বাজেট অর্থবহ করতে হবে -জ্বালানি ও মানবসম্পদে মনোযোগ জরুরি
সুযোগ সব সময় আসে না, বিশেষ করে প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে। কিন্তু সুযোগ আসার পরও নিজেদের অপ্রস্তুতির জন্য তা হারাতে হলে মাশুল গুনতে হয় অনেক বেশি। বাংলাদেশের সামনে এখন সে রকমই একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর এটা হয়েছে মূলত চীন থেকে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশমুখী হওয়ার যে কথা ভাবছেন, সেটার কারণে। দেশের বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীরা এটাকে বড় সুযোগ হিসেবেই দেখতে চান। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অবকাঠামোজনিত অপ্রতুলতায়, যার মূলে আছে বিদ্যুতের ঘাটতি। পাশাপাশি রয়েছে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদের অভাব। বছরের পর বছর এই দুই খাতের উন্নয়নকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলা করা হয়েছে, যা অর্থনীতির ভবিষ্যৎকে অনেকটাই অনিশ্চিত করে তুলেছে।
এই বাস্তবতায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে এই দুই খাতে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়ার দাবি উঠে এসেছে। চলতি সপ্তাহেই প্রথম আলো আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায়ও বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীরা এ রকম অভিমত প্রকাশ করেছেন। তাঁরা স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাজেটের মাধ্যমে শুধু এই দুই খাতে যথাযথ বরাদ্দ দিলেই চলবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং অবশ্যই সুপরিকল্পিতভাবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত হতে হবে বাজেটীয় ব্যয়। এটা খুব তাৎপর্যবহ। বরাদ্দ দেওয়ার আগে যদি ঠিকভাবে পরিকল্পনা করা না হয়, তাহলে সেই বরাদ্দও অপব্যয় হতে বাধ্য। এবং পরিকল্পনাটি হতে হবে সুদূরপ্রসারী। আগামী বাজেট যেহেতু ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম বছরে বাস্তবায়ন করা হবে, সেহেতু একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বরাদ্দ প্রদান ও বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে।
বস্তুত, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো না গেলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিময়তা আসবে না। আর সেই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন জ্বালানি-বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সমর্থন। সরকারকে এদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। বর্তমানে বিদ্যুতের সংকট যে অবস্থায় উপনীত হয়েছে, তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। যেহেতু চটজলদি বা তাৎক্ষণিকভাবে সংকট মোচন সম্ভব নয়, সেহেতু তড়িঘড়ি করে সরকারের এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়। কারণ, সংকটের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী বা মহল সুবিধা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে মানবসম্পদের দিকে নজর বাড়ানো আরেকটি জরুরি কাজ হয়ে উঠেছে। প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি ও জনবল গড়ে তোলা না গেলে একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় শ্রমশক্তির জোগান মিলবে না, অন্যদিকে বাড়বে বেকারত্ব। এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি জোরদার করা প্রয়োজন। বেসরকারি খাতেরও উচিত সুনির্দিষ্ট কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসা এবং প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা করা। গতানুগতিকভাবে দাবিদাওয়া পেশ করার চেয়ে তা অনেক বেশি অর্থবহ হবে। আর সরকারের কাজ হবে বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে এগিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটানো। আগামী বাজেটে এর প্রতিফলন থাকাটাই কাম্য।
এই বাস্তবতায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে এই দুই খাতে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়ার দাবি উঠে এসেছে। চলতি সপ্তাহেই প্রথম আলো আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায়ও বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীরা এ রকম অভিমত প্রকাশ করেছেন। তাঁরা স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাজেটের মাধ্যমে শুধু এই দুই খাতে যথাযথ বরাদ্দ দিলেই চলবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং অবশ্যই সুপরিকল্পিতভাবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত হতে হবে বাজেটীয় ব্যয়। এটা খুব তাৎপর্যবহ। বরাদ্দ দেওয়ার আগে যদি ঠিকভাবে পরিকল্পনা করা না হয়, তাহলে সেই বরাদ্দও অপব্যয় হতে বাধ্য। এবং পরিকল্পনাটি হতে হবে সুদূরপ্রসারী। আগামী বাজেট যেহেতু ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম বছরে বাস্তবায়ন করা হবে, সেহেতু একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বরাদ্দ প্রদান ও বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে।
বস্তুত, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো না গেলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিময়তা আসবে না। আর সেই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন জ্বালানি-বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সমর্থন। সরকারকে এদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। বর্তমানে বিদ্যুতের সংকট যে অবস্থায় উপনীত হয়েছে, তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। যেহেতু চটজলদি বা তাৎক্ষণিকভাবে সংকট মোচন সম্ভব নয়, সেহেতু তড়িঘড়ি করে সরকারের এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়। কারণ, সংকটের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী বা মহল সুবিধা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে মানবসম্পদের দিকে নজর বাড়ানো আরেকটি জরুরি কাজ হয়ে উঠেছে। প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি ও জনবল গড়ে তোলা না গেলে একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় শ্রমশক্তির জোগান মিলবে না, অন্যদিকে বাড়বে বেকারত্ব। এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি জোরদার করা প্রয়োজন। বেসরকারি খাতেরও উচিত সুনির্দিষ্ট কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসা এবং প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা করা। গতানুগতিকভাবে দাবিদাওয়া পেশ করার চেয়ে তা অনেক বেশি অর্থবহ হবে। আর সরকারের কাজ হবে বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে এগিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটানো। আগামী বাজেটে এর প্রতিফলন থাকাটাই কাম্য।
No comments