মুরালির ৭৯৩ টেন্ডুলকার
মুখে হাসি কিন্তু চোখে পানি। দু-এক ফোঁটা নেমেও গেল গাল বেয়ে। এক দিনে দু-দুবার ‘গার্ড অব অনার’ পেয়ে আনন্দ, আবেগ, কষ্ট—সব যেন মাখামাখি হয়ে গেল মুত্তিয়া মুরালিধরনের। প্রথমবার পেয়েছিলেন ভারতীয় দলের কাছ থেকে, ব্যাটিংয়ে নামার সময়। বাজি ফুটল, ধোঁয়ায় ছেয়ে গেল মাঠ। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধও থাকল খেলা। দ্বিতীয়বার পেলেন নিজ দলের কাছ থেকে, ফিল্ডিংয়ে নামার সময়।
আবেগে ভেসে গিয়ে আসল কাজটায় মনোযোগ কিন্তু হারাননি, ফাঁদে ফেলেছেন সবচেয়ে বড় শিকারটাকেই। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর এই ৭৯৩তম উইকেটটি না পেলেও চলত। মাঠে যা-ই হোক না কেন, এই টেস্টের আসল নায়ক তো মুরালিই। মাঠের পারফরম্যান্সে কাল শ্রীলঙ্কার নায়ক অবশ্য লাসিথ মালিঙ্গা আর রঙ্গনা হেরাথ। না, বোলার হিসেবে নয়, ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়! দুজনের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ রান আর রেকর্ড জুটিতে এই টেস্টে শ্রীলঙ্কার হারের শঙ্কা আর নেই বললেই চলে।
ভারতকে আজ ফলোঅন করাতে পারলে বরং জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দেবে স্বাগিতকদের সামনে। তবে ড্রয়েই মুরালির ‘বিদায় সংবর্ধনা’ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৫২০ রানে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণার পর তৃতীয় দিন শেষে ভারতের স্কোর ১৪০/৩। পুরো এক দিন খেলা না হওয়ায় ফলোঅনের ব্যবধান এখন ১৫০। ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্য তাই ৩৭১। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারালেও তাদের আশা হয়ে আছেন বীরেন্দর শেবাগ (৮৫)।
ব্যাট হাতে যথেষ্ট যন্ত্রণা দেওয়ার পর বল হাতেও ভারতকে প্রথম আঘাত করেন ৩১ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা মালিঙ্গা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরান গৌতম গম্ভীরকে। দ্রাবিড়ের রান আউট আর টেন্ডুলকার মুরালির শিকার হয়ে ফিরে গেলে বিপদেই পড়ে ভারত। লক্ষ্মণকে নিয়ে দিনটা পার করেছেন শেবাগ। এই মাঠে তাঁর সর্বশেষ টেস্টে আদ্যন্ত ব্যাট করে ২০১ রান করেছিলেন শেবাগ। আজও এমন কিছু চাইছে ভারত।
কাল প্রথম সেশনটা কিন্তু ছিল ভারতেরই। ইশান্ত শর্মা দিনের তৃতীয় ওভারেই ফেরান থারাঙ্গা পারানাভিতানাকে। প্রথম দিনের ১১০ রানের সঙ্গে আর কেবল একটি রানই যোগ করতে পেরেছিলেন। পরের ওভারে দ্রাবিড়কে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন থিলান সামারাবীরা, কিন্তু এক বল পরই তাঁকে ফেরান অভিমন্যু মিথুন। ইশান্ত পরে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকেও আউট করে দিলে একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল দারুণ শুরুর পরও শ্রীলঙ্কা হয়তো ৪০০ পেরোতে পারবে না। শ্রীলঙ্কার স্কোর যে তখন ৩৪৪/৬।
এর পরই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটিকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন দুই লোয়ার অর্ডার হেরাথ আর মালিঙ্গা। দুজনের ১১৫ রানের জুটি অষ্টম উইকেটে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারেই প্রথম ফিফটি পেয়ে গেছেন মালিঙ্গা। ইনিংস ঘোষণা না করলে টেস্টের প্রথম ফিফটিটাকে হয়তো তিন অঙ্কেই নিয়ে যেতে পারতেন হেরাথ।
চার উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার অভিষিক্ত মিথুন, প্রথম দিনের হতাশা পেছনে ফেলেছেন ইশান্তও। তবে স্পিন-জাদুকরের বিদায়ের ক্ষণে সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন দুই স্পিনার হরভজন ও ওঝা। দুজনে মিলে ৫৮ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ২১৩, উইকেট পাননি একটিও!
