নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি
বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প-কৃষি, রাজনীতি-অর্থনীতি এবং সর্বোপরি কায়িক শ্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা পুরুষের সমান। এর অতিরিক্ত ঘর-সংসারের যাবতীয় কাজ নারীই করে। সন্তান ধারণ ও প্রতিপালনের কাজও একান্তভাবে তাঁদেরই। নারীর এই ভূমিকার যথাযথ স্বীকৃতি না দিয়ে কোনো দেশের পক্ষেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সে জন্যই আজ নারীর সমানাধিকারের প্রশ্নে দ্বিমতের অবকাশ নেই। কিন্তু পশ্চাত্পদ চিন্তাভাবনার কিছু লোক নারীকে যথাযথ মর্যাদা দিতে চায় না। তারা প্রকৃতপক্ষে মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণায় আচ্ছন্ন হয়ে পুরো সমাজকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী যে বলেছেন তাঁরা নারী-পুরুষের সমানাধিকার মানবেন না, সেটা আসলে সেই পশ্চাত্পদ ধ্যানধারণারই প্রকাশ। তাঁদের অচল কথা গ্রহণযোগ্য করার জন্য তিনি পবিত্র ধর্মের আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছেন, যা এক ধরনের সামাজিক অপরাধ। যারা ধর্মের নামে মানুষের অধিকার হরণের চেষ্টা করে, তাদের এ দেশবাসী সেই একাত্তরেই বর্জন করেছে। সে সময় পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকেরা বাঙালিত্বকে হিন্দুয়ানি আখ্যায়িত করে বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম গণহত্যার মাধ্যমে দমন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ করে মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা ও দোহাই দিয়ে রাজনীতির পরিণাম যে শুভ হয় না, সেটা সংশ্লিষ্ট সবার মনে রাখা দরকার।
তথাকথিত ‘দেশ ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে মুফতি আমিনী শুধু নারীর সমানাধিকারের বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিলেন না, তিনি এমনকি এ ব্যাপারে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের সম্ভাব্য রায় মেনে না নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি এই বিদ্বেষপূর্ণ উক্তি আইনের শাসনের পরিপন্থী। আদালত সেটা নিশ্চয়ই দেখবেন। শান্তিপূর্ণ নাগরিকদের উত্তেজিত করে হানাহানির দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ হিসেবে একে দেখা চলে।
ইসলামী ঐক্যজোট নারীর স্বাভাবিক চলাফেরার অধিকারও বন্ধ করতে চায়। তাদের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, ‘এই সরকার নারীদের অধিকারের নামে তাদের রাস্তায় নামাতে চায়, ঘরে বন্দী রাখতে চায় না।’ কী হাস্যকর কথা! পর্দাপ্রথার নামে নারীকে ঘরে বন্দী রাখার কোনো বিষয় যে ইসলামে নেই, সেটা শতবর্ষ আগেই বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। আজ সেই মীমাংসিত বিষয় নিয়ে এক ধরনের লোক মাঠে নামতে চায়। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো প্রস্তাবিত নারীনীতির বিরোধিতা করা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে চায়। নারীর অবদান ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এ জন্য নারীর সমানাধিকার ও ক্ষমতায়ন দরকার। কাজের সমান সুযোগ ও সমান কাজের জন্য নারী-পুরুষের সমান মজুরি প্রয়োজন। কোনো অজুহাতেই নারীকে সমাজে উপেক্ষিত রাখা যাবে না। আজ যৌতুকের জন্য, পারিবারিক সমস্যার জের ধরে অথবা প্রেম প্রত্যাখ্যানের জন্য এসিড ছুড়ে নারীর মুখ ঝলসে দেওয়া হয়। এর চেয়ে জঘন্য অপরাধ আর কী হতে পারে? নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। নইলে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
নারী-পুরুষের সমানাধিকার ছাড়া গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে না। মুফতি আমিনীর কথাগুলো তাই গণতন্ত্রবিরোধী এবং সে কারণে অগ্রহণযোগ্য।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী যে বলেছেন তাঁরা নারী-পুরুষের সমানাধিকার মানবেন না, সেটা আসলে সেই পশ্চাত্পদ ধ্যানধারণারই প্রকাশ। তাঁদের অচল কথা গ্রহণযোগ্য করার জন্য তিনি পবিত্র ধর্মের আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছেন, যা এক ধরনের সামাজিক অপরাধ। যারা ধর্মের নামে মানুষের অধিকার হরণের চেষ্টা করে, তাদের এ দেশবাসী সেই একাত্তরেই বর্জন করেছে। সে সময় পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকেরা বাঙালিত্বকে হিন্দুয়ানি আখ্যায়িত করে বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম গণহত্যার মাধ্যমে দমন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ করে মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা ও দোহাই দিয়ে রাজনীতির পরিণাম যে শুভ হয় না, সেটা সংশ্লিষ্ট সবার মনে রাখা দরকার।
তথাকথিত ‘দেশ ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে মুফতি আমিনী শুধু নারীর সমানাধিকারের বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিলেন না, তিনি এমনকি এ ব্যাপারে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের সম্ভাব্য রায় মেনে না নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি এই বিদ্বেষপূর্ণ উক্তি আইনের শাসনের পরিপন্থী। আদালত সেটা নিশ্চয়ই দেখবেন। শান্তিপূর্ণ নাগরিকদের উত্তেজিত করে হানাহানির দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ হিসেবে একে দেখা চলে।
ইসলামী ঐক্যজোট নারীর স্বাভাবিক চলাফেরার অধিকারও বন্ধ করতে চায়। তাদের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, ‘এই সরকার নারীদের অধিকারের নামে তাদের রাস্তায় নামাতে চায়, ঘরে বন্দী রাখতে চায় না।’ কী হাস্যকর কথা! পর্দাপ্রথার নামে নারীকে ঘরে বন্দী রাখার কোনো বিষয় যে ইসলামে নেই, সেটা শতবর্ষ আগেই বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। আজ সেই মীমাংসিত বিষয় নিয়ে এক ধরনের লোক মাঠে নামতে চায়। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো প্রস্তাবিত নারীনীতির বিরোধিতা করা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে চায়। নারীর অবদান ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এ জন্য নারীর সমানাধিকার ও ক্ষমতায়ন দরকার। কাজের সমান সুযোগ ও সমান কাজের জন্য নারী-পুরুষের সমান মজুরি প্রয়োজন। কোনো অজুহাতেই নারীকে সমাজে উপেক্ষিত রাখা যাবে না। আজ যৌতুকের জন্য, পারিবারিক সমস্যার জের ধরে অথবা প্রেম প্রত্যাখ্যানের জন্য এসিড ছুড়ে নারীর মুখ ঝলসে দেওয়া হয়। এর চেয়ে জঘন্য অপরাধ আর কী হতে পারে? নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। নইলে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
নারী-পুরুষের সমানাধিকার ছাড়া গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে না। মুফতি আমিনীর কথাগুলো তাই গণতন্ত্রবিরোধী এবং সে কারণে অগ্রহণযোগ্য।
No comments