অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে
সরকারের পেনশন সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ফ্রান্সে বিক্ষোভ চলছেই। গতকাল সোমবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আজ দেশটির প্রধান প্রধান বিমানবন্দরের অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। জ্বালানি তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রধানমন্ত্রী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলনকারীরা আরও সহিংস হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে রাজধানী প্যারিসসহ গতকাল বিভিন্ন প্রদেশে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির সরকার দেশটির সরকারি কর্মচারীদের অবসর নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৬০ থেকে ৬২ বছর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দুই মাস ধরে আন্দোলন চলছে। গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো ধর্মঘট পালন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয়।
প্যারিসসহ কয়েকটি শহরে গতকাল ট্রাকশ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। ডিপো থেকে তেল সংগ্রহ এবং গুদাম থেকে পণ্য সরবরাহে তাঁরা বাধা দেন। এ সময় মুখোশ পরা যুবকেরা গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন এবং দোকানপাট ভাঙচুর করেন। প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলে তাঁরা পাথর নিক্ষেপ করেন। পরে দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সারকোজি তাঁর সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলেছে, ১৯৯৫ সালের মতো পরিণতি হতে যাচ্ছে। তখনকার প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকও পেনশন-ব্যবস্থার সংস্কার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তীব্র আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি পিছু হটেন। ওই আন্দোলনে পুরো দেশ অচল হয়ে গিয়েছিল।
চলমান শ্রমিক আন্দোলনে সাধারণ ফরাসিদেরও সমর্থন রয়েছে। গতকাল প্রকাশিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ লোক পেনশন সংস্কার চায় না। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন অথবা সহানুভূতি রয়েছে। জনপ্রিয় দৈনিক ল্যুঁ প্যারিজিঅঁ জরিপটি পরিচালনা করেছে।
ধর্মঘটের কারণে গতকাল ফ্রান্সের ১২টি তেল শোধনাগারের মধ্যে ১১টিই ছিল বন্ধ। শ্রমিকদের অবরোধের কারণে প্রায় দেড় হাজার ডিপো তেল সরবরাহ করতে পারেনি।
আন্দোলনের কারণে জনমনে জ্বালানি নিয়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া ফিঅ্যঁ গত রোববার বলেন, দেশব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনোভাবেই ফ্র্যান্সের অর্থনীতিকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘ধর্মঘট কর্মসূচির অধিকারের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। কিন্তু জ্বালানি সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাধাদানের অধিকার কারও নেই। ধর্মঘটবিরোধী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধাদানের অধিকারও কারও নেই।’ তবে ধর্মঘটী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
এদিকে শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম শীর্ষ নেতা জোসেফ সিয়েরো বলেছেন, ‘দাবি আদায়ে আমরা যত দিন পারবো আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আজ পূর্বঘোষিত ধর্মঘটের কারণে প্যারিসের অরিঅঁলি বিমানবন্দরের অর্ধেক, রোসি-চার্লস দ্য গঁলে বিমানবন্দরের ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য বিমানবন্দরের অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির সরকার দেশটির সরকারি কর্মচারীদের অবসর নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৬০ থেকে ৬২ বছর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দুই মাস ধরে আন্দোলন চলছে। গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো ধর্মঘট পালন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয়।
প্যারিসসহ কয়েকটি শহরে গতকাল ট্রাকশ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। ডিপো থেকে তেল সংগ্রহ এবং গুদাম থেকে পণ্য সরবরাহে তাঁরা বাধা দেন। এ সময় মুখোশ পরা যুবকেরা গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন এবং দোকানপাট ভাঙচুর করেন। প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলে তাঁরা পাথর নিক্ষেপ করেন। পরে দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সারকোজি তাঁর সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলেছে, ১৯৯৫ সালের মতো পরিণতি হতে যাচ্ছে। তখনকার প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকও পেনশন-ব্যবস্থার সংস্কার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তীব্র আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি পিছু হটেন। ওই আন্দোলনে পুরো দেশ অচল হয়ে গিয়েছিল।
চলমান শ্রমিক আন্দোলনে সাধারণ ফরাসিদেরও সমর্থন রয়েছে। গতকাল প্রকাশিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ লোক পেনশন সংস্কার চায় না। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন অথবা সহানুভূতি রয়েছে। জনপ্রিয় দৈনিক ল্যুঁ প্যারিজিঅঁ জরিপটি পরিচালনা করেছে।
ধর্মঘটের কারণে গতকাল ফ্রান্সের ১২টি তেল শোধনাগারের মধ্যে ১১টিই ছিল বন্ধ। শ্রমিকদের অবরোধের কারণে প্রায় দেড় হাজার ডিপো তেল সরবরাহ করতে পারেনি।
আন্দোলনের কারণে জনমনে জ্বালানি নিয়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া ফিঅ্যঁ গত রোববার বলেন, দেশব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনোভাবেই ফ্র্যান্সের অর্থনীতিকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘ধর্মঘট কর্মসূচির অধিকারের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। কিন্তু জ্বালানি সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাধাদানের অধিকার কারও নেই। ধর্মঘটবিরোধী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধাদানের অধিকারও কারও নেই।’ তবে ধর্মঘটী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
এদিকে শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম শীর্ষ নেতা জোসেফ সিয়েরো বলেছেন, ‘দাবি আদায়ে আমরা যত দিন পারবো আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আজ পূর্বঘোষিত ধর্মঘটের কারণে প্যারিসের অরিঅঁলি বিমানবন্দরের অর্ধেক, রোসি-চার্লস দ্য গঁলে বিমানবন্দরের ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য বিমানবন্দরের অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
No comments