কবিতাত্রয়ী by টোকন ঠাকুর ও কামরুজ্জামান কামু
টোকন ঠাকুর
খাদ্যখাবার
দিঘিতে হাঁস শামুকদানা খোঁজে
শরীর ভাসে… নাখমুখঠোঁট জলে
দিঘিতে হাঁস ঝিনুকদানা খোঁজে…
মৃগয়াকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
প্রয়োজনীয় খাদ্য মনে করে
তোমার বুকে কী খুঁজেছি কাল
শামুক? ঝিনুক? মাতৃশিশুকাল?
তোমার বুকে কী পেয়েছি কাল–
পুরো শৈশব, হুলো বাল্যকাল?
মৃগয়াকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
নিজের জন্য খাদ্য কনফার্ম করে
কাল কি ছিল অতিরিক্তকাল?
তোমার বুকের তিলটি ছিল তাল… !
এমন কি তিল কৃষ্ণ নহে, লাল?
কালকে আকাশপাতাল ছিল কাল… !
কালকে আমি বনস্থলে ছিলাম
প্রমাণ ছিল, ব্যাঘ্র আমার নাম
তোমার বুকের মাংশ ছিল, কাঁচা
তাই খেয়েই তো আজ পর্যন্ত বাঁচা–
কাল পর্যন্ত বাঁচতে যদি চাই
ব্যাঘ্র আমি, কাঁচামাংশই চাই
বকের চোখে পুঁটির ছবি আঁকা
পুঁটির চোখেও কেঁচো আঁকা ছিল
তোমাকে খেয়ে আমার বেঁচে থাকা
না খেয়ে কারও বেঁচে থাকা ছিল?
২৩/২/২০০৯
তরুণ কবি
যদি… মাত্র… তবে
হবে কি হবে না হবে?
নদী মাত্রই জল
উতলা ধরণী তল…
নারী মাত্রই, ঠারে-
ভাব, আকারে-বাকারে
ইথারে চিরকালের কথা
ঘুরিছে নিয়মমাফিক, প্রথা
প্রেম?
প্রথার মধ্যেই পড়ে
ধাক্কা তুমুল ঝড়ের…
ঝড় মাত্রই থামে
আকাশ দূরে নামে–
মাঠকে আড়াআড়ি
তরুণ কবির বাড়ি… (তার)
ফেরার টাইম কই?
ছাপা হচ্ছে বই…
ছাপা হচ্ছে জ্বালা
অগ্নি-কর্মশালা
ছাপা হচ্ছে দুঃখ
(আত্মপ্রকাশ মুখ্য)
ছাপা হচ্ছে দ্রোহ
অনন্ত নীল গ্রহ
নীল গ্রহেই থাকে
তরুণ কবি যাকে
নিজের ছবি আঁকে
যার ভেতরে আঁকে
তার ভেতরে আঁকে
শরীর মনের বাঁকে
শরীর হয়েই থাকে
মন যে শরীর আঁকে…
আঁকা লেখার ছবি
খা খা একার ছবি
দগ্ধ দেখার ছবি
মুগ্ধ থাকার ছবি
দুক্কুরেও ভৈরবি… (হায়)
তিন রাস্তার মোড়ে
ঘুর্ণি হাওয়া ওড়ে
নেশাও আসে নেশার
মহাজাগতিক পেশা–
দাঁড়িয়ে থাকে দাহে
রুক্ষ তরুণ কবি
বৃক্ষ তরুণ কবি
সূর্য তরুণ কবি
দগ্ধ তরুণ কবি
কী চায় তরুণ কবি?
৬/৩/২০০৯
বসন্তরজনীতে বসিয়া রচিত কবিতা
নিষ্প্রয়োজনে
আমি
ছোট নাম লেখাতে গেছি
কবির খাতায়
নিজ প্রয়োজনে
আমি
নক্ষত্রের দেনা
নিয়েছি মাথায়
বিষ-প্রয়োজনে
আমি
সাপ ও বেদেনী
চেয়েছি দুটোয়
দুহাতে দুধের ছানা, বেপরোয়া মুঠোয় মুঠোয়
সম্পূর্ণ ফুটেও নারী, ক্লাসিক্যালি অস্ফূট…
So, আজ আমাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হলো–
আমি কি কবি ছিলাম? সাপুড়ে ছিলাম? নাকি ছিলাম যা, তাই?
