স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিককে সাধারণ ক্ষমা করেছেন। লাহোরের উচ্চ আদালত জামিন আবেদন বাতিল করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের হাত থেকে রেহাই দিতে প্রেসিডেন্ট তাঁকে ক্ষমা করেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ্ বাবর জানান, জারদারি বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে রেহমান মালিককে ক্ষমা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ ঘটনা ক্ষমতাসীন সরকারকে বড় ধরনের বিতর্কের মুখে ঠেলে দেবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে একটি দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালত রেহমান মালিককে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সে সময় মালিক দেশের বাইরে ছিলেন। ২০০৭ সালে বিরোধীদের চাপের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স (এনআরও) নামে একটি আইন পাস করেন। ওই আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দেওয়া যাবতীয় রায় ও দায়ের করা মামলা স্থগিত করে তাঁদের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। এনআরও অনুমোদনের পর মালিক দেশে ফেরেন এবং নির্বাচনে জয়লাভ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এনআরও বাতিল করেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রেসিডেন্টসহ সবার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সচল করার নির্দেশ দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে লাহোরের উচ্চ আদালতে আপিল করলেও গত সোমবার আদালত ওই রায় বহাল রাখেন এবং তাঁর জামিন আবেদন বাতিল করেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় জারদারি তাঁর বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে গতকাল মালিককে ক্ষমা করে তাঁকে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে রক্ষা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করায় জারদারি নতুন বিতর্কে পড়বেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার ক্ষমতা আছে। তাই বলে একজন প্রমাণিত অপরাধীকে ক্ষমা করার নৈতিক অধিকার প্রেসিডেন্টের আছে কি না এবং অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর সংসদে অপরাধীর সদস্যপদ বহাল থাকে কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে একটি দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালত রেহমান মালিককে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সে সময় মালিক দেশের বাইরে ছিলেন। ২০০৭ সালে বিরোধীদের চাপের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স (এনআরও) নামে একটি আইন পাস করেন। ওই আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দেওয়া যাবতীয় রায় ও দায়ের করা মামলা স্থগিত করে তাঁদের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। এনআরও অনুমোদনের পর মালিক দেশে ফেরেন এবং নির্বাচনে জয়লাভ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এনআরও বাতিল করেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রেসিডেন্টসহ সবার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সচল করার নির্দেশ দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে লাহোরের উচ্চ আদালতে আপিল করলেও গত সোমবার আদালত ওই রায় বহাল রাখেন এবং তাঁর জামিন আবেদন বাতিল করেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় জারদারি তাঁর বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে গতকাল মালিককে ক্ষমা করে তাঁকে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে রক্ষা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করায় জারদারি নতুন বিতর্কে পড়বেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার ক্ষমতা আছে। তাই বলে একজন প্রমাণিত অপরাধীকে ক্ষমা করার নৈতিক অধিকার প্রেসিডেন্টের আছে কি না এবং অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর সংসদে অপরাধীর সদস্যপদ বহাল থাকে কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
No comments