তিন ‘ভাই’য়ের ড্র
ফুটবলামোদীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ম্যাচটি। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি দেখতেও এসেছিল কয়েক হাজার দর্শক। দুই দলের মধ্যে লড়াই হলো ঠিকই কিন্তু জয় হয়নি কারোরই। শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মৌসুম শুরু করল পেশাদার লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন শেখ কামালের ক্লাব আবাহনী। দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল গোলশূন্য ড্র করেছে রহমতগঞ্জের সঙ্গে।
জাতীয় দলের এক গাদা তারকা খেলোয়াড়ের দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিপরীতে নতুন-পুরোনোদের নিয়ে গড়া আবাহনীর ঔজ্জ্বল্য এবার নেই। শুরুতে অবশ্য তুলনামূলকভাবে এগিয়ে ছিল আবাহনীই। যে মাঝমাঠকে দেখা গেছে আবাহনীর শক্তি, সেটাই ছিল শেখ জামালের দুর্বলতা। প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে কর্নার থেকে প্রথমে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ৫৮ মিনিটে শাকিলের নেওয়া কর্নার কিকে জটলার মধ্যে এনামুল ব্যাকহেডে গোল করে আনন্দে ভাসায় শেখ জামালকে (১-০)। আবাহনী সমর্থকেরা তখন শোকস্তব্ধ। তাদের বুকের পাথর সরে যায় খেলা শেষের তিন মিনিট আগের পেনাল্টিতে। ৮৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে আগুয়ান স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্ককে ফেলে দেন রেজাউল। কিন্তু আবাহনীর ঘানাইয়ান স্ট্রাইকারের আদায় করা এই পেনাল্টি নিয়ে হয়েছে নাটক। প্রথমবার তাঁর স্পট কিকে গোল হলেও তা বাতিল করে দেন রেফারি। গোলকিপার আমিনুলকে ফাঁকি দিতে শরীর বাঁকিয়ে তিনি অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন! আবারও কিক নিতে নির্দেশ দেন রেফারি, ফ্রাঙ্ক স্নায়ু শক্ত রেখে গোল করেন।
পয়েন্ট হারিয়ে বেশ অসুখী দেখাল শেখ জামাল কোচ জোরান কার্লেভিচকে, ‘শেষ ১০ মিনিটে গোল খেলে কার ভালো লাগে বলুন?’ প্লে-মেকারের অভাবটাকেই বড় করে দেখছেন এই সার্বিয়ান, ‘দুই হলুদ কার্ডের কারণে মামুনুল খেলতে পারেনি। ওর জায়গায় মিশু ও মিন্টুকে খেলিয়েছি। কিন্তু সফল হইনি।’ খেলোয়াড়দের ক্লান্তিকেও একটা কারণ বলছেন তিনি, ‘৬ দিনে ৩টা ম্যাচ খেলে ফেললাম। খেলোয়াড়েরাও ভীষণ ক্লান্ত।’ ওদিকে খুশি নন আবাহনীর কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি, ‘আমি সন্তুষ্ট নই এই খেলায়।’ তাঁর প্রশংসা পেয়েছেন বিদেশি খেলোয়াড়েরা।
চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচ। যাঁর নামে ক্লাব, বঙ্গবন্ধুর সেই প্রয়াত ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৪৬তম জন্মদিন। অনুপ্রেরণার অভাব ছিল না। কিন্তু শেখ রাসেল হারাতে পারল না রহমতগঞ্জকে। অনেক সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন শেখ রাসেলের স্ট্রাইকাররা।
আজকের খেলা
ফেনী সকার-ব্রাদার্স
মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধা
(বিকেল ৩টা ও ৫-৩০ মি., বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম, কমলাপুর)
জাতীয় দলের এক গাদা তারকা খেলোয়াড়ের দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিপরীতে নতুন-পুরোনোদের নিয়ে গড়া আবাহনীর ঔজ্জ্বল্য এবার নেই। শুরুতে অবশ্য তুলনামূলকভাবে এগিয়ে ছিল আবাহনীই। যে মাঝমাঠকে দেখা গেছে আবাহনীর শক্তি, সেটাই ছিল শেখ জামালের দুর্বলতা। প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে কর্নার থেকে প্রথমে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ৫৮ মিনিটে শাকিলের নেওয়া কর্নার কিকে জটলার মধ্যে এনামুল ব্যাকহেডে গোল করে আনন্দে ভাসায় শেখ জামালকে (১-০)। আবাহনী সমর্থকেরা তখন শোকস্তব্ধ। তাদের বুকের পাথর সরে যায় খেলা শেষের তিন মিনিট আগের পেনাল্টিতে। ৮৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে আগুয়ান স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্ককে ফেলে দেন রেজাউল। কিন্তু আবাহনীর ঘানাইয়ান স্ট্রাইকারের আদায় করা এই পেনাল্টি নিয়ে হয়েছে নাটক। প্রথমবার তাঁর স্পট কিকে গোল হলেও তা বাতিল করে দেন রেফারি। গোলকিপার আমিনুলকে ফাঁকি দিতে শরীর বাঁকিয়ে তিনি অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন! আবারও কিক নিতে নির্দেশ দেন রেফারি, ফ্রাঙ্ক স্নায়ু শক্ত রেখে গোল করেন।
পয়েন্ট হারিয়ে বেশ অসুখী দেখাল শেখ জামাল কোচ জোরান কার্লেভিচকে, ‘শেষ ১০ মিনিটে গোল খেলে কার ভালো লাগে বলুন?’ প্লে-মেকারের অভাবটাকেই বড় করে দেখছেন এই সার্বিয়ান, ‘দুই হলুদ কার্ডের কারণে মামুনুল খেলতে পারেনি। ওর জায়গায় মিশু ও মিন্টুকে খেলিয়েছি। কিন্তু সফল হইনি।’ খেলোয়াড়দের ক্লান্তিকেও একটা কারণ বলছেন তিনি, ‘৬ দিনে ৩টা ম্যাচ খেলে ফেললাম। খেলোয়াড়েরাও ভীষণ ক্লান্ত।’ ওদিকে খুশি নন আবাহনীর কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি, ‘আমি সন্তুষ্ট নই এই খেলায়।’ তাঁর প্রশংসা পেয়েছেন বিদেশি খেলোয়াড়েরা।
চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচ। যাঁর নামে ক্লাব, বঙ্গবন্ধুর সেই প্রয়াত ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৪৬তম জন্মদিন। অনুপ্রেরণার অভাব ছিল না। কিন্তু শেখ রাসেল হারাতে পারল না রহমতগঞ্জকে। অনেক সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন শেখ রাসেলের স্ট্রাইকাররা।
আজকের খেলা
ফেনী সকার-ব্রাদার্স
মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধা
(বিকেল ৩টা ও ৫-৩০ মি., বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম, কমলাপুর)
No comments