অবৈধ বিজিএমইএ ভবন -বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্পের স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন
অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবনের জন্য একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভবনটি বিজিএমইএ ভবন আর প্রকল্পটি হাতিরঝিল প্রকল্প। ২০১১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু ভবনটি রাখা হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত এখনো ঝুলে আছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বের অর্থ হচ্ছে, প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই ভবনটির ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে আসা জরুরি।
ভবনটি রাখা হলে বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। কারণ, ভবনটি পড়েছে মূল পানিপ্রবাহ-অঞ্চলের মধ্যে। এটি রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে, পানিপ্রবাহের পথ সৃষ্টির জন্য এক পাশের রাস্তা ও অন্য পাশের কয়েকটি বৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে; প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি অবৈধ স্থাপনা রক্ষার জন্য বেশ কিছু বৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার পথ বেছে নেওয়া হবে, নাকি অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙে প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিজিএমইএ ভবনটি গড়ে উঠেছে খালের মাঝখানে, জলাধার সংরক্ষণ আইন পুরোপুরি লঙ্ঘন করে। প্রচলিত আইনে ভবন নির্মাণের আগে রাজউকের কাছ থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ভবনটি নির্মাণের আগে নকশার অনুমোদন নেওয়া হয়নি। নির্মাণের পর অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন এখনো মেলেনি। প্রস্তাবিত রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) বিবেচনায় দেখলেও ভবনটি অবৈধ। কারণ, এটি নির্মিত হয়েছে নিচু জমি ভরাট করে। ভবিষ্যতে ড্যাপ বাস্তবায়িত হলেও ভবনটি অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিভিন্ন বিবেচনায় একদিকে যেমন ভবনটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নির্মিত, তেমনি এটি নির্মাণের আগে রাজউকের কাছে নকশা অনুমোদনের আবেদন না করার মধ্যে আইনকে উপেক্ষা ও অবজ্ঞা করার প্রবণতাও স্পষ্ট। ভবনটিকে টিকিয়ে রাখার অর্থ দাঁড়াবে এ ধরনের প্রবণতাকে প্রশ্রয় দেওয়া। প্রথম আলোর অনলাইন জরিপে ৭৭ শতাংশের বেশি পাঠক ভবনটি ভেঙে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ভবনটি রাখার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো কঠিন। ভবনটি ভাঙার অর্থ দাঁড়াচ্ছে ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি—ভবনটি রক্ষার পক্ষে এটাই হতে পারে একমাত্র যুক্তি।
এ ভবন অবৈধ হলেও আমরা দেখেছি, এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন আমাদের বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ভবনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার বিষয়টি যে স্পর্শকাতর, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা আশা করব, সরকার সার্বিক বিবেচনায় ভবনটির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বের কারণে যেন কোনোভাবেই বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ভবনটি রাখা হলে বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। কারণ, ভবনটি পড়েছে মূল পানিপ্রবাহ-অঞ্চলের মধ্যে। এটি রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে, পানিপ্রবাহের পথ সৃষ্টির জন্য এক পাশের রাস্তা ও অন্য পাশের কয়েকটি বৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে; প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি অবৈধ স্থাপনা রক্ষার জন্য বেশ কিছু বৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার পথ বেছে নেওয়া হবে, নাকি অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙে প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিজিএমইএ ভবনটি গড়ে উঠেছে খালের মাঝখানে, জলাধার সংরক্ষণ আইন পুরোপুরি লঙ্ঘন করে। প্রচলিত আইনে ভবন নির্মাণের আগে রাজউকের কাছ থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ভবনটি নির্মাণের আগে নকশার অনুমোদন নেওয়া হয়নি। নির্মাণের পর অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন এখনো মেলেনি। প্রস্তাবিত রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) বিবেচনায় দেখলেও ভবনটি অবৈধ। কারণ, এটি নির্মিত হয়েছে নিচু জমি ভরাট করে। ভবিষ্যতে ড্যাপ বাস্তবায়িত হলেও ভবনটি অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিভিন্ন বিবেচনায় একদিকে যেমন ভবনটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নির্মিত, তেমনি এটি নির্মাণের আগে রাজউকের কাছে নকশা অনুমোদনের আবেদন না করার মধ্যে আইনকে উপেক্ষা ও অবজ্ঞা করার প্রবণতাও স্পষ্ট। ভবনটিকে টিকিয়ে রাখার অর্থ দাঁড়াবে এ ধরনের প্রবণতাকে প্রশ্রয় দেওয়া। প্রথম আলোর অনলাইন জরিপে ৭৭ শতাংশের বেশি পাঠক ভবনটি ভেঙে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ভবনটি রাখার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো কঠিন। ভবনটি ভাঙার অর্থ দাঁড়াচ্ছে ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি—ভবনটি রক্ষার পক্ষে এটাই হতে পারে একমাত্র যুক্তি।
এ ভবন অবৈধ হলেও আমরা দেখেছি, এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন আমাদের বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ভবনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার বিষয়টি যে স্পর্শকাতর, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা আশা করব, সরকার সার্বিক বিবেচনায় ভবনটির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বের কারণে যেন কোনোভাবেই বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments