তথ্য জানাতে সম্মত সুইজারল্যান্ড সরকার
সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকার বিষয়ে তথ্য জানাতে সম্মত হয়েছে সুইজারল্যান্ড সরকার।
গত মঙ্গলবার ভারতের লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এ ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী নয়াদিল্লিতে সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসেলিন কালমি এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুসারে যেসব ভারতীয় কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রেখেছেন তাঁদের তথ্য এবার থেকে সুইজারল্যান্ড সরকার ভারতকে জানাবে।
এ জন্য অবশ্য সুইজারল্যান্ডের সংসদে এই চুক্তিটি অনুমোদিত হতে হবে। তাহলে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের গোপন ব্যাংক হিসাব সম্পর্কে জানতে পারবে।
একই সঙ্গে কোন ভারতীয় কত টাকা জমা রেখেছেন তা জানা যাবে। প্রয়োজনে এই নিয়ে ভারত সরকার তদন্তও করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুইস ব্যাংক থেকে কালো টাকা উদ্ধার বিজেপি ও কংগ্রেসের একটি নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তখন বিজেপির প্রবীণ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালকৃষ্ণ আদভানি বলেছিলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা বা এনডিএ ক্ষমতায় এলে বিদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা ১০০ দিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আদভানি কালো টাকার সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নটি জড়িত উল্লেখ করে সন্ত্রাসী কাজে এই অর্থ ব্যবহূত হচ্ছে বলে দাবি করেন।
আবার গত বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে আদভানি উইকিপিডিয়ার তথের্য উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ২০০১ সালে সুইস ব্যাংকে বিদেশিদের মোট ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন (দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি) মার্কিন ডলার রয়েছে, যা ২০০৭ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন (পাঁচ লাখ ৭০ হাজার কোটি) মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ভারতীয়দের রয়েছে আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার।
আদভানি তখন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোন ভারতীয় গচ্ছিত রেখেছেন তার বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছিলেন।
সে সময় একই ধরনের কথা বলা হয়েছিল ইউপিএর প্রধান শরিক কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি কার্যকর করার জন্য অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকার হদিস জানার জন্য উদ্যোগী হন।
গত মঙ্গলবার ভারতের লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এ ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী নয়াদিল্লিতে সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসেলিন কালমি এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুসারে যেসব ভারতীয় কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রেখেছেন তাঁদের তথ্য এবার থেকে সুইজারল্যান্ড সরকার ভারতকে জানাবে।
এ জন্য অবশ্য সুইজারল্যান্ডের সংসদে এই চুক্তিটি অনুমোদিত হতে হবে। তাহলে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের গোপন ব্যাংক হিসাব সম্পর্কে জানতে পারবে।
একই সঙ্গে কোন ভারতীয় কত টাকা জমা রেখেছেন তা জানা যাবে। প্রয়োজনে এই নিয়ে ভারত সরকার তদন্তও করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুইস ব্যাংক থেকে কালো টাকা উদ্ধার বিজেপি ও কংগ্রেসের একটি নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তখন বিজেপির প্রবীণ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালকৃষ্ণ আদভানি বলেছিলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা বা এনডিএ ক্ষমতায় এলে বিদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা ১০০ দিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আদভানি কালো টাকার সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নটি জড়িত উল্লেখ করে সন্ত্রাসী কাজে এই অর্থ ব্যবহূত হচ্ছে বলে দাবি করেন।
আবার গত বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে আদভানি উইকিপিডিয়ার তথের্য উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ২০০১ সালে সুইস ব্যাংকে বিদেশিদের মোট ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন (দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি) মার্কিন ডলার রয়েছে, যা ২০০৭ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন (পাঁচ লাখ ৭০ হাজার কোটি) মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ভারতীয়দের রয়েছে আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার।
আদভানি তখন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোন ভারতীয় গচ্ছিত রেখেছেন তার বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছিলেন।
সে সময় একই ধরনের কথা বলা হয়েছিল ইউপিএর প্রধান শরিক কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি কার্যকর করার জন্য অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকার হদিস জানার জন্য উদ্যোগী হন।
No comments