মুম্বাই হামলায় আইএসআইয়ের সহায়তার কথা স্বীকার হেডলির
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সহায়তার কথা স্বীকার করলেন ডেভিড হেডলি। এর আগে হামলার ঘটনায় জীবিত আটক একমাত্র জঙ্গি আজমল আমির কাসাবও একই কথা বলেন। ভারতীয় একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সম্প্রতি এ কথা জানান।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে হেডলি স্বীকার করেন, মুম্বাই হামলায় অংশ নেওয়া সবাই পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কাছে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং আইএসআই তাঁদের সহায়তা করেছে। এর আগে কাসাব জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সাতারুদের কাছ থেকে তিনিসহ ১০ জন সাঁতার ও পানির নিচে কাজ করার মতো প্রশিক্ষণ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি কারাগারে বন্দী লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হেডলিকে গত মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। কাসাব ও হেডলির কাছ থেকে পাওয়া একই রকম তথ্যের বিষয়টি পাকিস্তানকে জানানো হয়েছে। গত মাসে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বিষয়টি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিককে জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে হেডলি জানান, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা মুম্বাই হামলাকারীদের জন্য নৌকা কিনতে লস্কর-ই-তাইয়েবাকে ২৫ লাখ রুপি দেন। ওই নৌকায় করে করাচি থেকে পাকিস্তানি সমুদ্রসীমায় গিয়ে হামলাকারীরা মুম্বাইয়ে পৌঁছাতে ‘কুবের’ নামের ভারতীয় একটি নৌকা ছিনতাই করে।
হেডলির বরাত দিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, ওই সময় লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধান অভিযান কর্মকর্তা ছিলেন জাকিউর রহমান লাখভি ওরফে চাচা। তিনিই মুম্বাইয়ে হামলার প্রস্তুতির বিস্তারিত বিষয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইদকে জানাতেন।
লাখভি রাওয়ালপিন্ডিতে একটি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে লস্কর-ই-তাইয়েবার আরও ছয় সদস্যসহ পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধান হাফিজ সাইদকে সহায়তা করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, মুম্বাইয়ে হামলার জন্য কাসাবসহ ১০ জনকে নির্বাচিত করেন লাখভি। আর হামলা চালানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তাঁদের উদ্দেশে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিতেন হাফিজ সাইদ।
কর্মকর্তারা আরও জানান, মুম্বাই হামলায় জড়িত সাজিদ মীর নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা বৈঠক করেছেন বলে তাঁদের কাছে তথ্য আছে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে হেডলি স্বীকার করেন, মুম্বাই হামলায় অংশ নেওয়া সবাই পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কাছে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং আইএসআই তাঁদের সহায়তা করেছে। এর আগে কাসাব জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সাতারুদের কাছ থেকে তিনিসহ ১০ জন সাঁতার ও পানির নিচে কাজ করার মতো প্রশিক্ষণ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি কারাগারে বন্দী লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হেডলিকে গত মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। কাসাব ও হেডলির কাছ থেকে পাওয়া একই রকম তথ্যের বিষয়টি পাকিস্তানকে জানানো হয়েছে। গত মাসে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বিষয়টি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিককে জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে হেডলি জানান, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা মুম্বাই হামলাকারীদের জন্য নৌকা কিনতে লস্কর-ই-তাইয়েবাকে ২৫ লাখ রুপি দেন। ওই নৌকায় করে করাচি থেকে পাকিস্তানি সমুদ্রসীমায় গিয়ে হামলাকারীরা মুম্বাইয়ে পৌঁছাতে ‘কুবের’ নামের ভারতীয় একটি নৌকা ছিনতাই করে।
হেডলির বরাত দিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, ওই সময় লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধান অভিযান কর্মকর্তা ছিলেন জাকিউর রহমান লাখভি ওরফে চাচা। তিনিই মুম্বাইয়ে হামলার প্রস্তুতির বিস্তারিত বিষয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইদকে জানাতেন।
লাখভি রাওয়ালপিন্ডিতে একটি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে লস্কর-ই-তাইয়েবার আরও ছয় সদস্যসহ পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধান হাফিজ সাইদকে সহায়তা করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, মুম্বাইয়ে হামলার জন্য কাসাবসহ ১০ জনকে নির্বাচিত করেন লাখভি। আর হামলা চালানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তাঁদের উদ্দেশে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিতেন হাফিজ সাইদ।
কর্মকর্তারা আরও জানান, মুম্বাই হামলায় জড়িত সাজিদ মীর নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা বৈঠক করেছেন বলে তাঁদের কাছে তথ্য আছে।
No comments