রেল দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া রেলস্টেশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মন্ত্রণালয়ের চেয়ে পশ্চিবঙ্গের রাজনীতি নিয়েই বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরা। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতারা বলছেন, মমতার উন্নয়নকাজে বাধা দিতেই বারবার রেল দুর্ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
সাঁইথিয়ায় গত সোমবার ভোরে রেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনার দিনই রেলমন্ত্রী মমতা এটি নাশকতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। আজ বুধবার কলকাতায় আয়োজিত তৃণমূলের শহীদ দিবসের জনসভাকে বানচাল করতে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে রাজ্য পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে মঙ্গলবার পর্যন্ত নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে রেলমন্ত্রীর এই নাশকতার যুক্তিকে মেনে নিতে পারেনি ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দল সিপিএম, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), নীতিশ কুমারের জনতা পার্টি (সংযুক্ত), রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রেলমন্ত্রী মমতার এমন ইঙ্গিতের কঠোর সমালোচনা করে দলগুলো বলছে, তিনি (মমতা) নিজের মন্ত্রণালয়ের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। ফলে রেলের ব্যাপারে তিনি মনোনিবেশ করতে পারছেন না।
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের বিধায়ক রবীন মণ্ডল বিধানসভায় মমতার পদত্যাগ দাবি করেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, বিভিন্ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের খবরের নামে নিজেকে টিভিতে প্রচার না করে তাঁর (মমতা) উচিত রেলের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার কাজে মনোনিবেশ করা। বিধানসভায় সিপিএমের শরিক দলের বিধায়কেরা অভিযোগ করেন, রেলমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে উৎখাত করতেই ব্যস্ত। রেলের জন্য তিনি সময় দেন না।
কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, মমতা ব্যানার্জি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ মাসে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০২টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৪৭৩ জন নিহত হয়েছে। এত কম সময়ে এত দুর্ঘটনা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তৃণমূলের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নেত্রীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গেই কেন বারবার রেল দুর্ঘটনা ঘটছে? মমতার উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ করে দিতেই কি? তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বুধবার (আজ) কলকাতায় দলের সমাবেশ বানচাল করতেই এই রেল দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিধানসভায় বিরোধী দল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস রেল দুর্ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে গতকালের বিধানসভার অধিবেশন বর্জন করে।
এদিকে সাঁইথিয়া দুর্ঘটনায় নিহত ৬৯ জনের মধ্যে ৩৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আহতদের সিউরি, সাঁইথিয়া, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল, কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সাঁইথিয়ায় গত সোমবার ভোরে রেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনার দিনই রেলমন্ত্রী মমতা এটি নাশকতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। আজ বুধবার কলকাতায় আয়োজিত তৃণমূলের শহীদ দিবসের জনসভাকে বানচাল করতে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে রাজ্য পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে মঙ্গলবার পর্যন্ত নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে রেলমন্ত্রীর এই নাশকতার যুক্তিকে মেনে নিতে পারেনি ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দল সিপিএম, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), নীতিশ কুমারের জনতা পার্টি (সংযুক্ত), রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রেলমন্ত্রী মমতার এমন ইঙ্গিতের কঠোর সমালোচনা করে দলগুলো বলছে, তিনি (মমতা) নিজের মন্ত্রণালয়ের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। ফলে রেলের ব্যাপারে তিনি মনোনিবেশ করতে পারছেন না।
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের বিধায়ক রবীন মণ্ডল বিধানসভায় মমতার পদত্যাগ দাবি করেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, বিভিন্ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের খবরের নামে নিজেকে টিভিতে প্রচার না করে তাঁর (মমতা) উচিত রেলের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার কাজে মনোনিবেশ করা। বিধানসভায় সিপিএমের শরিক দলের বিধায়কেরা অভিযোগ করেন, রেলমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে উৎখাত করতেই ব্যস্ত। রেলের জন্য তিনি সময় দেন না।
কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, মমতা ব্যানার্জি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ মাসে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০২টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৪৭৩ জন নিহত হয়েছে। এত কম সময়ে এত দুর্ঘটনা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তৃণমূলের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নেত্রীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গেই কেন বারবার রেল দুর্ঘটনা ঘটছে? মমতার উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ করে দিতেই কি? তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বুধবার (আজ) কলকাতায় দলের সমাবেশ বানচাল করতেই এই রেল দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিধানসভায় বিরোধী দল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস রেল দুর্ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে গতকালের বিধানসভার অধিবেশন বর্জন করে।
এদিকে সাঁইথিয়া দুর্ঘটনায় নিহত ৬৯ জনের মধ্যে ৩৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আহতদের সিউরি, সাঁইথিয়া, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল, কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
No comments