পিসিবি তদন্ত কমিটির ভিডিও ফাঁস
দলে যত গণ্ডগোল ও বিভক্তির মূলে শোয়েব মালিক—এ কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। মজার ব্যাপার, শুধু ইউসুফ নন; শহীদ আফ্রিদি-ইন্তিখাব আলমরাও মনে করছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের নিকট অতীতের দলাদলির মূল হোতা শোয়েব মালিক!
পাকিস্তান ক্রিকেটে দলাদলির এই বাসি খবর নতুন করে সংবাদমাধ্যমে আসার কারণ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তদন্ত কমিটির শুনানির ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়া।
অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ অনুসন্ধানে ওই কমিটি গঠন করেছিল পিসিবি। কমিটি দলের কোচ ও ক্রিকেটারদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তার ধারণকৃত ভিডিও সম্প্রতি ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে।
এই ভিডিওতে দেখা গেছে, কোচ ইন্তিখাব আলম, দল ব্যবস্থাপক আকিব জাভেদ, তৎকালীন অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ ও বর্তমান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি সবাই মিলে দায় চাপিয়েছেন শোয়েব মালিকের কাঁধে।
মালিককে দায় দিয়েছেন ইউসুফও। তবে তদন্ত কমিটিতে ইউসুফের বক্তব্য শুধু মালিকের বিপক্ষেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভীর বারবার বাধার মধ্যেও ইউসুফকে দেখা গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নীতি নিয়েই লম্বা বক্তৃতা দিতে।
ইউসুফ মনে করছেন, টি-টোয়েন্টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটকেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান নীতি, ‘পাকিস্তানের এই দলে কোনো ভালো টেস্ট ক্রিকেটার নেই। দলটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান বোর্ডও টি-টোয়েন্টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে তদন্ত কমিটির ক্রিকেট-জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইউসুফ। এই পর্যায়ে রিজভী আবার তাঁকে থামিয়ে দিলে ইউসুফ বলে ওঠেন, ‘আমি কাউকে কোনো নির্দেশনা দিচ্ছি না। পাকিস্তানের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কথা বলছি।’
সবশেষে নিজের অধিনায়কত্বের সময়ে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছে, এটা মেনে নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর অবসর নিয়ে ফেলা এই টেস্ট ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমি পরামর্শ দেব, দলে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য। একই সঙ্গে বোর্ডের উচিত সিরিজ-বাই-সিরিজ না এগিয়ে এক বা দু বছরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচন করা।’
ওদিকে বিশ্বকাপের পর সেন্ট লুসিয়া ছাড়ার আগে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আফ্রিদি দাবি করেছেন, পাকিস্তান দলের সিনিয়রদের ঝেড়ে ফেলে একটা ধাক্কা দেওয়াটা জরুরি, ‘কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের এখন সরে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। তাদের কাছ থেকে আর ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন তরুণদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
মালিক সম্পর্কে কে কী বলেছেন
ইন্তিখাব আলম
তার মানসিকতাটা সুবিধার নয়। সে সমস্যার সৃষ্টি করে। (নিউজিল্যান্ড সফর থেকে) আমি তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলাম।
মোহাম্মদ ইউসুফ
সব সময়ই দলের ভেতরে সে রাজনীতি করে। সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান বড় একটা ভুল করেছেন, ২০০৭ সালে যখন দলে তার জায়গাটা নিশ্চিত নয়, তখন তাকে দলের অধিনায়ক করে ক্ষতি করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের।
শহীদ আফ্রিদি
আমি তার (মালিকের) মুখের ওপরই পরিষ্কার বলে দিয়েছিলাম, তার দ্বিমুখী নীতি বজায় থাকলে দলে বেশি দিন সে টিকে থাকতে পারবে না। আমি যদি অধিনায়ক হতাম, তাহলে তাকে দলে রাখতাম না।
পাকিস্তান ক্রিকেটে দলাদলির এই বাসি খবর নতুন করে সংবাদমাধ্যমে আসার কারণ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তদন্ত কমিটির শুনানির ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়া।
অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ অনুসন্ধানে ওই কমিটি গঠন করেছিল পিসিবি। কমিটি দলের কোচ ও ক্রিকেটারদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তার ধারণকৃত ভিডিও সম্প্রতি ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে।
এই ভিডিওতে দেখা গেছে, কোচ ইন্তিখাব আলম, দল ব্যবস্থাপক আকিব জাভেদ, তৎকালীন অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ ও বর্তমান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি সবাই মিলে দায় চাপিয়েছেন শোয়েব মালিকের কাঁধে।
মালিককে দায় দিয়েছেন ইউসুফও। তবে তদন্ত কমিটিতে ইউসুফের বক্তব্য শুধু মালিকের বিপক্ষেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভীর বারবার বাধার মধ্যেও ইউসুফকে দেখা গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নীতি নিয়েই লম্বা বক্তৃতা দিতে।
ইউসুফ মনে করছেন, টি-টোয়েন্টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটকেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান নীতি, ‘পাকিস্তানের এই দলে কোনো ভালো টেস্ট ক্রিকেটার নেই। দলটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান বোর্ডও টি-টোয়েন্টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে তদন্ত কমিটির ক্রিকেট-জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইউসুফ। এই পর্যায়ে রিজভী আবার তাঁকে থামিয়ে দিলে ইউসুফ বলে ওঠেন, ‘আমি কাউকে কোনো নির্দেশনা দিচ্ছি না। পাকিস্তানের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কথা বলছি।’
সবশেষে নিজের অধিনায়কত্বের সময়ে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছে, এটা মেনে নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর অবসর নিয়ে ফেলা এই টেস্ট ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমি পরামর্শ দেব, দলে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য। একই সঙ্গে বোর্ডের উচিত সিরিজ-বাই-সিরিজ না এগিয়ে এক বা দু বছরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচন করা।’
ওদিকে বিশ্বকাপের পর সেন্ট লুসিয়া ছাড়ার আগে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আফ্রিদি দাবি করেছেন, পাকিস্তান দলের সিনিয়রদের ঝেড়ে ফেলে একটা ধাক্কা দেওয়াটা জরুরি, ‘কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের এখন সরে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। তাদের কাছ থেকে আর ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন তরুণদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
মালিক সম্পর্কে কে কী বলেছেন
ইন্তিখাব আলম
তার মানসিকতাটা সুবিধার নয়। সে সমস্যার সৃষ্টি করে। (নিউজিল্যান্ড সফর থেকে) আমি তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলাম।
মোহাম্মদ ইউসুফ
সব সময়ই দলের ভেতরে সে রাজনীতি করে। সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান বড় একটা ভুল করেছেন, ২০০৭ সালে যখন দলে তার জায়গাটা নিশ্চিত নয়, তখন তাকে দলের অধিনায়ক করে ক্ষতি করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের।
শহীদ আফ্রিদি
আমি তার (মালিকের) মুখের ওপরই পরিষ্কার বলে দিয়েছিলাম, তার দ্বিমুখী নীতি বজায় থাকলে দলে বেশি দিন সে টিকে থাকতে পারবে না। আমি যদি অধিনায়ক হতাম, তাহলে তাকে দলে রাখতাম না।
No comments