সিনেটের মধ্যস্থতায় আলোচনার প্রস্তাব সরকারের প্রত্যাখ্যান
থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় দেশটির সিনেটের দেওয়া প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সরকার। বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল ছেড়ে না গেলে সরকার কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে সিনেটের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাবে রাজি হয় বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে ‘ধংসের চূড়ান্ত সীমা থেকে সরে এসে’ আলোচনায় বসতে থাইল্যান্ডের সরকার ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ানের সদস্যদেশগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়ার পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে গত পাঁচ দিনেই অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধীদের আলোচনায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেয় দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। ৬০ সিনেটরের একটি চিঠি গত সোমবার সরকার ও বিরোধীদের কাছে পাঠানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের নেতা নাতাউত সাইকুয়ার বলেন, ‘আমরা সিনেটের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। স্পিকারের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার জন্য আমরা কোনো শর্ত আরোপও করছি না।’
তবে সিনেটের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংযুক্তমন্ত্রী সাতিত ওংনংতায়ে। গতকাল দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল না ছাড়লে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না সরকার। তিনি আরও বলেন, এর আগেও দুটি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাংসুবান বিক্ষোভকারীদের ‘নির্বোধ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করছে। তারা বিক্ষোভকারীদের চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। তিনি বলেন, ‘নতুন করে কাউকে বিক্ষোভকারীদের কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হবে না। সেখানে খাবার সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের আসল লক্ষ্য হলো ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া।’ স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী অন্তত পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারীকে ঘিরে রেখেছে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংককের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার নভি পিল্লাই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে দুই পক্ষকেই আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত সোমবার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পার হওয়ার পর পরিস্থিতি ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে ‘ধংসের চূড়ান্ত সীমা থেকে সরে এসে’ আলোচনায় বসতে থাইল্যান্ডের সরকার ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ানের সদস্যদেশগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়ার পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে গত পাঁচ দিনেই অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধীদের আলোচনায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেয় দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। ৬০ সিনেটরের একটি চিঠি গত সোমবার সরকার ও বিরোধীদের কাছে পাঠানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের নেতা নাতাউত সাইকুয়ার বলেন, ‘আমরা সিনেটের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। স্পিকারের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার জন্য আমরা কোনো শর্ত আরোপও করছি না।’
তবে সিনেটের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংযুক্তমন্ত্রী সাতিত ওংনংতায়ে। গতকাল দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল না ছাড়লে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না সরকার। তিনি আরও বলেন, এর আগেও দুটি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাংসুবান বিক্ষোভকারীদের ‘নির্বোধ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করছে। তারা বিক্ষোভকারীদের চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। তিনি বলেন, ‘নতুন করে কাউকে বিক্ষোভকারীদের কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হবে না। সেখানে খাবার সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের আসল লক্ষ্য হলো ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া।’ স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী অন্তত পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারীকে ঘিরে রেখেছে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংককের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার নভি পিল্লাই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে দুই পক্ষকেই আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত সোমবার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পার হওয়ার পর পরিস্থিতি ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
No comments