শিস্ প্রয়োজনে
আমি
হাওয়া ধাক্কা দিচ্ছি
বসন্ত-জঙ্গলে গাছদেবতার
শুকনো পাতায়
কে আমি? বিখ্যাত কেউ? কী ছিলাম? গুরু কেউ? লঘু ঢেউ?
ঝরনার বাথরুমে শাওয়ার ছিলাম?
সুহাসিনীর ড্রেসিং টেবিলে আয়না ছিলাম?
গুপ্তকথা হচ্ছে, আদতে সেই রাক্ষসদের ছেলে, মানুষের ছদ্মবেশে থাকি
যোগ্যতা, নিজের মুখে জোসনারাত অনুবাদ করতে পারি, এর বাইরে
আমি যা ছিলাম, তাই…
ছিলাম যা, তাই…
৫/৩/২০০৯
------------------------------------
কামরুজ্জামান কামু
ব্যাঙ ডাকে
লেকের ধারে ভেকের ডাক
অনর্থক আমরা আজ
শুনতেছি
তার ব্যাকুল কণ্ঠস্বর
ভাল্লাগে একটু পর
ব্যাঙটাকে
বস্তুতই রোদ পোহায়
গান করে তারস্বরে
দিনরাতে
আমরা তাই যাই লেকে
জানতে নাই তার কারণ
বৃষ্টিতে
ঐক্যময় ভেকদলে
ডাক পাড়ুক এই লেকের
চারপাশে
ব্যাঙের সঙ্গে কবির টক্কর
ঘাটপাড়ে মত্ত ব্যাঙ ডাক পাড়ে
তীর দিয়ে জয় কবি কাক মারে
ব্যাঙ-ব্রাদার ড্যামকেয়ার কাজকামে
জয় কবি গোস্বাতে যায় বামে
নাই কামে ঝগড়া হয় তাই নিয়ে
কাক মারা কষ্টকর তীর দিয়ে
ডাকতে চায় ব্যাঙ ডাকুক ঠ্যাঙ তুলে
জয় কবি কাক মারা যাক ভুলে
মামুজির সঙ্গে দেখা আবারো নৌকায়
মামুজির সঙ্গে দেখা আবারো নৌকায়
ঢেউ এসে পাটাতনে সোজা বাড়ি খায়
ফলে নৌকা বাঁকা হয়ে তেরছাভাবে দোলে
বোতলের মুখে ছিপি মামুজি তা খোলে
বাঁকা একটি গ্রাম
আমি বেজি নিয়া খেলা করতাম
বাঁকা করা পথের ধারের গ্রাম
লোকজনের মুখের রেখা ঝাপসা
সাপুড়িয়া হাত দে ধরে খায় সাপ
মৃগী রোগে মারা গেল সাজু ভাই
আমি যদি আর একবার চলে যাই
গোবর দিয়া পোকা মারব এন্তার
আমার বন্ধু ফরহাদ মজহার
আমার খাদ্য ধান চাল রুইমাছ
পুকুরের পাড়ে এক বটগাছ
আমি তাতে কুকিল ধরতাম
হঠাৎ করে বাঁকা একটা গ্রাম
চারুকলা বিভাগের সামনে থেকে
একদল শিল্পী যদি যায় এঁকে
তাইলে পরে যে গাছপালা তৈরি হবে
তার ভিতরে ছাড়তে পারলে শিয়াল রবে
অন্ধকারে আমার ডাক হুক্কাহুয়া
হা হা চা বানানো মানুষরে কয় কাজের বুয়া
কে বলেছে যে বলেছে সে বলেছে
ইঁদুর দিয়া আজগার আলী বাগ মেরেছে
বসন্তের বালা
এ বসন্তে বরমাল্য দিতে চেয়ে
দেও নাই তুমি
সেই দুঃখে আজ থেকে পদ্য লেখা
ছাইড়া দিলাম সুমি
কত পদ্য লেখিয়াছি এ জীবনে
দেখিয়াছি কত
মেয়েছেলে তারা হাই হিল পায়ে
হাঁটে উটের মত
আমি তো কক্ষনো তবু উঁচায়িত
অঙ্গগুলি তাদের
একবার দেখা হলে আরবার
চাইনিকো ফের
