বিশ্বকাপ উদ্বোধনে বাংলার মুখ
২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাংলাদেশে। সহ-আয়োজক হলেও সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ছবিটাই বেশি ফুটে উঠবে স্বাভাবিক। আর সেই ছবিতে আরও অনেক কিছুর মতো খুঁজে পেতে পারেন বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্নও।
গত পরশু রাজধানীর একটি হোটেলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ছয় প্রার্থীর প্রদর্শনী দেখে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় কোম্পানি উইজক্রাফটকে। ১২ ঘণ্টার বাছাই-প্রক্রিয়া শেষে ২০১১ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট পরিচালক ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রত্নাকর শেঠি এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কিছু দেখানো উচিত যা দেখে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টিসহ এ দেশের ভালো দিকগুলো মানুষ জানতে পারে। বর্তমান সরকার যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছে, সেটারও একটা বড় প্রচার হতে পারে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’ আগামী বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বাজেট প্রায় ৩০ লাখ ডলার। এর ১৫ লাখ ডলার দিচ্ছে আইসিসি, বাকি ১৫ লাখ ডলার বাংলাদেশ সরকার।
বিশ্বকাপ যত সামনে আসছে, আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততাও বাড়ছে তত। কাল ঢাকায় হয়ে গেল কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির সভা, এর আগে পরশু ঢাকার একটি হোটেলে ৯০ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। সংক্ষিপ্ত তালিকার ছয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে শীর্ষ দুই বাছাই হিসেবে উইজক্রাফট আর শো টাইম টিকে থাকলেও পরে বেছে নেওয়া হয়েছে উইজক্রাফটকেই। শেঠি জানালেন, ‘শো টাইম ও উইজক্রাফট দুই কোম্পানিই খুব ভালো প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। তাদের মধ্যে একটাই পার্থক্য, উইজক্রাফটের বড় আসর আয়োজনের অভিজ্ঞতা বেশি।’
উইজক্রাফট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নির্মাণ করবে, তবে এর থিমটা দেবে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি এবং সেই থিমের মূল সুরে বাংলাদেশ। ‘যেহেতু তিন দেশ মিলে ইভেন্ট আয়োজন করছে, আমরা চাইব তিনটা দেশই যাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উঠে আসে। তবে অগ্রাধিকার থাকবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। এটা একটা দেশের জন্য বিরাট সম্মান। নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরার দারুণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে’—বলেছেন শেঠি।
১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপ আয়োজন করেই ক্রিকেটের বড় আসর আয়োজনের সামর্থ্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর একটু একটু করে সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন অনেক পরিণত বলে বিশ্বাস শেঠির, ‘গত ১২ বছরে ক্রিকেটে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। আমার বিশ্বাস, ভারত আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই তারা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।’
এই বিশ্বাসটা হয়তো একটু টলে উঠত, যদি আজ ঢাকা ছাড়ার আগে রত্নাকর শেঠি একবার ঘুরে আসতেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। চূড়ান্ত ঢিমেতালে চলছে সংস্কারকাজ, যেটা কি না বিসিবিরই অনেক কর্মকর্তাকে শঙ্কিত করছে। তবে বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টরকে সব মিলিয়ে আশাবাদীই মনে হলো, ‘তিন দেশকেই আমরা মনিটর করছি। কাজের অগ্রগতি ভালো। বাংলাদেশের মতোই ভারতের মুম্বাই, তামিলনাড়ু, কলকাতায় স্টেডিয়াম সংস্কার চলছে। আশা করি, নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সব স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
সংস্কারকাজের ব্যাপারে ‘উদার’ শেঠি আরও বলেছেন, ‘উইকেট আর আউটফিল্ডই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক দিয়ে বেশির ভাগ স্টেডিয়াম এর মধ্যেই প্রস্তুত। আর অসম্পূর্ণ অবকাঠামো তো ভালো খেলা বা প্রস্তুতি ম্যাচের পথে বাধা হবে না। অবকাঠামোর কাজ শেষ দিনেও শেষ হতে পারে। তার পরও আমাদের একটা ডেডলাইন দেওয়া আছে। সেটা নভেম্বর পর্যন্ত।’
অবকাঠামো নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাক, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়া নতুন দুশ্চিন্তার ভাঁজ অবশ্যই ফেলছে বিশ্বকাপের ললাটে। বিশ্বকাপে এ নিয়ে নিশ্চয়ই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে আইসিসি। শেঠিও আভাস দিলেন সে রকমই, ‘বিষয়টা স্পর্শকাতর। তদন্ত চলছে, দেখা যাক কী হয়। এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য না করা ভালো। তবে বিশ্বকাপ আইসিসির ইভেন্ট। আমি নিশ্চিত, বিশ্বকাপের সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ আরও বেশি তত্পর থাকবে।’
শেঠি ‘নো কমেন্ট’ বললেন আরও একটা প্রশ্নে—টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সাত বছরেও বাংলাদেশ ভারতে কোনো পূর্ণাঙ্গ সফর করল না কেন? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাউকে সামনে পেলে এটা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ‘কমন’ প্রশ্ন এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদেরও ‘কমন’ উত্তর ওই ‘নো কমেন্ট’। তবে হোটেলের লিফটে ওঠার আগে রসিকতার ছলে হলেও বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে আসল কথাটা বলে গেলেন বিসিসিআইর প্রধান নির্বাহী, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, বাংলাদেশ কেন এখনো ভারতে টেস্ট সফর করল না। আমি বলেছি, ভালো হয় প্রশ্নটা যদি আপনি বাংলাদেশ বোর্ড কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেন...।’
