বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমনাভিযান জোরদার করছে থাই সরকার
থাইল্যান্ডের সরকার থাকসিনপন্থী লাল শার্ট বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। গত বুধবার সেনাসদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হলো। ওই সংঘর্ষে একজন সেনা নিহত ও ১৯ জন বিক্ষোভকারী আহত হন।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা সরকারের দমন অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনাদের শক্তি প্রয়োগ সচক্ষে দেখার জন্য তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পর্যবেক্ষক পাঠাতে বলেছেন। তবে থাই সরকার দেশীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ব্যাংকক এবং এর আশপাশে সাত সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত সেনা ও বিক্ষোভকারীসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন। পর্যটননির্ভর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ এ দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পদত্যাগের জন্য নানা দিক থেকে চাপ আসছে প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভার ওপর। দেশের সংকট দিন দিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সানসার্ন কায়েকার্ন বলেছেন, বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে থাকা সেনাদের আরও তত্পর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় বিক্ষোভকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছেন, সেখানে আরও সেনা পাঠানো হবে। সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের থামিয়ে দিতে এবং তাঁদের রাজধানী অভিমুখে যেতে নিরুত্সাহিত করবেন।
বিক্ষোভকারীদের নেতা ওয়েং তুজিরাকার্ন গতকাল বলেছেন, বুধবারের সহিংসতার পর তাঁর সমর্থকেরা নতুন করে চাঙা হয়েছেন। এখন বিক্ষোভে লোক সমাগম আরও বাড়বে বলে তিনি ধারণা করছেন। সমবেত হাজার হাজার জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার তাঁদের যুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছে। তাঁরা এখন লড়াই চালিয়ে যাবেন। জয় তাঁদের দ্বারপ্রান্তে। বিক্ষোভকারীদের আরেক নেতা জারান দিতসাতাপিচাই বলেন, তাঁদের দমনের জন্য সেনাসদস্যরা নির্যাতন চালাচ্ছেন। সামনে দমন-পীড়ন আরও বাড়বে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। সেনাদের দমন অভিযান সচক্ষে দেখার জন্য পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। এর আগে বিক্ষোভকারীরা পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়ে ইইউর রাষ্ট্রদূত ডেভিড লিপম্যানকে একটি চিঠি দেন। লিপম্যান ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার এবং আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোমায়া দেশীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। গতকাল ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্তি নেতালেগওয়ার সঙ্গে বৈঠকের সময়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণে আছে। এ অবস্থায় থাইল্যান্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা সরকারের দমন অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনাদের শক্তি প্রয়োগ সচক্ষে দেখার জন্য তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পর্যবেক্ষক পাঠাতে বলেছেন। তবে থাই সরকার দেশীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ব্যাংকক এবং এর আশপাশে সাত সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত সেনা ও বিক্ষোভকারীসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন। পর্যটননির্ভর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ এ দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পদত্যাগের জন্য নানা দিক থেকে চাপ আসছে প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভার ওপর। দেশের সংকট দিন দিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সানসার্ন কায়েকার্ন বলেছেন, বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে থাকা সেনাদের আরও তত্পর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় বিক্ষোভকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছেন, সেখানে আরও সেনা পাঠানো হবে। সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের থামিয়ে দিতে এবং তাঁদের রাজধানী অভিমুখে যেতে নিরুত্সাহিত করবেন।
বিক্ষোভকারীদের নেতা ওয়েং তুজিরাকার্ন গতকাল বলেছেন, বুধবারের সহিংসতার পর তাঁর সমর্থকেরা নতুন করে চাঙা হয়েছেন। এখন বিক্ষোভে লোক সমাগম আরও বাড়বে বলে তিনি ধারণা করছেন। সমবেত হাজার হাজার জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার তাঁদের যুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছে। তাঁরা এখন লড়াই চালিয়ে যাবেন। জয় তাঁদের দ্বারপ্রান্তে। বিক্ষোভকারীদের আরেক নেতা জারান দিতসাতাপিচাই বলেন, তাঁদের দমনের জন্য সেনাসদস্যরা নির্যাতন চালাচ্ছেন। সামনে দমন-পীড়ন আরও বাড়বে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। সেনাদের দমন অভিযান সচক্ষে দেখার জন্য পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। এর আগে বিক্ষোভকারীরা পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়ে ইইউর রাষ্ট্রদূত ডেভিড লিপম্যানকে একটি চিঠি দেন। লিপম্যান ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার এবং আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোমায়া দেশীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। গতকাল ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্তি নেতালেগওয়ার সঙ্গে বৈঠকের সময়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণে আছে। এ অবস্থায় থাইল্যান্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।
No comments