কিন্তু তুমি কী রকম মহিলা গো
ছলনা ছলনা
করতেছো আমার সঙ্গে ইদানিং
কথাই বলছো না
ঢোল বাজানোর হাড়
গভীর রাতে যেই ফুটেছে
উত্তেজনা ঠোঁটের
কামারপাড়া পার হয়ে ঐ
লোহার গাড়ি ছোটে
চাকার নিচে রেলের বাঁকা
লাইন গিয়েছে দূরে
কদমগাছে অদম্য কাক
পড়ল মাথা ঘুরে
মাথা নয় রে মাথা নয় রে
ব্যথা করছে ঘাড়
মাংস চামড়া ছাড়িয়ে নিলে
ঢোল বাজাবে হাড়
আমি কুম্ভ রাশি আর আমার বউ কন্যা
আমি কুম্ভ রাশি আর আমার বউ কন্যা
এর বাইরে মধুর মিলন আমি আর জানি না
না জানলেও নাই ক্ষতি না মানলেও চলে
কেউ কথা বলছে না কেউ কথা বলে
তো সেইসব কথা বলা জরুরী তো বটে
বসান হোক তাদেরকে ঘোলা চিত্রপটে
তাতে মাথা আরো ঘোলা ঝোলা হয়ে যায়
ছাগল ছাগলই থাকে কলার পাতা খায়
তো তাকে মানুষ করার কী দরকার ভাই
সে খাক আপন ছন্দে যার খাদ্য তাই
তার মেশিন তার মতো তার ডিজেল লাগে
বৌ কি তার বোকা নাকি সময় মতো জাগে
========================
tokon.thaakoor@yahoo.com
জন্ম: ঝিনাইদহ, ১৩/১০/১৯৬৯
প্রকাশিত কবিতার বই
আন্তনগর ট্রেন ও নৈশব্দ স্টেশন, বাংলা একাডেমী ১৯৯৭
দূর সম্পর্কের মেঘ, র্যা মন পাবলিশার্স, ১৯৯৮
আয়ুর সিংহাসন, দেশ প্রকাশনী, ১৯৯৯
ফড়িঙের বোন, পার্ল পাবলিকেশনস, ২০০০
কবিতা কুটিরশিল্প, শ্রাবণ প্রকাশনী, ২০০১
ঝাঁ-ঝাঁ-ঝি-ঝি, বিদ্যাপ্রকাশ ২০০১
------------------------------------
rekamu@gmail.com
জন্ম
সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা ৩১/১/১৯৭১
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবি মুখপত্রহীন (১৯৯৭)
অহেতু গুঞ্জনমালা (২০০১)
=============================
bdnews24 এর সৌজন্যে
লেখকঃ টোকন ঠাকুর ও কামরুজ্জামান কামু
এই কবিতা'গুলো পড়া হয়েছে...
খাদ্যখাবার
দিঘিতে হাঁস শামুকদানা খোঁজে
শরীর ভাসে… নাখমুখঠোঁট জলে
দিঘিতে হাঁস ঝিনুকদানা খোঁজে…
মৃগয়াকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
প্রয়োজনীয় খাদ্য মনে করে
তোমার বুকে কী খুঁজেছি কাল
শামুক? ঝিনুক? মাতৃশিশুকাল?
তোমার বুকে কী পেয়েছি কাল–
পুরো শৈশব, হুলো বাল্যকাল?
মৃগয়াকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
নিজের জন্য খাদ্য কনফার্ম করে
কাল কি ছিল অতিরিক্তকাল?
তোমার বুকের তিলটি ছিল তাল… !
এমন কি তিল কৃষ্ণ নহে, লাল?
কালকে আকাশপাতাল ছিল কাল… !
