পন্টিংকে পাশে পেলেন ক্লার্ক
পল কলিংউডকে নিশ্চয়ই খুব হিংসা হচ্ছে মাইকেল ক্লার্কের! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের মতো ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ ইংলিশ অধিনায়কও। কিন্তু কলিংউডের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা আড়াল হয়ে গেছে দলীয় সাফল্যে, বরং অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বের জন্য ভিজছেন প্রশংসার বৃষ্টিতে। আর ফাইনালে হারার পর প্রকাশ্যে উঠে এসেছে ক্লার্কের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ক্লার্ক নিজেই বলেছেন, টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর জায়গা এখন আর নিশ্চিত নয়। অধিনায়কত্বের রেকর্ডটা দুর্দান্ত হওয়ার পরও তাই শঙ্কায় তাঁর নেতৃত্বও। তবে বিপদে ক্লার্ক পাচ্ছেন একটা বড় আশ্রয়, তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন খোদ রিকি পন্টিং।
‘ওর এখন বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত ১২ থেকে ১৮ মাসে আমার অনুপস্থিতিতে অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি ও বেশ কটি ওয়ানডেতে ও দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছে। মাইকেলকে যতবারই নেতৃত্ব দিতে দেখেছি, অসাধারণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্যই ওকে দরকার’—এই হলো ক্লার্কের নেতৃত্ব নিয়ে পন্টিংয়ের বিশ্লেষণ। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে পন্টিংয়ের উত্তরসূরি মনে করা হয় ক্লার্ককে। এই দুই দলে পন্টিংয়ের সহকারী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে পন্টিংয়ের অবসরের পর শুধু টি-টোয়েন্টি দলের জন্য অধিনায়ক করা হয় ক্লার্ককে।
অধিনায়ক হিসেবে ১৫টি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে একটি মাত্র পরাজয়। আফসোস, সেই একমাত্র পরাজয়টি এল ফাইনালে! আর এই এক পরাজয়ে যেন ম্লান হয়ে গেল তাঁর দুর্দান্ত রেকর্ড। অথচ এখনো জয়ের হারে (৮৯.২৮ শতাংশ) তাঁর ধারে-কাছে নেই কেউ। তবে ঝমেলাটা তাঁর ব্যাটিং নিয়ে। ৩১ ম্যাচে ২১.৮৫ গড়ে রান করেছেন ৪৩৭, এর চেয়েও বড় সমস্যা স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০১.৩৯।
এই বিশ্বকাপে যেমন ৭ ম্যাচে ৮০.৭০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৯২ রান। ওপেনিং থেকে শুরু করে ব্যাটিং করেছেন ৭ নম্বর পর্যন্ত প্রতিটি পজিশনেই, কিন্তু সাফল্যের সূত্রটা উদ্ধার করতে পারেনি।
ক্লার্ককে সরিয়ে ক্যামেরন হোয়াইটকে অধিনায়ক করার প্রস্তাব করছেন অনেকেই। অবশ্য পন্টিং অবসর নেওয়ার পর নেতৃত্বের দৌড়ে ভিক্টোরিয়ার অধিনায়ক হোয়াইটই ছিলেন সবার আগে। কিন্তু টেস্ট-ওয়ানডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক বিবেচনা করে ক্লার্ককেই দেওয়া হয় নেতৃত্ব। গত এক বছরে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন হোয়াইট। ২০টি টি-টোয়েন্টিতে ৪৩.৭২ গড়ে ৪৮১ রান তাঁর, স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৪৫। এই বিশ্বকাপেও ৪৫ গড়ে ১৮০ রান করেছেন, মেরেছেন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ছক্কা।
