নৌযান ধর্মঘট
২২ দফা দাবিতে গত সোমবার রাত থেকে দেশের নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীরা যে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন, তা দেশজুড়ে বিভিন্ন নৌরুটে বিপুল মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে নৌযানের মালিক বা শ্রমিক-কর্মচারী কোনো পক্ষ থেকেই এই জনভোগান্তি সম্পর্কে সংবেদনশীলতার আভাস পাওয়া যায়নি।
বেতন-ভাতা বাড়ানো, নতুন বেতনকাঠানো ঘোষণা, নৌ-নিরাপত্তা বাড়ানো, নৌযানে মাস্টার-চালকদের সনদের মেয়াদীকরণ, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়নসহ মোট যে ২২ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন, সেসবের মধ্যে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিটি নিশ্চয়ই বিবেচনার যোগ্য। কারণ দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। ধর্মঘট শুরুর আগেই উভয় তরফে দুপক্ষের আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তা তো হয়ইনি, বুধবার পর্যন্তও তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো যোগাযোগের খবর পাওয়া যায়নি। নৌমন্ত্রী মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ সমঝোতায় যেতে পারে, কিন্তু তারা তা করছে না, ফলে দুর্ভোগ হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
নৌযান মালিকদের পক্ষ থেকে ধর্মঘট পালনকারী শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে শ্রমিকদের তরফে বলা হয়েছে। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে কি বুঝতে হবে, মালিকেরা শ্রমিক-কর্মচারীদের ধর্মঘটে মোটেই বিচলিত নন? কিন্তু এভাবে কি অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে? এদিকে খবরে বলা হচ্ছে, শ্রমিক-কর্মচারীদের একাংশ ধর্মঘটে যোগ দেয়নি। ধর্মঘট ডাকার প্রতিবাদে সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল এলাকায় মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে সরকারপন্থী নৌযান শ্রমিক লীগের উদ্যোগে। এটা যেন কোনো সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে না এগোয়, সেদিকেও লক্ষ রাখা দরকার।
নৌমন্ত্রী পৃথকভাবে নৌযান মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে খবরে প্রকাশ। এই মধ্যস্থতা দ্রুত ফলপ্রসূ হোক, এটাই কাম্য। উভয় পক্ষকে একসঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসতে পারলে ভালো হয়। একটা স্থায়ী সমঝোতার মধ্য দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা দরকার। আর ভবিষ্যতে এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়ার আগে বিপুলসংখ্যক মানুষের দুর্ভোগের বিষয়গুলো যেন ভালোভাবে বিবেচনা করা হয়।
বেতন-ভাতা বাড়ানো, নতুন বেতনকাঠানো ঘোষণা, নৌ-নিরাপত্তা বাড়ানো, নৌযানে মাস্টার-চালকদের সনদের মেয়াদীকরণ, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়নসহ মোট যে ২২ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন, সেসবের মধ্যে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিটি নিশ্চয়ই বিবেচনার যোগ্য। কারণ দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। ধর্মঘট শুরুর আগেই উভয় তরফে দুপক্ষের আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তা তো হয়ইনি, বুধবার পর্যন্তও তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো যোগাযোগের খবর পাওয়া যায়নি। নৌমন্ত্রী মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ সমঝোতায় যেতে পারে, কিন্তু তারা তা করছে না, ফলে দুর্ভোগ হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
নৌযান মালিকদের পক্ষ থেকে ধর্মঘট পালনকারী শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে শ্রমিকদের তরফে বলা হয়েছে। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে কি বুঝতে হবে, মালিকেরা শ্রমিক-কর্মচারীদের ধর্মঘটে মোটেই বিচলিত নন? কিন্তু এভাবে কি অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে? এদিকে খবরে বলা হচ্ছে, শ্রমিক-কর্মচারীদের একাংশ ধর্মঘটে যোগ দেয়নি। ধর্মঘট ডাকার প্রতিবাদে সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল এলাকায় মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে সরকারপন্থী নৌযান শ্রমিক লীগের উদ্যোগে। এটা যেন কোনো সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে না এগোয়, সেদিকেও লক্ষ রাখা দরকার।
নৌমন্ত্রী পৃথকভাবে নৌযান মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে খবরে প্রকাশ। এই মধ্যস্থতা দ্রুত ফলপ্রসূ হোক, এটাই কাম্য। উভয় পক্ষকে একসঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসতে পারলে ভালো হয়। একটা স্থায়ী সমঝোতার মধ্য দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা দরকার। আর ভবিষ্যতে এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়ার আগে বিপুলসংখ্যক মানুষের দুর্ভোগের বিষয়গুলো যেন ভালোভাবে বিবেচনা করা হয়।
No comments