কালকে আমি বনস্থলে ছিলাম
প্রমাণ ছিল, ব্যাঘ্র আমার নাম
তোমার বুকের মাংশ ছিল, কাঁচা
তাই খেয়েই তো আজ পর্যন্ত বাঁচা–
কাল পর্যন্ত বাঁচতে যদি চাই
ব্যাঘ্র আমি, কাঁচামাংশই চাই
বকের চোখে পুঁটির ছবি আঁকা
পুঁটির চোখেও কেঁচো আঁকা ছিল
তোমাকে খেয়ে আমার বেঁচে থাকা
না খেয়ে কারও বেঁচে থাকা ছিল?
২৩/২/২০০৯
তরুণ কবি
যদি… মাত্র… তবে
হবে কি হবে না হবে?
নদী মাত্রই জল
উতলা ধরণী তল…
নারী মাত্রই, ঠারে-
ভাব, আকারে-বাকারে
ইথারে চিরকালের কথা
ঘুরিছে নিয়মমাফিক, প্রথা
প্রেম?
প্রথার মধ্যেই পড়ে
ধাক্কা তুমুল ঝড়ের…
ঝড় মাত্রই থামে
আকাশ দূরে নামে–
মাঠকে আড়াআড়ি
তরুণ কবির বাড়ি… (তার)
ফেরার টাইম কই?
ছাপা হচ্ছে বই…
ছাপা হচ্ছে জ্বালা
অগ্নি-কর্মশালা
ছাপা হচ্ছে দুঃখ
(আত্মপ্রকাশ মুখ্য)
ছাপা হচ্ছে দ্রোহ
অনন্ত নীল গ্রহ
নীল গ্রহেই থাকে
তরুণ কবি যাকে
নিজের ছবি আঁকে
যার ভেতরে আঁকে
তার ভেতরে আঁকে
শরীর মনের বাঁকে
শরীর হয়েই থাকে
মন যে শরীর আঁকে…
আঁকা লেখার ছবি
খা খা একার ছবি
দগ্ধ দেখার ছবি
মুগ্ধ থাকার ছবি
দুক্কুরেও ভৈরবি… (হায়)
তিন রাস্তার মোড়ে
ঘুর্ণি হাওয়া ওড়ে
নেশাও আসে নেশার
মহাজাগতিক পেশা–
দাঁড়িয়ে থাকে দাহে
রুক্ষ তরুণ কবি
বৃক্ষ তরুণ কবি
সূর্য তরুণ কবি
দগ্ধ তরুণ কবি
কী চায় তরুণ কবি?
৬/৩/২০০৯
বসন্তরজনীতে বসিয়া রচিত কবিতা
নিষ্প্রয়োজনে
আমি
ছোট নাম লেখাতে গেছি
কবির খাতায়
নিজ প্রয়োজনে
আমি
নক্ষত্রের দেনা
নিয়েছি মাথায়
বিষ-প্রয়োজনে
আমি
সাপ ও বেদেনী
চেয়েছি দুটোয়
দুহাতে দুধের ছানা, বেপরোয়া মুঠোয় মুঠোয়
সম্পূর্ণ ফুটেও নারী, ক্লাসিক্যালি অস্ফূট…
So, আজ আমাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হলো–
আমি কি কবি ছিলাম? সাপুড়ে ছিলাম? নাকি ছিলাম যা, তাই?
শিস্ প্রয়োজনে
আমি
হাওয়া ধাক্কা দিচ্ছি
বসন্ত-জঙ্গলে গাছদেবতার
শুকনো পাতায়
কে আমি? বিখ্যাত কেউ? কী ছিলাম? গুরু কেউ? লঘু ঢেউ?
ঝরনার বাথরুমে শাওয়ার ছিলাম?
সুহাসিনীর ড্রেসিং টেবিলে আয়না ছিলাম?