গত পরশু রাজধানীর একটি হোটেলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ছয় প্রার্থীর প্রদর্শনী দেখে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় কোম্পানি উইজক্রাফটকে। ১২ ঘণ্টার বাছাই-প্রক্রিয়া শেষে ২০১১ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট পরিচালক ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রত্নাকর শেঠি এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কিছু দেখানো উচিত যা দেখে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টিসহ এ দেশের ভালো দিকগুলো মানুষ জানতে পারে। বর্তমান সরকার যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছে, সেটারও একটা বড় প্রচার হতে পারে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’ আগামী বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বাজেট প্রায় ৩০ লাখ ডলার। এর ১৫ লাখ ডলার দিচ্ছে আইসিসি, বাকি ১৫ লাখ ডলার বাংলাদেশ সরকার।
বিশ্বকাপ যত সামনে আসছে, আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততাও বাড়ছে তত। কাল ঢাকায় হয়ে গেল কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির সভা, এর আগে পরশু ঢাকার একটি হোটেলে ৯০ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। সংক্ষিপ্ত তালিকার ছয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে শীর্ষ দুই বাছাই হিসেবে উইজক্রাফট আর শো টাইম টিকে থাকলেও পরে বেছে নেওয়া হয়েছে উইজক্রাফটকেই। শেঠি জানালেন, ‘শো টাইম ও উইজক্রাফট দুই কোম্পানিই খুব ভালো প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। তাদের মধ্যে একটাই পার্থক্য, উইজক্রাফটের বড় আসর আয়োজনের অভিজ্ঞতা বেশি।’
উইজক্রাফট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নির্মাণ করবে, তবে এর থিমটা দেবে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি এবং সেই থিমের মূল সুরে বাংলাদেশ। ‘যেহেতু তিন দেশ মিলে ইভেন্ট আয়োজন করছে, আমরা চাইব তিনটা দেশই যাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উঠে আসে। তবে অগ্রাধিকার থাকবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। এটা একটা দেশের জন্য বিরাট সম্মান। নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরার দারুণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে’—বলেছেন শেঠি।
১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপ আয়োজন করেই ক্রিকেটের বড় আসর আয়োজনের সামর্থ্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর একটু একটু করে সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন অনেক পরিণত বলে বিশ্বাস শেঠির, ‘গত ১২ বছরে ক্রিকেটে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। আমার বিশ্বাস, ভারত আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই তারা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।’
এই বিশ্বাসটা হয়তো একটু টলে উঠত, যদি আজ ঢাকা ছাড়ার আগে রত্নাকর শেঠি একবার ঘুরে আসতেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। চূড়ান্ত ঢিমেতালে চলছে সংস্কারকাজ, যেটা কি না বিসিবিরই অনেক কর্মকর্তাকে শঙ্কিত করছে। তবে বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টরকে সব মিলিয়ে আশাবাদীই মনে হলো, ‘তিন দেশকেই আমরা মনিটর করছি। কাজের অগ্রগতি ভালো। বাংলাদেশের মতোই ভারতের মুম্বাই, তামিলনাড়ু, কলকাতায় স্টেডিয়াম সংস্কার চলছে। আশা করি, নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সব স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
সংস্কারকাজের ব্যাপারে ‘উদার’ শেঠি আরও বলেছেন, ‘উইকেট আর আউটফিল্ডই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক দিয়ে বেশির ভাগ স্টেডিয়াম এর মধ্যেই প্রস্তুত। আর অসম্পূর্ণ অবকাঠামো তো ভালো খেলা বা প্রস্তুতি ম্যাচের পথে বাধা হবে না। অবকাঠামোর কাজ শেষ দিনেও শেষ হতে পারে। তার পরও আমাদের একটা ডেডলাইন দেওয়া আছে। সেটা নভেম্বর পর্যন্ত।’
অবকাঠামো নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাক, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়া নতুন দুশ্চিন্তার ভাঁজ অবশ্যই ফেলছে বিশ্বকাপের ললাটে। বিশ্বকাপে এ নিয়ে নিশ্চয়ই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে আইসিসি। শেঠিও আভাস দিলেন সে রকমই, ‘বিষয়টা স্পর্শকাতর। তদন্ত চলছে, দেখা যাক কী হয়। এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য না করা ভালো। তবে বিশ্বকাপ আইসিসির ইভেন্ট। আমি নিশ্চিত, বিশ্বকাপের সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ আরও বেশি তত্পর থাকবে।’
শেঠি ‘নো কমেন্ট’ বললেন আরও একটা প্রশ্নে—টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সাত বছরেও বাংলাদেশ ভারতে কোনো পূর্ণাঙ্গ সফর করল না কেন? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাউকে সামনে পেলে এটা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ‘কমন’ প্রশ্ন এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদেরও ‘কমন’ উত্তর ওই ‘নো কমেন্ট’। তবে হোটেলের লিফটে ওঠার আগে রসিকতার ছলে হলেও বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে আসল কথাটা বলে গেলেন বিসিসিআইর প্রধান নির্বাহী, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, বাংলাদেশ কেন এখনো ভারতে টেস্ট সফর করল না। আমি বলেছি, ভালো হয় প্রশ্নটা যদি আপনি বাংলাদেশ বোর্ড কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেন...।’
No comments