রাজউকের দায়দায়িত্ব -অবৈধ ভবনগুলো নিয়ে কী করা হবে
পাহাড়প্রমাণ অনিয়ম যা, ঢাকা শহরে আকাশছোঁয়া ইমারত অনেক ক্ষেত্রে তা-ই হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় এ রকমই এক অনুমোদনহীন ২০ তলা ভবনের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। আপাদমস্তকে ভবনটি অনিয়ম, ফাঁকি ও দায়িত্বহীনতার আদর্শ উদাহরণ। ঢাকা শহরে এ রকম অজস্র ভবন রাজউক, ডেভেলপার ও ফ্ল্যাটের মালিকদের নিয়ম না-মানার কীর্তি হয়ে নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো নিয়ে কী করা হবে? কী করা হবে তাঁদের, যাঁদের সুবিধাবাদ ও নিয়ম না-মানার প্রবণতার প্রতিফলন এসব ভবন।
রাজধানীর পরীবাগে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ২০ তলা গার্ডেন টাওয়ারের মালিকপক্ষ যথাযথ অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অথচ এর সব ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে, অনেক পরিবার সেখানে বসবাসও করছে। আইনানুযায়ী, এই ভবনসহ এ ধরনের সব ভবন ভেঙে ফেলাই করণীয়। কিন্তু রাজধানীতে এ ধরনের শত শত ভবন তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো ব্যবহারও হচ্ছে। সরকারের উচিত, সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব ভবন বিষয়ে করণীয় ঠিক করা। বিপজ্জনকগুলো ভেঙে ফেলাই শ্রেয়, বাকিগুলোর বিষয়ে বাস্তববাদী পদক্ষেপ নিতে আর দেরি করা উচিত নয়। কিন্তু রাজউকের অনুমোদনের বাইরে এ রকম একটি ইমারত কীভাবে গড়ে উঠতে পারে? কীভাবে বছরের পর বছর তা কর্তৃপক্ষের নজরের বাইরে রয়ে যেতে পারে? রাজউকের কাজ কি কেবল চেয়ে দেখা? অপরিকল্পিত আবাসন ও ভবন নির্মাণের দায় রাজউকেরও কিছুমাত্র কম নয়।
রাজউক ঢাকা শহরে অনুমোদনহীনভাবে গড়ে ওঠা ভবন চিহ্নিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোর কিছু কিছু ভেঙে ফেলার প্রয়োজন হবে, বাকিগুলোকে কীভাবে নিরাপদ ও নগর পরিকল্পনার সঙ্গে মানানসই করা যায়, তা ভাবতে হবে। কিন্তু রাজউকের গাফিলতির জন্যই যে ডেভেলপার ও ভবন-নির্মাতারা পরিণতি যাচাই না করায় উৎসাহী হয়েছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এ ধরনের অনিয়মের প্রতিকারের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি এসব ভবনে যাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছেন, তাঁরা যাতে সর্বস্বান্ত না হন, সেটি বিবেচনায় রাখা জরুরি। এ কথা সত্য যে ক্রেতাদেরও অনুমোদনহীন ভবনের ফ্ল্যাট কেনার সময় সজাগ থাকার প্রয়োজন ছিল। সে জন্য ভবনের ডেভেলপার ও মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে। পরিশেষে সব পক্ষেরই এই উপলব্ধিতে আসতে হবে যে আগের অনিয়মের প্রতিকার এ কারণেই হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ আর চলতে না পারে।
রাজধানীর পরীবাগে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ২০ তলা গার্ডেন টাওয়ারের মালিকপক্ষ যথাযথ অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অথচ এর সব ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে, অনেক পরিবার সেখানে বসবাসও করছে। আইনানুযায়ী, এই ভবনসহ এ ধরনের সব ভবন ভেঙে ফেলাই করণীয়। কিন্তু রাজধানীতে এ ধরনের শত শত ভবন তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো ব্যবহারও হচ্ছে। সরকারের উচিত, সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব ভবন বিষয়ে করণীয় ঠিক করা। বিপজ্জনকগুলো ভেঙে ফেলাই শ্রেয়, বাকিগুলোর বিষয়ে বাস্তববাদী পদক্ষেপ নিতে আর দেরি করা উচিত নয়। কিন্তু রাজউকের অনুমোদনের বাইরে এ রকম একটি ইমারত কীভাবে গড়ে উঠতে পারে? কীভাবে বছরের পর বছর তা কর্তৃপক্ষের নজরের বাইরে রয়ে যেতে পারে? রাজউকের কাজ কি কেবল চেয়ে দেখা? অপরিকল্পিত আবাসন ও ভবন নির্মাণের দায় রাজউকেরও কিছুমাত্র কম নয়।
রাজউক ঢাকা শহরে অনুমোদনহীনভাবে গড়ে ওঠা ভবন চিহ্নিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোর কিছু কিছু ভেঙে ফেলার প্রয়োজন হবে, বাকিগুলোকে কীভাবে নিরাপদ ও নগর পরিকল্পনার সঙ্গে মানানসই করা যায়, তা ভাবতে হবে। কিন্তু রাজউকের গাফিলতির জন্যই যে ডেভেলপার ও ভবন-নির্মাতারা পরিণতি যাচাই না করায় উৎসাহী হয়েছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এ ধরনের অনিয়মের প্রতিকারের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি এসব ভবনে যাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছেন, তাঁরা যাতে সর্বস্বান্ত না হন, সেটি বিবেচনায় রাখা জরুরি। এ কথা সত্য যে ক্রেতাদেরও অনুমোদনহীন ভবনের ফ্ল্যাট কেনার সময় সজাগ থাকার প্রয়োজন ছিল। সে জন্য ভবনের ডেভেলপার ও মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে। পরিশেষে সব পক্ষেরই এই উপলব্ধিতে আসতে হবে যে আগের অনিয়মের প্রতিকার এ কারণেই হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ আর চলতে না পারে।
No comments