গুপ্তকথা হচ্ছে, আদতে সেই রাক্ষসদের ছেলে, মানুষের ছদ্মবেশে থাকি
যোগ্যতা, নিজের মুখে জোসনারাত অনুবাদ করতে পারি, এর বাইরে
আমি যা ছিলাম, তাই…
ছিলাম যা, তাই…
৫/৩/২০০৯
------------------------------------
কামরুজ্জামান কামু
ব্যাঙ ডাকে
লেকের ধারে ভেকের ডাক
অনর্থক আমরা আজ
শুনতেছি
তার ব্যাকুল কণ্ঠস্বর
ভাল্লাগে একটু পর
ব্যাঙটাকে
বস্তুতই রোদ পোহায়
গান করে তারস্বরে
দিনরাতে
আমরা তাই যাই লেকে
জানতে নাই তার কারণ
বৃষ্টিতে
ঐক্যময় ভেকদলে
ডাক পাড়ুক এই লেকের
চারপাশে
ব্যাঙের সঙ্গে কবির টক্কর
ঘাটপাড়ে মত্ত ব্যাঙ ডাক পাড়ে
তীর দিয়ে জয় কবি কাক মারে
ব্যাঙ-ব্রাদার ড্যামকেয়ার কাজকামে
জয় কবি গোস্বাতে যায় বামে
নাই কামে ঝগড়া হয় তাই নিয়ে
কাক মারা কষ্টকর তীর দিয়ে
ডাকতে চায় ব্যাঙ ডাকুক ঠ্যাঙ তুলে
জয় কবি কাক মারা যাক ভুলে
মামুজির সঙ্গে দেখা আবারো নৌকায়
মামুজির সঙ্গে দেখা আবারো নৌকায়
ঢেউ এসে পাটাতনে সোজা বাড়ি খায়
ফলে নৌকা বাঁকা হয়ে তেরছাভাবে দোলে
বোতলের মুখে ছিপি মামুজি তা খোলে
বাঁকা একটি গ্রাম
আমি বেজি নিয়া খেলা করতাম
বাঁকা করা পথের ধারের গ্রাম
লোকজনের মুখের রেখা ঝাপসা
সাপুড়িয়া হাত দে ধরে খায় সাপ
মৃগী রোগে মারা গেল সাজু ভাই
আমি যদি আর একবার চলে যাই
গোবর দিয়া পোকা মারব এন্তার
আমার বন্ধু ফরহাদ মজহার
আমার খাদ্য ধান চাল রুইমাছ
পুকুরের পাড়ে এক বটগাছ
আমি তাতে কুকিল ধরতাম
হঠাৎ করে বাঁকা একটা গ্রাম
চারুকলা বিভাগের সামনে থেকে
একদল শিল্পী যদি যায় এঁকে
তাইলে পরে যে গাছপালা তৈরি হবে
তার ভিতরে ছাড়তে পারলে শিয়াল রবে
অন্ধকারে আমার ডাক হুক্কাহুয়া
হা হা চা বানানো মানুষরে কয় কাজের বুয়া
কে বলেছে যে বলেছে সে বলেছে
ইঁদুর দিয়া আজগার আলী বাগ মেরেছে
বসন্তের বালা
এ বসন্তে বরমাল্য দিতে চেয়ে
দেও নাই তুমি
সেই দুঃখে আজ থেকে পদ্য লেখা
ছাইড়া দিলাম সুমি
কত পদ্য লেখিয়াছি এ জীবনে
দেখিয়াছি কত
মেয়েছেলে তারা হাই হিল পায়ে
হাঁটে উটের মত
আমি তো কক্ষনো তবু উঁচায়িত
অঙ্গগুলি তাদের
একবার দেখা হলে আরবার
চাইনিকো ফের
কিন্তু তুমি কী রকম মহিলা গো
ছলনা ছলনা
করতেছো আমার সঙ্গে ইদানিং
কথাই বলছো না
ঢোল বাজানোর হাড়
গভীর রাতে যেই ফুটেছে
উত্তেজনা ঠোঁটের
কামারপাড়া পার হয়ে ঐ
লোহার গাড়ি ছোটে
চাকার নিচে রেলের বাঁকা
লাইন গিয়েছে দূরে
কদমগাছে অদম্য কাক
পড়ল মাথা ঘুরে
মাথা নয় রে মাথা নয় রে
ব্যথা করছে ঘাড়
মাংস চামড়া ছাড়িয়ে নিলে
ঢোল বাজাবে হাড়
আমি কুম্ভ রাশি আর আমার বউ কন্যা
আমি কুম্ভ রাশি আর আমার বউ কন্যা
এর বাইরে মধুর মিলন আমি আর জানি না
