ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না: যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু জ্বালানি বিনিময় চুক্তি করলেও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার ইরান, ব্রাজিল ও তুরস্ক একটি পরমাণু জ্বালানি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওয়াশিংটন এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তুরস্ক এই ইউরেনিয়াম ‘প্রয়োজনীয় মাত্রায়’ আরও সমৃদ্ধ করবে এবং তেহরানকে তা ফেরত দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরান তার পরমাণু জ্বালানি তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করলেও অবরোধ আরোপের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হচ্ছে না। তেহরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ বন্ধ হবে না, এমনকি এ পদক্ষেপে কোনো ধীরতাও আসবে না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেছেন, ‘পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ তবে তিনি বলেন, ইরান নতুন চুক্তি মেনে চললে ‘কিছুটা অগ্রগতি’ হবে। এর আগে ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তির ব্যাপারে তিনি ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলেন।
গিবস বলেন, ইরান এ চুক্তি মেনে চললেও তাদের পরমাণু কর্মসূচির ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। কেননা তেহরান ঘোষণা করেছে, ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি তারা অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘অনেকেই আছেন যাঁরা ইরানের পরমাণু জ্বালানি বিনিময় চুক্তিকে সফলতা হিসেবে অভিহিত করবেন। কিন্তু এ চুক্তির মাধ্যমে নতুন কিছু ঘটেছে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’ তবে তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা এখনো চুক্তিটির বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করছেন। তাঁরা এ নিয়ে শিগগরিই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন। এমনকি তুরস্ক ও ব্রাজিলের সঙ্গেও তারা আলোচনা করার চিন্তাভাবনা করছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ফের অবরোধ আরোপের ‘কোনো কারণই’ দেখছে না আঙ্কারা। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত। এ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা (তুরস্ক ও ব্রাজিল) আশ্বস্ত করছি, ইরানের স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম এখন থেকে তুরস্কেই থাকবে।’
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলসো অ্যামোরিম বলেন, চুক্তির ফলে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার সুযোগ এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ চুক্তির মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার বিজয় হয়েছে। এর ফলে প্রমাণিত হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের মধ্যে সফল আলোচনার পর সোমবার এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তেহরানে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তুরস্ক এই ইউরেনিয়াম ‘প্রয়োজনীয় মাত্রায়’ আরও সমৃদ্ধ করবে এবং তেহরানকে তা ফেরত দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরান তার পরমাণু জ্বালানি তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করলেও অবরোধ আরোপের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হচ্ছে না। তেহরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ বন্ধ হবে না, এমনকি এ পদক্ষেপে কোনো ধীরতাও আসবে না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেছেন, ‘পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ তবে তিনি বলেন, ইরান নতুন চুক্তি মেনে চললে ‘কিছুটা অগ্রগতি’ হবে। এর আগে ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তির ব্যাপারে তিনি ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলেন।
গিবস বলেন, ইরান এ চুক্তি মেনে চললেও তাদের পরমাণু কর্মসূচির ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। কেননা তেহরান ঘোষণা করেছে, ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি তারা অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘অনেকেই আছেন যাঁরা ইরানের পরমাণু জ্বালানি বিনিময় চুক্তিকে সফলতা হিসেবে অভিহিত করবেন। কিন্তু এ চুক্তির মাধ্যমে নতুন কিছু ঘটেছে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’ তবে তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা এখনো চুক্তিটির বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করছেন। তাঁরা এ নিয়ে শিগগরিই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন। এমনকি তুরস্ক ও ব্রাজিলের সঙ্গেও তারা আলোচনা করার চিন্তাভাবনা করছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ফের অবরোধ আরোপের ‘কোনো কারণই’ দেখছে না আঙ্কারা। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত। এ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা (তুরস্ক ও ব্রাজিল) আশ্বস্ত করছি, ইরানের স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম এখন থেকে তুরস্কেই থাকবে।’
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলসো অ্যামোরিম বলেন, চুক্তির ফলে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার সুযোগ এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ চুক্তির মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার বিজয় হয়েছে। এর ফলে প্রমাণিত হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের মধ্যে সফল আলোচনার পর সোমবার এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তেহরানে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ চুক্তিতে সই করেন।
No comments