‘এটি নজিরবিহীন এক চ্যালেঞ্জ’

চিলিতে সোনা ও রুপার খনিতে আটকে পড়া ৩৩ জন শ্রমিককে উদ্ধারের বিষয়টিকে ‘নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন খনি নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। শ্রমিকদের উদ্ধারে সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু করার পর বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্য করেন। এদিকে চিলি সরকারের আহ্বানে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) একটি দল চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে পৌঁছেছে।
নিউজিল্যান্ডের খনি নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কিয়াওরার পরিচালক ডেভ ফেইকার্ট বলেন, চিলির খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজটি খুব কঠিন।
কানাডা সরকারের খনিতে আটকে পড়া লোকজন উদ্ধার কার্যক্রমবিষয়ক ব্যবস্থাপক অ্যালেক্স গ্রেসকা বলেন, চিলির খনির পরিস্থিতির মতো ঘটনা এর আগে কখনো শোনা যায়নি। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, উদ্ধারকাজে দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কিন্তু আটকে পড়া শ্রমিকেরা এত সময় মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন কি না, তা ভেবে দেখার বিষয়।
চিলি সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে নাসার একটি দল রাজধানী সান্টিয়াগোতে পৌঁছেছে। ওই দলে চিকিত্সক, পুষ্টিবিদ, প্রকৌশলী ও মনোবিজ্ঞানী রয়েছেন। দলটি খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মিথ্যে কোনো আশ্বাস না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
চিলির ওই খনির মালিক অ্যালেজান্দ্রো বোন খনি ধসের ঘটনা তদন্তে গঠিত সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিক ও তাঁদের স্বজনদের কাছে তিনি ক্ষমা চাইবেন। অ্যালেজান্দ্রো বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আশা করি শান্তিপূর্ণভাবেই এই পরিস্থিতির সমাধান হবে।’
গত বৃহস্পতিবার চিলির একটি আদালত অ্যালেজান্দ্রোর ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার জব্দের নির্দেশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.