না জানলেও নাই ক্ষতি না মানলেও চলে
কেউ কথা বলছে না কেউ কথা বলে
তো সেইসব কথা বলা জরুরী তো বটে
বসান হোক তাদেরকে ঘোলা চিত্রপটে
তাতে মাথা আরো ঘোলা ঝোলা হয়ে যায়
ছাগল ছাগলই থাকে কলার পাতা খায়
তো তাকে মানুষ করার কী দরকার ভাই
সে খাক আপন ছন্দে যার খাদ্য তাই
তার মেশিন তার মতো তার ডিজেল লাগে
বৌ কি তার বোকা নাকি সময় মতো জাগে
========================
টোকন ঠাকুর
কবি, পরিচালকtokon.thaakoor@yahoo.com
জন্ম: ঝিনাইদহ, ১৩/১০/১৯৬৯
প্রকাশিত কবিতার বই
আন্তনগর ট্রেন ও নৈশব্দ স্টেশন, বাংলা একাডেমী ১৯৯৭
দূর সম্পর্কের মেঘ, র্যা মন পাবলিশার্স, ১৯৯৮
আয়ুর সিংহাসন, দেশ প্রকাশনী, ১৯৯৯
ফড়িঙের বোন, পার্ল পাবলিকেশনস, ২০০০
কবিতা কুটিরশিল্প, শ্রাবণ প্রকাশনী, ২০০১
ঝাঁ-ঝাঁ-ঝি-ঝি, বিদ্যাপ্রকাশ ২০০১
------------------------------------
কামরুজ্জামান কামু
কবি, চলচ্চিত্রকার, গীতিকারrekamu@gmail.com
জন্ম
সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা ৩১/১/১৯৭১
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবি মুখপত্রহীন (১৯৯৭)
অহেতু গুঞ্জনমালা (২০০১)
=============================
কবিতা- 'নিরাকারের মুখ' by সৈয়দ তারিক ছয়টি কবিতা' by গোলাম কিবরিয়া পিনু কবিতা- 'স্বর্ণজল্লাদ' by পিয়াস মজিদ কয়েক'টি কবিতা- by শামসেত তাবরেজী ও আলতাফ হোসেন গদ্য কবিতা- 'ব্রহ্মাণ্ডের ইসকুল' by শামীম রেজা কবিতা- 'আমার গ্রীষ্মকাল' by কাজল শাহনেওয়াজ কবিতা- 'পাঁচটি কবিতা' by মুজিব ইরম কবিতা- 'পাগলের হাসি ও অন্যান্য কবিতা' by মহাদেব সাহা কবিতা- 'যেভাবে ঘরের কিসসা রচিত হয়' by ওমর কায়সার কবিতা- 'বীতকৃত্য ও অন্যান্য কবিতা' by মাসুদ খান কবিতা- 'পাঁচটি কবিতা' by সরকার আমিন কবিতা- 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' পাঁচটি কবিতা' by অবনি অনার্য কবিতা- 'ছুটপালক' by সব্যসাচী সান্যাল গদ্য কবিতা- 'লীলা আমার বোন' by নান্নু মাহবুব কবিতা- 'উৎসর্গ' by অসীম সাহা তিনটি কবিতা' by বদরে মুনীর কবিতা- 'সেরগেই এসেনিন বলছে' by আবদুল মান্নান সৈয়দ কবিতা-মোহাম্মদ রফিক এর কপিলা থেকে ও অঙ্গীকার কবিতা- 'সেতু' by বায়েজীদ মাহবুব উপন্যাস- 'রৌরব' by লীসা গাজী »»» (পর্ব-এক) # (পর্ব-দুই) # (পর্ব-তিন) # (পর্ব-চার শেষ) গল্প- 'পান্নালালের বাস্তু' by সিউতি সবুর গল্প- 'গোপন কথাটি' by উম্মে মুসলিমা আহমদ ছফার অগ্রন্থিত রচনা কর্ণফুলীর ধারে
bdnews24 এর সৌজন্যে
লেখকঃ টোকন ঠাকুর ও কামরুজ্জামান কামু
এই কবিতা'গুলো পড়া হয়েছে...
No comments