ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে: ওবামা
ইরাকে যুদ্ধাভিযানের সমাপ্তি উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইরাকের ভবিষ্যৎ ইরাকিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে জরুরি কাজ নিজেদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে গত মঙ্গলবার দেওয়া এক বিরল ভাষণে ওবামা বলেন, ‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম শেষ হয়েছে। এখন ইরাকিদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া।’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটা দেশবাসীর উদ্দেশে ওবামার দ্বিতীয় সরাসরি ভাষণ। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের সূচনা করেন তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র। তিনি ওভাল অফিস থেকেই ইরাকে হামলার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে অপারেশন ইরাকি ফ্রিডমের সমাপ্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকিদের হাতে তুলে দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার বাগদাদ যান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস। ওই অনুষ্ঠানে ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিদায়ী কমান্ডার জেনারেল রেমন্ড ওদিয়ার্নোর লে. জেনারেল লয়েড অস্টিনের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা। এখন ‘অপারেশন নিউ ডন’-এর নেতৃত্ব দেবেন লয়েড অস্টিন। ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা দেওয়াই হবে মার্কিন বাহিনীর নতুন এই অভিযানের লক্ষ্য।
সাত বছরের ইরাক যুদ্ধে সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত ও পঙ্গু হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য। অন্যদিকে লাখ খানেক বেসামরিক ইরাকির মৃত্যু ঘটেছে। প্রলম্বিত এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। এত কিছুর পরও ইরাকের পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষিত সময়সীমার যৌক্তিকতা নিয়ে উভয় পক্ষেরই অনেক মহলে উদ্বেগ রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক উভয় পক্ষের স্বার্থেই এই যুদ্ধ শেষ করা দরকার ছিল। তিনি বলেন, ইরাকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব ইরাকিদের হাতে তুলে দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিপুল মূল্য দিতে হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আমাদের তরুণ-তরুণী সেনাদের ইরাকে পাঠিয়েছি। তাঁদের অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। এ ছাড়া দেশে যখন বাজেটে টানাটানি, তখন আমাদের দেশের বাইরে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছি। এখন সময় এসেছে পৃষ্ঠা ওল্টানোর।’
ইরাকে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া বুশের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘মার্কিন বাহিনীর প্রতি বুশের সমর্থন, তাঁর দেশপ্রেম ও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই।’
ওবামা বলেন, ‘আমি যেমনটি বলেছি, যাঁরা যুদ্ধকে সমর্থন করেছেন, তাঁরাও দেশপ্রেমিক এবং যাঁরা এর বিরোধিতা করেছেন তাঁরাও দেশপ্রেমিক। এখন আমরা সবাই এক হয়ে আমাদের সেনাসদস্যদের কাজের মূল্যায়ন করব এবং ইরাকের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করব।’
ওবামা বলেন, ইরাক যুদ্ধ শেষ হওয়ায় মার্কিন সেনারা এখন আফগান যুদ্ধের দিকে বেশি নজর দিতে পারবে। কিন্তু তার পরও শিগগিরই আফগান যুদ্ধ শেষ করা প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ আমাদের সবচেয়ে জরুরি কাজ নিজেদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং যে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়েছে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে গত মঙ্গলবার দেওয়া এক বিরল ভাষণে ওবামা বলেন, ‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম শেষ হয়েছে। এখন ইরাকিদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া।’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটা দেশবাসীর উদ্দেশে ওবামার দ্বিতীয় সরাসরি ভাষণ। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের সূচনা করেন তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র। তিনি ওভাল অফিস থেকেই ইরাকে হামলার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে অপারেশন ইরাকি ফ্রিডমের সমাপ্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকিদের হাতে তুলে দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার বাগদাদ যান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস। ওই অনুষ্ঠানে ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিদায়ী কমান্ডার জেনারেল রেমন্ড ওদিয়ার্নোর লে. জেনারেল লয়েড অস্টিনের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা। এখন ‘অপারেশন নিউ ডন’-এর নেতৃত্ব দেবেন লয়েড অস্টিন। ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা দেওয়াই হবে মার্কিন বাহিনীর নতুন এই অভিযানের লক্ষ্য।
সাত বছরের ইরাক যুদ্ধে সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত ও পঙ্গু হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য। অন্যদিকে লাখ খানেক বেসামরিক ইরাকির মৃত্যু ঘটেছে। প্রলম্বিত এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। এত কিছুর পরও ইরাকের পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষিত সময়সীমার যৌক্তিকতা নিয়ে উভয় পক্ষেরই অনেক মহলে উদ্বেগ রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক উভয় পক্ষের স্বার্থেই এই যুদ্ধ শেষ করা দরকার ছিল। তিনি বলেন, ইরাকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব ইরাকিদের হাতে তুলে দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিপুল মূল্য দিতে হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আমাদের তরুণ-তরুণী সেনাদের ইরাকে পাঠিয়েছি। তাঁদের অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। এ ছাড়া দেশে যখন বাজেটে টানাটানি, তখন আমাদের দেশের বাইরে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছি। এখন সময় এসেছে পৃষ্ঠা ওল্টানোর।’
ইরাকে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া বুশের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘মার্কিন বাহিনীর প্রতি বুশের সমর্থন, তাঁর দেশপ্রেম ও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই।’
ওবামা বলেন, ‘আমি যেমনটি বলেছি, যাঁরা যুদ্ধকে সমর্থন করেছেন, তাঁরাও দেশপ্রেমিক এবং যাঁরা এর বিরোধিতা করেছেন তাঁরাও দেশপ্রেমিক। এখন আমরা সবাই এক হয়ে আমাদের সেনাসদস্যদের কাজের মূল্যায়ন করব এবং ইরাকের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করব।’
ওবামা বলেন, ইরাক যুদ্ধ শেষ হওয়ায় মার্কিন সেনারা এখন আফগান যুদ্ধের দিকে বেশি নজর দিতে পারবে। কিন্তু তার পরও শিগগিরই আফগান যুদ্ধ শেষ করা প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ আমাদের সবচেয়ে জরুরি কাজ নিজেদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং যে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়েছে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’
No comments