না খেললেও সেন্টার উইকেটের প্র্যাকটিসে আমরা জুটি বেঁধে ব্যাটিং করেছি। বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে সেখানেই, নিজেদের মধ্যে ব্যাটিং নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে।’
ইমরুলকে নিয়ে নয়, ওই ম্যাচে বরং নিজেকে নিয়েই চাপে ছিলেন প্রায় আড়াই বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা শাহরিয়ার, ‘এত দিন পর খেলতে নেমেছি, টেনশনে তো থাকবই। তার পরও আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো খেলতে পারব। কিন্তু ভেট্টোরির খুব ভালো একটা বলে বোল্ড হয়ে গেলাম।’
আড়াই বছর পর ফিরে ৩৫ রানের ইনিংস খুব খারাপ নয়। তবে ঘুরেফিরে ‘তামিমের জায়গায় এসেছেন, তামিমের অভাব পূরণ করতে পারবেন তো’ জাতীয় প্রশ্ন শুনে একটু যেন বিব্রত শাহরিয়ার। সুযোগ পেয়ে কাল নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করে নিলেন তামিমের দেড় বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা এই ব্যাটসম্যান, ‘তামিম ইনজুরিতে, আমি সেই সুযোগে দলে এসেছি—ব্যাপারটা এটুকুই। আমি নতুন খেলোয়াড় নই। সবাই আমার সামর্থ্য জানে এবং সেজন্যই দলে এসেছি। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও আমাকে আমার খেলাই খেলতে বলা হয়েছে। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিয়ে দলে জায়গা ধরে রাখতে।’
মাঠের বাইরে থেকেও কি একটা লড়াই টের পাচ্ছেন তামিম ইকবাল?
No comments