জাপানে নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই শুরু

জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ইচিরো ওজাওয়া গত মঙ্গলবার আলাদাভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপানের (ডিপিজে) সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁরা। এর মাধ্যমে জাপানের নেতৃত্ব নিয়েও আনুষ্ঠানিক লড়াই শুরু হলো। ডিপিজের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ওজাওয়া।
মঙ্গলবার কান ও ওজাওয়ার মধ্যে সমঝোতার জন্য আয়োজিত সর্বশেষ বৈঠকটি ব্যর্থ হওয়ায় অনেক বিশ্লেষকই আশঙ্কা করছেন, আসন্ন নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে।
বৈঠক শেষে বের হয়ে ডিপিজের সাবেক মহাসচিব ওজাওয়া ঘোষণা করনে, তিনি দলের সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে প্রচারণা শুরু হয়েছে। ওজাওয়ার পক্ষে ডিপিজের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেড় শ আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে।
ওজাওয়া বলেন, ‘একটি পরিচ্ছন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আমি এই দৌড়ে শামিল হতে যাচ্ছি। নির্বাচন শেষে ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করব বলে আমাদের মতৈক্য হয়েছে।’ তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কানও অঙ্গীকার করেন, দলের ঐক্য ধরে রাখতে একসঙ্গে কাজ করবেন তাঁরা। জানতে চাওয়া হয়েছিল, নির্বাচনের পর দলে ভাঙন দেখা দেবে কি না? এর জবাবে কান বলেন, ‘এমনটি হবে না। আমরা হাত মিলিয়েছি এবং নির্বাচনের পর একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে রাজি হয়েছি।’
দুই নেতা পরোক্ষভাবে এই উপসংহার টেনেছেন, তাঁদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হলে তা নিয়ে সমালোচনা হওয়ার জোরালো আশঙ্কা ছিল। ওজাওয়া এর আগেও ডিপিজের নেতৃত্বে ছিলেন। কিন্তু জনগণের কাছে তাঁর তেমন জনপ্রিয়তা নেই। নির্বাচনে ওজাওয়া জিতলে চার বছরের মধ্যে তিনি হবেন জাপানের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।
ওজাওয়া ও কানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মূল কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউকিও হাতোইয়ামা ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর কান যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন, এতে ওজাওয়া ও তাঁর অনুসারীদের সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে দলের পরাজয়ের জন্য কানকে দায়ভার নেওয়ার আহ্বান জানান ওজাওয়া।

No comments

Powered by Blogger.