অস্ট্রেলিয়ায় তাই একটা দাবি উঠেছে, ক্লার্ককে সরিয়ে হোয়াইটকেও দেওয়া হোক টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব। তবে খোদ হোয়াইটই আবার এতে রাজি নন। মাত্র এক ম্যাচে ক্লার্কের ব্যর্থতা নিয়ে এত শোরগোলেরও কোনো যুক্তি তিনি দেখেন না। ‘নেতৃত্ব নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় আমি নেই। আমি ভালো খেলছি, দলও ভালো করছে। আমি যেটা করতে পারি দলে আমার ভূমিকা ঠিকঠাক পালন করা ও সহ-অধিনায়ক হিসেবে মাইকেলকে সাহায্য করা’—বলেছেন হোয়াইট।
‘ওর এখন বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত ১২ থেকে ১৮ মাসে আমার অনুপস্থিতিতে অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি ও বেশ কটি ওয়ানডেতে ও দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছে। মাইকেলকে যতবারই নেতৃত্ব দিতে দেখেছি, অসাধারণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্যই ওকে দরকার’—এই হলো ক্লার্কের নেতৃত্ব নিয়ে পন্টিংয়ের বিশ্লেষণ। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে পন্টিংয়ের উত্তরসূরি মনে করা হয় ক্লার্ককে। এই দুই দলে পন্টিংয়ের সহকারী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে পন্টিংয়ের অবসরের পর শুধু টি-টোয়েন্টি দলের জন্য অধিনায়ক করা হয় ক্লার্ককে।
অধিনায়ক হিসেবে ১৫টি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে একটি মাত্র পরাজয়। আফসোস, সেই একমাত্র পরাজয়টি এল ফাইনালে! আর এই এক পরাজয়ে যেন ম্লান হয়ে গেল তাঁর দুর্দান্ত রেকর্ড। অথচ এখনো জয়ের হারে (৮৯.২৮ শতাংশ) তাঁর ধারে-কাছে নেই কেউ। তবে ঝমেলাটা তাঁর ব্যাটিং নিয়ে। ৩১ ম্যাচে ২১.৮৫ গড়ে রান করেছেন ৪৩৭, এর চেয়েও বড় সমস্যা স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০১.৩৯।
এই বিশ্বকাপে যেমন ৭ ম্যাচে ৮০.৭০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৯২ রান। ওপেনিং থেকে শুরু করে ব্যাটিং করেছেন ৭ নম্বর পর্যন্ত প্রতিটি পজিশনেই, কিন্তু সাফল্যের সূত্রটা উদ্ধার করতে পারেনি।
ক্লার্ককে সরিয়ে ক্যামেরন হোয়াইটকে অধিনায়ক করার প্রস্তাব করছেন অনেকেই। অবশ্য পন্টিং অবসর নেওয়ার পর নেতৃত্বের দৌড়ে ভিক্টোরিয়ার অধিনায়ক হোয়াইটই ছিলেন সবার আগে। কিন্তু টেস্ট-ওয়ানডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক বিবেচনা করে ক্লার্ককেই দেওয়া হয় নেতৃত্ব। গত এক বছরে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন হোয়াইট। ২০টি টি-টোয়েন্টিতে ৪৩.৭২ গড়ে ৪৮১ রান তাঁর, স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৪৫। এই বিশ্বকাপেও ৪৫ গড়ে ১৮০ রান করেছেন, মেরেছেন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ছক্কা।
অস্ট্রেলিয়ায় তাই একটা দাবি উঠেছে, ক্লার্ককে সরিয়ে হোয়াইটকেও দেওয়া হোক টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব। তবে খোদ হোয়াইটই আবার এতে রাজি নন। মাত্র এক ম্যাচে ক্লার্কের ব্যর্থতা নিয়ে এত শোরগোলেরও কোনো যুক্তি তিনি দেখেন না। ‘নেতৃত্ব নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় আমি নেই। আমি ভালো খেলছি, দলও ভালো করছে। আমি যেটা করতে পারি দলে আমার ভূমিকা ঠিকঠাক পালন করা ও সহ-অধিনায়ক হিসেবে মাইকেলকে সাহায্য করা’—বলেছেন হোয়াইট।
No comments