আবেগে ভেসে গিয়ে আসল কাজটায় মনোযোগ কিন্তু হারাননি, ফাঁদে ফেলেছেন সবচেয়ে বড় শিকারটাকেই। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর এই ৭৯৩তম উইকেটটি না পেলেও চলত। মাঠে যা-ই হোক না কেন, এই টেস্টের আসল নায়ক তো মুরালিই। মাঠের পারফরম্যান্সে কাল শ্রীলঙ্কার নায়ক অবশ্য লাসিথ মালিঙ্গা আর রঙ্গনা হেরাথ। না, বোলার হিসেবে নয়, ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়! দুজনের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ রান আর রেকর্ড জুটিতে এই টেস্টে শ্রীলঙ্কার হারের শঙ্কা আর নেই বললেই চলে।
ভারতকে আজ ফলোঅন করাতে পারলে বরং জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দেবে স্বাগিতকদের সামনে। তবে ড্রয়েই মুরালির ‘বিদায় সংবর্ধনা’ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৫২০ রানে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণার পর তৃতীয় দিন শেষে ভারতের স্কোর ১৪০/৩। পুরো এক দিন খেলা না হওয়ায় ফলোঅনের ব্যবধান এখন ১৫০। ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্য তাই ৩৭১। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারালেও তাদের আশা হয়ে আছেন বীরেন্দর শেবাগ (৮৫)।
ব্যাট হাতে যথেষ্ট যন্ত্রণা দেওয়ার পর বল হাতেও ভারতকে প্রথম আঘাত করেন ৩১ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা মালিঙ্গা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরান গৌতম গম্ভীরকে। দ্রাবিড়ের রান আউট আর টেন্ডুলকার মুরালির শিকার হয়ে ফিরে গেলে বিপদেই পড়ে ভারত। লক্ষ্মণকে নিয়ে দিনটা পার করেছেন শেবাগ। এই মাঠে তাঁর সর্বশেষ টেস্টে আদ্যন্ত ব্যাট করে ২০১ রান করেছিলেন শেবাগ। আজও এমন কিছু চাইছে ভারত।
কাল প্রথম সেশনটা কিন্তু ছিল ভারতেরই। ইশান্ত শর্মা দিনের তৃতীয় ওভারেই ফেরান থারাঙ্গা পারানাভিতানাকে। প্রথম দিনের ১১০ রানের সঙ্গে আর কেবল একটি রানই যোগ করতে পেরেছিলেন। পরের ওভারে দ্রাবিড়কে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন থিলান সামারাবীরা, কিন্তু এক বল পরই তাঁকে ফেরান অভিমন্যু মিথুন। ইশান্ত পরে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকেও আউট করে দিলে একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল দারুণ শুরুর পরও শ্রীলঙ্কা হয়তো ৪০০ পেরোতে পারবে না। শ্রীলঙ্কার স্কোর যে তখন ৩৪৪/৬।
এর পরই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটিকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন দুই লোয়ার অর্ডার হেরাথ আর মালিঙ্গা। দুজনের ১১৫ রানের জুটি অষ্টম উইকেটে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারেই প্রথম ফিফটি পেয়ে গেছেন মালিঙ্গা। ইনিংস ঘোষণা না করলে টেস্টের প্রথম ফিফটিটাকে হয়তো তিন অঙ্কেই নিয়ে যেতে পারতেন হেরাথ।
চার উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার অভিষিক্ত মিথুন, প্রথম দিনের হতাশা পেছনে ফেলেছেন ইশান্তও। তবে স্পিন-জাদুকরের বিদায়ের ক্ষণে সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন দুই স্পিনার হরভজন ও ওঝা। দুজনে মিলে ৫৮ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ২১৩, উইকেট পাননি একটিও!
No comments