বিদ্যুৎ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দায় ৫০ বছর পর্যন্ত বহন করতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার দায় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আগামী ২৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বহন করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে সব রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতা পর্বতসম।
গতকাল সোমবার ‘বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সভাপতির বক্তব্যে আকবর আলি খান এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (সিএসডি) স্থানীয় এক হোটেলে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
আকবর আলী খান আরও বলেন, জ্বালানি খাতে অর্থনৈতিক ব্যর্থতার চেয়ে রাজনৈতিক ব্যর্থতাই বেশি। বিদ্যুৎ খাতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রায়ই তা ভুল হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৫টি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াই চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
সাবেক এই উপদেষ্টা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, সংসদে প্রথম সারির আসন নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়, কিন্তু বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো তর্ক-বিতর্ক হয় না। তাঁর মতে, বিদ্যুৎ খাতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির অস্বচ্ছ সিদ্ধান্তের ফল অর্থনীতিকে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত বহন করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) সম্পর্কে সাবেক উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কয়লা না থাকার কারণে পিপিপিতে কেউ বিনিয়োগ করতে আসছেন না। পাগল না হলে সত্যিকার ব্যবসায়ীরা পিপিপিতে বিনিয়োগ করতে আসবেন না।
হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য নতুন কোনো নীতিমালার দরকার নেই।
সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লন্ডন স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক মোস্তাক খান।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘১০০ বছর আগেও বিদ্যুৎ খাতকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদেরা বিদ্যুৎ খাতকে “মেকানিজম অব রেন্টসিকিং” হিসেবে দেখে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একজনের জমি আরেকজন দখল করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রবণতা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য শুধু সুশাসন প্রতিষ্ঠা নয়, কাঠামোগত অন্যায়ের ক্ষেত্রেও সুশাসন দরকার।
তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া কতটা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। কারণ বহুদলীয় গণতন্ত্র না থাকার পরও সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও চীন একটি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পেরেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে বিদ্যমান আয়-বৈষম্য দূর করতে হবে। দিন দিন এই আয়-বৈষম্য বাড়ছে।’ তিনি জানান, উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রায় ৪২ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে।
দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনে মোট পাঁচটি অধিবেশন রয়েছে। আজ শেষ দিনে তিনটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবার ‘বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সভাপতির বক্তব্যে আকবর আলি খান এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (সিএসডি) স্থানীয় এক হোটেলে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
আকবর আলী খান আরও বলেন, জ্বালানি খাতে অর্থনৈতিক ব্যর্থতার চেয়ে রাজনৈতিক ব্যর্থতাই বেশি। বিদ্যুৎ খাতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রায়ই তা ভুল হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৫টি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াই চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
সাবেক এই উপদেষ্টা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, সংসদে প্রথম সারির আসন নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়, কিন্তু বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো তর্ক-বিতর্ক হয় না। তাঁর মতে, বিদ্যুৎ খাতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির অস্বচ্ছ সিদ্ধান্তের ফল অর্থনীতিকে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত বহন করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) সম্পর্কে সাবেক উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কয়লা না থাকার কারণে পিপিপিতে কেউ বিনিয়োগ করতে আসছেন না। পাগল না হলে সত্যিকার ব্যবসায়ীরা পিপিপিতে বিনিয়োগ করতে আসবেন না।
হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য নতুন কোনো নীতিমালার দরকার নেই।
সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লন্ডন স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক মোস্তাক খান।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘১০০ বছর আগেও বিদ্যুৎ খাতকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদেরা বিদ্যুৎ খাতকে “মেকানিজম অব রেন্টসিকিং” হিসেবে দেখে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একজনের জমি আরেকজন দখল করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রবণতা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য শুধু সুশাসন প্রতিষ্ঠা নয়, কাঠামোগত অন্যায়ের ক্ষেত্রেও সুশাসন দরকার।
তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া কতটা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। কারণ বহুদলীয় গণতন্ত্র না থাকার পরও সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও চীন একটি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পেরেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে বিদ্যমান আয়-বৈষম্য দূর করতে হবে। দিন দিন এই আয়-বৈষম্য বাড়ছে।’ তিনি জানান, উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রায় ৪২ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে।
দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনে মোট পাঁচটি অধিবেশন রয়েছে। আজ শেষ দিনে তিনটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
No comments