আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ -সরকারের অনেক কিছু করার আছে
রমজান মাস শুরু হতে এখনো প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি, তবু এখনই কিছু কিছু খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে শাকসবজির দাম বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজ, রসুন, আদা বা চিনির দাম কেন বাড়ছে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ব্যাখ্যা নেই। এর মধ্যে খবর বেরোল, আসন্ন রোজার মাসে কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। টিসিবি রমজান মাসে তুলনামূলকভাবে কম দামে তেল, ডাল ও চিনির মতো ভোগ্যপণ্য বাজারে ছাড়বে বলে খবর বেরিয়েছে। এও জানা গেল, রমজান মাস শুরুর আগেই চিনির দাম কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিনির ওপর থেকে আমদানি-শুল্ক সাময়িকভাবে পুরোটাই প্রত্যাহার করা হতে পারে। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের যে আগাম চিন্তা আছে এবং লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় যে কিছু উদ্যোগ সরকার নিতে যাচ্ছে, এটা নিশ্চয়ই স্বস্তির খবর।
তবে শেষ পর্যন্ত সরকার কতটা কী করতে পারবে এবং তার সুফল কতটা জনগণ পাবে, সেটাই দেখার বিষয়। দেখা যাচ্ছে, টিসিবির কাছে মজুদ ভোগ্যপণ্যের পরিমাণ নিতান্তই নগণ্য, তা দিয়ে সর্বোচ্চ তিন দিনের চাহিদা মিটতে পারে। এ দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর প্রভাব সৃষ্টি করা বস্তুত অসম্ভব। তাহলে ভরসা করতে হয় ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার ওপর, কিন্তু এমন ভরসা করা কঠিন। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফার লোভ উদগ্রভাবে বেড়ে উঠবে না, এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তাই দরকার সরকারের কঠোর তদারকি।
কারণ যত যা-ই বলা হোক না কেন, রমজান মাসে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়ে যায়, তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে ওঠে। প্রথমত, অনেক ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেশ বেড়ে যায়, কিন্তু সরবরাহ সেই অনুপাতে বাড়ে না। ফলে মূল্যবৃদ্ধি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ভোগ্যপণ্যের চাহিদা আছে, সরবরাহও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে, তার পরও অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভী অংশ সংঘবদ্ধভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায়, এমন ঘটনাও নতুন নয়। এসব অসাধু বা অনৈতিক বাজার-তৎপরতা অবশ্যই কিছু না কিছু মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, রমজান মাসে বাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সরকার আন্তরিক হলে সুদক্ষ বাজার-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অবশ্যই রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙা যায় না, এটা কোনো দক্ষ মন্ত্রী বা সরকারের অজুহাত হতে পারে না, যেমনটি আমরা অতীতে শুনে এসেছি। সরকারের অনেক কিছু করার থাকে।
আর এও বড় অদ্ভুত ব্যাপার যে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। সংযম সাধনার মাসে এই চাহিদা বৃদ্ধিকে পুঁজি করে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের মুনাফালিপ্সা উদগ্র হয়ে ওঠে। এটি মোটেও ভালো কথা নয়। আমরা যদি রমজান মাসে একটুখানি সংযমী হতে পারি, তাহলে ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার সুযোগ পায় না।
তবে শেষ পর্যন্ত সরকার কতটা কী করতে পারবে এবং তার সুফল কতটা জনগণ পাবে, সেটাই দেখার বিষয়। দেখা যাচ্ছে, টিসিবির কাছে মজুদ ভোগ্যপণ্যের পরিমাণ নিতান্তই নগণ্য, তা দিয়ে সর্বোচ্চ তিন দিনের চাহিদা মিটতে পারে। এ দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর প্রভাব সৃষ্টি করা বস্তুত অসম্ভব। তাহলে ভরসা করতে হয় ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার ওপর, কিন্তু এমন ভরসা করা কঠিন। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফার লোভ উদগ্রভাবে বেড়ে উঠবে না, এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তাই দরকার সরকারের কঠোর তদারকি।
কারণ যত যা-ই বলা হোক না কেন, রমজান মাসে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়ে যায়, তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে ওঠে। প্রথমত, অনেক ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেশ বেড়ে যায়, কিন্তু সরবরাহ সেই অনুপাতে বাড়ে না। ফলে মূল্যবৃদ্ধি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ভোগ্যপণ্যের চাহিদা আছে, সরবরাহও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে, তার পরও অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভী অংশ সংঘবদ্ধভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায়, এমন ঘটনাও নতুন নয়। এসব অসাধু বা অনৈতিক বাজার-তৎপরতা অবশ্যই কিছু না কিছু মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, রমজান মাসে বাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সরকার আন্তরিক হলে সুদক্ষ বাজার-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অবশ্যই রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙা যায় না, এটা কোনো দক্ষ মন্ত্রী বা সরকারের অজুহাত হতে পারে না, যেমনটি আমরা অতীতে শুনে এসেছি। সরকারের অনেক কিছু করার থাকে।
আর এও বড় অদ্ভুত ব্যাপার যে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। সংযম সাধনার মাসে এই চাহিদা বৃদ্ধিকে পুঁজি করে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের মুনাফালিপ্সা উদগ্র হয়ে ওঠে। এটি মোটেও ভালো কথা নয়। আমরা যদি রমজান মাসে একটুখানি সংযমী হতে পারি, তাহলে ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার সুযোগ পায় না।
No comments